চোট-আঘাতে জর্জরিত অস্ট্রেলিয়া। মিচেল মার্শ, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জস হেজ়লউডেরা চোটের জন্য খেলতে পারবেন না চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ভাঙাচোরা, অনভিজ্ঞ দল নিয়ে পাকিস্তানে যেতে হবে স্টিভ স্মিথকে। তার আগে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রস্তুতি সিরিজ় খেলছে অস্ট্রেলিয়া। সেখানেও ধাক্কা খেলেন স্মিথেরা।
দু’ম্যাচের এক দিনের সিরিজ়ের প্রথম ম্যাচ ৪৯ রানে হেরে গেল অস্ট্রেলিয়া। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যোগ্যতা অর্জন করে না পারা শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্যাট করে তোলে ২১৪ রান। ৪৬ ওভারে শেষ হয়ে যায় চরিথ আশালঙ্কার দলের ইনিংস। জবাবে ৩৩.৫ ওভারে ১৬৫ রানে শেষ স্মিথদের ইনিংস।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আশালঙ্কা। কিন্তু তিনি ছাড়া দলের আর কোনও ব্যাটার ২২ গজে দাঁড়াতেই পারলেন না। শুরু থেকেই ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারাতে শুরু করে শ্রীলঙ্কা। আশালঙ্কা ব্যাট করতে নামার সময় শ্রীলঙ্কার রান ছিল ৩ উইকেটে ৩০। সেখান থেকে দলকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেয় আশালঙ্কার শতরানের ইনিংস। ১২৬ বলে ১২৭ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন তিনি। মারেন ১৪টি চার এবং ৫টি ছয়। শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান দুনিথ ওয়েল্লালাগের ৩০।
ঘরের মাঠেও অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামলাতে পারেনি শ্রীলঙ্কার ব্যাটারেরা। সফরকারীদের সফলতম বোলার সিন অ্যাবট ৬১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ১৩ রানে ২ উইকেট অ্যারন হার্ডির। ২৩ রানে ২ উইকেট নেন নাথান এলিস। এ ছাড়া ৪৪ রানে ২ উইকেট স্পেনসার জনসনের।
জয়ের জন্য ২১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসও। ৩১ রানেই ৪ উইকেট হারান স্মিথেরা। রান পাননি অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কও। স্মিথের ব্যাট থেকে এসেছে ১২ রান। ৪ উইকেট পড়ার পর কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা করেন অ্যালেক্স ক্যারে এবং হার্ডি। কিন্তু তাঁদের লড়াই দলকে জয় এনে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না। ক্যারে করেন ৩৮ বলে ৪১ রান। হার্ডি করেন ৩৭ বলে ৩২ রান। এ ছাড়া অ্যাবট ২০ রান করেন। ২০ রানে অপরাজিত থাকেন অ্যাডাম জ়াম্পা।
আরও পড়ুন:
শ্রীলঙ্কার মাহিশ থিকশানা ৪০ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। ২৩ রানে ২ উইকেট আশিথা ফার্নান্দোর। ৩৩ রানে ২ উইকেট ওয়েল্লালাগের।