সরস্বতী পুজো মানেই খিচুড়ি। আর তার সঙ্গে আলুর দম, লাবড়া, চাটনি থাকলেও মুচমুচে বড়া থাকাটা বাধ্যতামূলক। বেগুনি, আলুর বড়া খাওয়াই হয়। তবে যদি স্বাদ বদলাতে চান, অন্য কিছুও ভাবতে পারেন। আর কোন বড়া খেতে পারেন সরস্বতী পুজোয় খিচুড়ির সঙ্গে?
পুর ভরা কুমড়োপাতার বড়া: কুমড়ো পাতলা করে কেটে তা দিয়ে বড়া খাওয়ার চল রয়েছে খিচুড়ির সঙ্গে। তবে কুমড়োপাতা দিয়েও মুচমুচে বড়া হয়। কুমড়োপাতা ধুয়ে নুন জলে ভিজিয়ে পাতাটা শুকনো করে নিন। এ বার তাতে পোস্ত, কাঁচালঙ্কা, সর্ষের তেল, স্বাদমতো নুন দিয়ে বেটে পুর হিসাবে ভরে দিন। কুমড়োপাতা ভাজার জন্য বেসন, চালের গুঁড়ি, হলুদ, লঙ্কার গুঁড়ো, স্বাদমতো নুন এবং জল দিয়ে মসৃণ মিশ্রণ বানিয়ে নিন। পুরভরা কুমড়োপাতা বেসনের মিশ্রণে ডুবিয়ে ছাঁকা তেলে ভেজে নিন।
চালকুমড়োর বড়া: চালকুমড়ো চাকা চাকা করে কেটে নিন। একটু মোটা রাখতে হবে। এ বার গোল করে কাটা চাল কুমড়োটি মাঝখান থেকে অর্ধেক করে নিন। অর্ধেক কুমড়োটি মাঝখান থেকে ফালি করে নিন। তবে সেটি দু’টুকরো হবে না, যে কোনও প্রান্তে একটুখানি জুড়ে থাকবে, যাতে তার ভিতরে পুর ভরা যায়। এ ভাবে চালকুমড়ো নুন জলে মিনিট ২-৩ ভাপিয়ে নিন।
পুরের জন্য লাগবে সর্ষেবাটা, পোস্তবাটা, কাঁচালঙ্কা, নারকেল কোরা, স্বাদমতো নুন এবং মিষ্টি। সমস্ত উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে কড়াইয়ে সামান্য তেল দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করে নিন। যাতে কাঁচা ভাব চলে যায় এবং মিশ্রণটি শুকনো হয়। এ বার চালকুমড়োর মধ্যে পুর ভরে নিন। বেসন, চালের গুঁড়ি, নুন, হলুদ, কালো জিরে, তেল মিশিয়ে নিন। জল দিয়ে পাতলা মিশ্রণ তৈরি করুন। তার পর চালকুমড়ো তাতে ডুবিয়ে তেলে ভেজে নিন।
পুঁইশাকের বড়া: পুঁইপাতা ভাল করে ধুয়ে কুচিয়ে নিন। একটি পাত্রে মটর ডাল বাটা, আতপ চাল বাটা, নুন, হলুদ, লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। প্রয়োজনে জল যোগ করুন। এর মধ্যে পুঁইপাতা মিশিয়ে দিন। তার পর বড়ার মতো ছাঁকা তেলে ভেজে নিন।
শুধু খিচুড়ি নয়, নিরামিষ রান্নার দিনে পোলাও বা ভাতের সঙ্গেও মুচমুচে বড়াগুলি খেতে ভাল লাগবে।