কয়েকটি ধাপ মেনে মেনে চললে বাড়িতেই তৈরি করে নেওয়া যাবে রেস্তরাঁর মতো ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। ছবি: সংগৃহীত।
বাড়িতে ডালের সঙ্গে আলুভাজা খেতে ইচ্ছে না করলেও রেস্তরাঁয় গিয়ে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই না খেলে চলে না। বার্গার অথবা ফিশ ফ্রাইয়ের সঙ্গে দেওয়া ফ্রেঞ্চ ফ্রাই নিমেষে উধাও হয়ে যায় থালা থেকে। কিন্তু ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেতে তো আর সব সময় রেস্তরাঁ যাওয়া যায় না। তাই অনেকে বাড়িতেই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানান। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দোকানের মতো মুচমুচে হয় না। আলুভাজার মতোই কিছু ক্ষণ পর নেতিয়ে পড়ে। তবে কয়েকটি ধাপ মেনে মেনে চললে বাড়িতেই তৈরি করে নেওয়া যাবে রেস্তরাঁর মতো ফ্রেঞ্চ ফ্রাই।
সঠিক আলু বাছাই করুন
সব ধরনের আলুতে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ভাল হবে না। যে আলুতে স্টার্চের পরিমাণ বেশি, তেমন আলু ফ্রেঞ্চ ফ্রাই-এর জন্য উপযুক্ত। শর্করা আর স্টার্চ বেশি আছে এমন আলু দিয়ে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ভাজলে খেতেও ভাল লাগে। ভেজে রাখার দীর্ঘ ক্ষণ পরেও মুচমুচে থাকে।
জলে ভেজান
ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের আকারে আলু কেটে ১৫ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখুন। জলে ভিজিয়ে রাখলে আলুতে থাকা স্টার্চ জলে মিশে যায়। সেই জন্য আলু ভেজানো জলে সাদা ফেনা ভেসে থাকে। আসলে সেগুলিই স্টার্চ। জলে থেকে তুলে ভাল করে ধুয়ে আরও ১০ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখুন।
অল্প ভাপিয়ে নিন
ভাজার আগে আলু একটু ভাপিয়ে নিলে ভাল। সরাসরি ডোবা তেলে ভাজলে শক্ত হয়ে যায়। অল্প ভাপিয়ে নিয়ে ভাজলে একটু বেশি ভাজা হয়ে গেলেও শক্ত হয়ে যাওয়ার ভয় নেই। খেতেও ভাল লাগে।
ফ্রিজে রাখুন
আলু ভাপিয়ে নেওয়ার পর ফ্রিজে রাখতে হবে। এক থেকে দেড় ঘণ্টা ফ্রিজে রাখলেই হবে। ভাজার অন্তত আধ ঘণ্টা আগে বার করে নিন। তার পর ডোবা তেলে ভাল করে ভেজে নিন।
দু’বার ভাজুন
অনেকেই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরির এই নিয়মটি জানেন না। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই সব সময় দু’বার করে ভাজতে হয়। প্রথমে মাঝারি আঁচে এক বার হালকা করে ভেজে তুলে রাখুন। ঠান্ডা হয়ে এলে বেশি আঁচে আবার ভেজে নিন। একেবারে রেস্তরাঁর মতোই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy