গোয়ান খাবার। নিজস্ব চিত্র।
অসংখ্য ছোটবড় পাহাড়, পাহাড়ি সুড়ঙ্গ পথ, নীল সমুদ্র, সৈকতের উদ্দাম হাওয়া আর সবুজ অরণ্যের মধুরিমা ছাড়াও গোয়ার অন্যতম আকর্ষণ হল এখানকার খাবার। গোয়ান খাবারের প্রতি টান খাদ্যরসিক বাঙালির কম নয়। বাঙালির গোয়া সফরের অন্যতম একটি কারণও হল সেখানকার নানা স্বাদের খাবার চেখে দেখা। তবে তার জন্য প্রায় কয়েকশো কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। যে শহরে খুঁজলে হয়তো বাঘের দুধও পাওয়া যাবে, সেই কলকাতায় বসে কি গোয়ান খাবারের স্বাদ পাওয়া যাবে? কিছু দিন আগে হলে হয়তো এর উত্তরটা নেতিবাচক হতো। তবে এ বার তা হওয়ার জো নেই। কারণ 'চ্যাপ্টার ২'তে চলছে 'গোয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল'। চলবে ১৬ জুন পর্যন্ত।
এ যেন গরমের কলকাতায় এক চিলতে গোয়া তুলে আনা! এমনিতেই পর্তুগিজদের সঙ্গে বাংলার যোগ আগেই ছিল। বাংলায় ব্যবহৃত বিভিন্ন শব্দ আসলে পর্তুগিজদের। এ বার যোগাযোগ আরও খানিকটা অটুট হল। বিফ ম্যাকারনি স্যুপ, গোয়ান চিকেন ব্রোথ স্যুপ, পর্ক সরপটেল, গোয়ান ফিশ কারি, কোরিজো পোলাও এবং আরও হরেক স্বাদের গোয়ান খাবার থাকছে এখানে। এক বার রেস্তরাঁর চৌকাঠ পেরোলেই মনে হবে ভূতের রাজার চটি পায়ে গলিয়ে এক তালিতে সোজা কলকাতা থেকে গোয়া এসে পৌঁছেছেন। মৃদু রঙিন আলোয় আলো-আঁধারি পরিবেশ, সঙ্গে গোয়ানিজ ব্যান্ডের গান। রেস্তরাঁ কর্মীরাও সেজেছেন সৈকতের ধারে বেড়ানোর ফুরফুরে পোশাকে। খাবারের দাম শুরু হচ্ছে ২৬৫ টাকা থেকে।
জৈষ্ঠ্যের গরমে বাঙালিকে গোয়ান খাবারের পরিকল্পনা কেন? উত্তর দিলেন রেস্তরাঁর কর্ণধার শিলাদিত্য চৌধুরি। তাঁর কথায়, " প্রতি বছরই আমরা নতুন কিছু করার চেষ্টা করি। এ বার তাই গোয়া তুলে আনলাম কলকাতায়। বাঙালি খাবার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ভালবাসে। সেই ভরসা থেকেই এমন ভাবনা।" রেস্তরাঁর আরও এক কর্ণধার দেবাদিত্য চৌধুরী বলেন, "গোয়ার মশলা অত্যন্ত বিখ্যাত। গোয়া থেকে মশলা আনানো হয়েছে। সেসব দিয়েই প্রতিটি পদ রাঁধা হচ্ছে। আর খাবার ছাড়াও এখানে এলে গোয়ানিজ ব্যান্ডের গানও শোনা যাবে। "
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy