শন পাপাড়ি দিয়ে মকটেল! চেখে দেখবেন না কি! ছবি: সংগৃহীত।
চতুষ্কোণ মিষ্টিতে কামড় বসালেই মুখের মধ্যে দ্রুত মিলিয়ে যায়। ঘি দিয়ে তৈরি হলে, বাড়তি পাওনা হয় সুগন্ধ। শনপাপড়ি এমনই এক মিষ্টি, যার কদর সারা ভারত জুড়েই।
তবে স্বাদ যতই ভাল হোক না কেন, মিষ্টি যদি ঘরে জমতে থাকে, তা হলে একটা সময়ের পর তা খাওয়ার ইচ্ছা চলে যায়। সামনেই কালীপুজো, দীপাবলি। দীপাবলি উপলক্ষে মিষ্টি বিতরণের রেওয়াজ রয়েছে মূলত অবাঙালিদের মধ্যে। ইদানীং অবশ্য বাঙালি মহলেও শনপাপড়ি উপহার দেওয়ার চল বেড়েছে।
কী ভাবে জন্ম?
মিষ্টিটি বাংলায় পরিচিত শনপাপড়ি নামে। সাধারণত এটি চতুষ্কোণ হলেও, কোথাও কোথাও তা গোলাকারও হয়। এই মিষ্টির আবির্ভাব ঠিক কী ভাবে, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। খাদ্য নিয়ে চর্চাকারী নৃতত্ত্ববিদ কুরুশ এফ দলালের মতে, এটি পার্শি খাবার। ‘সোহান পাশমাকি’ থেকে শনপাপড়ি শব্দটি এসেছে।
তবে এর আবির্ভাব নিয়ে যত মতই থাকুক না কেন, ঘি, বেসন, চিনি, ময়দা দিয়ে তৈরি এই মিষ্টি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেই জনপ্রিয়। হাতের কারসাজিতে, চিনির রসের সঙ্গে বাকি উপকরণ মিশিয়ে সরু সুতোর মতো আকার দেওয়া হয়। তার পর তা থেকে চতুষ্কোণ বা গোলাকার রূপ দেওয়া হয়।
শনপাপড়ি নিয়ে কৌতুক
দীপাবলির উপহারে পাওয়া শনপাপড়ি ঘরে জমতে থাকলে যে বিড়ম্বনার কারণ হয়ে উঠতে পারে, সমাজমাধ্যমে চোখ রাখলে তা বেশ বোঝা যায়। দীপাবলির সময় এই মিষ্টিটি উপহার দেওয়া নিয়ে ‘মিম’ রয়েছে একাধিক। তা নিয়ে সরস মন্তব্যও ঘোরাফেরা করে সমাজমাধ্যমে।
শনপাপড়ি দিয়ে ককটেল
উৎসব শেষে উপহারে পাওয়া শনপাপড়ি জমে গেলে, তা দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন ভিন্ন স্বাদের দেশি ককটেল।
উপকরণ
১০০ গ্রাম শনপাপড়ি
২৫০ মিলিলিটার জিন
২০০ মিলিলিটার টনিক ওয়াটার (কার্বন যুক্ত নরম পানীয়)
বরফের টুকরো
গোল এবং পাতলা করে কাটা পাতিলেবু
পদ্ধতি
১০০ গ্রাম শনপাপড়ি টুকরো করে একটি কাচের পাত্রে রাখুন। তার মধ্যে ঢেলে দিন ২৫০ মিলিলিটার জিন। ২৪ ঘণ্টা ফ্রিজে ভরে রাখুন কাচের পাত্রটি। তার পর সেই মিশ্রণটি পরিষ্কার কাপড় রেখে ছেঁকে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy