ছবি: space.com-এর টুইটার হ্যান্ডল থেকে সংগৃহীত।
মানুষ যদি নিজের তৈরি বিষ আর বিস্ফোরণে নিজেকে ধ্বংস করে না ফেলে, তা হলে পৃথিবীতে জীবনের আলো থাকার আশা এখনও প্রায় সাড়ে পাঁচশো বছর। কারণ এখনও অত দিন বেঁচে থাকবে আমাদের ‘প্রাণের প্রদীপ’ সূর্য। কিন্তু নতুন বছরের গোড়াতেই, ভয়ঙ্কর এক খবর দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। বলছেন, সূর্যের স্বাভাবিক মৃত্যু পর্যন্ত হয়ত অপেক্ষা করতে হবে না, তার অনেক আগেই গোটা সৌরমণ্ডলটা মহাশূন্যে ছিটকে বেরিয়ে যেতে পারে, আমাদের ছায়াপথে অন্য আর এক ছায়াপথের ধাক্কার চোটে।
মহাকাশ থেকে আসা নানান তথ্য ঘাঁটতে ঘাঁটতে আর তার গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করতে করতে, সম্প্রতি এই বিপদের সম্ভাবনাটি নজরে এসেছে ডারহ্যাম ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্পদার্থবিদদের। তাঁরা জানিয়েছেন, এই বিপদটির নাম হল লার্জ ম্যাজেলান্টিক ক্লাউড (এলএমসি) নামের একটি ছায়াপথ। আমাদের ছায়াপথ মিল্কি ওয়ের চারদিকে ঘুরে বেড়ায় একাধিক ছোট আকারের ছায়াপথ। তাদের মধ্যেই একটি হল এই এলএমসি। সাধারণত নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে মিল্কি ওয়ে-কে প্রদক্ষিণ করে আকারে ছোট এই ধরণের ছায়াপথগুলি। কখনও কখনও মিল্কি ওয়ে-র মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বাইরেও বেরিয়ে যায় তারা।
এমএলসি-ও এখন মিল্কি ওয়ের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই মুহূর্তে মিল্কি ওয়ে থেকে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে এলএমসি। প্রতি সেকেন্ডে ২৫০ মাইল গতিতে দূরে সরে যাচ্ছে সেটি। কিন্তু একটা সময় ধীরে ধীরে তার এই দূরে সরে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। তখন আমাদের সৌরমণ্ডলের দিকে মুখ ফেরাবে সে। তার পর ছুটে আসতে আসতে, আগামী ২৫০ কোটি বছর পর আমাদের মিল্কি ওয়ে-তে এসে ধাক্কা মারবে।
আরও পড়ুন: কর্মী নেই, রেকের দুর্দশা, মেট্রোর বেহাল ছবি, অন্তর্তদন্তে আনন্দবাজার
আরও পড়ুন: যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকুন, নয়া বছরে সেনাকে প্রথম নির্দেশ চিনা প্রেসিডেন্টের
এমএলসি-র ওজন আমাদের সূর্যের ২৫ হাজার কোটি গুণ। মিল্কি ওয়ের সঙ্গে তার সংঘর্ষে অবশ্য আলাদা করে গ্রহ এবং নক্ষত্রদের মধ্যে কোনও সংঘর্ষ বাঁধবে না। তবে সৌরমণ্ডলের উপর তার প্রভাব পড়বে ব্যাপক। সেটি মহাশূন্যে ছিটকে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন ডারহ্যামের ইনস্টিটিউট ফর কম্পিউটেশনাল কসমোলজি বিভাগের ডিরেক্টর কার্লোস ফ্রেঙ্ক। মিল্কি ওয়ে-র মধ্যিখানে যে ব্ল্যাক হোল সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে, এই সংঘর্ষের ফলে তাও সক্রিয় হয়ে উঠবে। বর্তমানের চেয়ে ১০ গুণ বড় আকার ধারণ করবে। তাতে রেডিয়েশনের মাত্রা বেড়ে যাবে বলেও ধারণা বিজ্ঞানীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy