Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

দু’শো বছরে অথর্ব হল ডাক্তারবাবুর স্টেথো

তিমিকে ২০০ বছরেরও বেশি বাঁচায়, এমন জিনেরও হদিশ মিলে গেল! হয়তো কিছু দিন পর সেই জিন দিয়ে আমাদের আয়ুও টেনে ‘লম্বা’ করে নেওয়া যাবে। কিন্তু, দু’শো বছরে পা ফেলার আগেই থুরথুরে, অথর্ব হয়ে পড়ল স্টেথোস্কোপ। তার বাণপ্রস্থে যাওয়ার সময় এসে গেল।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৬ ১৮:১৯
Share: Save:

তিমিকে ২০০ বছরেরও বেশি বাঁচায়, এমন জিনেরও হদিশ মিলে গেল! হয়তো কিছু দিন পর সেই জিন দিয়ে আমাদের আয়ুও টেনে ‘লম্বা’ করে নেওয়া যাবে।

কিন্তু, দু’শো বছরে পা ফেলার আগেই থুরথুরে, অথর্ব হয়ে পড়ল স্টেথোস্কোপ। তার বাণপ্রস্থে যাওয়ার সময় এসে গেল।

নাড়ির গতি মাপতে, হৃদপিণ্ডের ‘লাব-ডুব’-এর তল পেতে, ধমনীতে রক্ত ছুটছে জোরে না ধীরে তা বুঝতে আর পিত্তরসের ওঠা-নামা, বাড়া-কমা ঠাওর করতে আর স্টেথোস্কোপের দরকার হবে না! হৃদপিণ্ড, ফুসফুস, ধমনী ও পিত্তথলি থেকে স্টেথোস্কোপ যে যে কম্পাঙ্কের শব্দকে আমাদের কানে পাঠায়, সেগুলির প্রত্যেকটিকেই ডিজিটাইজ করে, অ্যাম্পলিফাই করা যাচ্ছে এখন কম্পিউটারে। তাকে রেকর্ড করে রাখা যাচ্ছে। ফলে স্টেথোস্কোপের প্রয়োজন কমে গিয়েছে অনেকটাই।

‘গুড বাই, স্টেথো’ বলার দিন এসে গেল। ১৮১৬ সালে আবিষ্কার হয়েছিল স্টেথোস্কোপের।

এমনটাই জানাচ্ছেন নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হসপিটালের আইকাহান স্কুল অফ মেডিসিনের অ্যাসোসিয়েট ডিন, কার্ডিওলজিস্ট জগৎ নারুলা। প্রায় একই অভিমত জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের শিশু-চিকিৎসা বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর উইলিয়াম রিড থম্পসনেরও। তাঁদের বক্তব্য, এ বার আর শব্দের কম্পন শুনতে হবে না স্টেথোস্কোপে। শুধু ছবিই বলে দেবে সব কিছু।

অন্য বিষয়গুলি:

after two hundred years good bye
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE