দেশে দেশে তার ঘর, আর, পায়ের তলায় সর্ষে। জনমানব নয়, সুরের কথা হচ্ছে। তাকে আমরা চিনি সবাই। বাড়ি তার বাংলাও। পাড়ায় পাড়ায়, ইস্কুলে-ইস্কুলে নজরুল-জয়ন্তী মানেই যে ক’টা গান একেবারে বাঁধা, ‘শুকনো পাতার নূপুর পায়ে’ তার মধ্যে পয়লা সারিতে। আরবি গানের সুর থেকে স্থায়ীটুকু নিয়ে বাকি গানটা নিজের মতো করে সাজিয়েছিলেন নজরুল। কিন্তু মূল সুরটির আধারে আরও কতগুলো দেশে কতগুলো ভাষায় যে গান বাঁধা হয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। নজরুল তাঁর একাধিক গানে আরবি, তুর্কি, মিশরীয় এমনকি কিউবার সুরও ব্যবহার করেছেন। তবে সুর-লোকে ‘শুকনো পাতা’র মতো ভূপর্যটক কমই আছে।
‘শুকনো পাতার’ গানটি প্রথম রেকর্ড করেন হরিমতী দেবী, ১৯৩৩ সালে। হরিমতী সে যুগের বিখ্যাত গায়িকা। ঢাকার নামকরা বাইজি। দু’বছর পর ওই একই সুরে নজরুলের আরও একটি গানের রেকর্ড বেরোয়। ‘ত্রিভুবনের প্রিয় মহম্মদ’, গাইলেন আব্বাসউদ্দিন আহমদ। এই সুরই ১৯৫৬ সালে হিন্দি ছবি ‘তাজ’-এর ‘ঝুমঝুম কর চলি আকেলি’ গানে লাগালেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।
কিন্তু আরবি ভাষার কোন গান থেকে মূল সুরটি নিলেন নজরুল? ষাটের দশকেই অন্বেষণ শুরু করেন নজরুল-গবেষক আসাদুল হক। বাংলাদেশের ‘দৈনিক ইত্তেফাক’-এর পাতায় ‘সঙ্গীতজ্ঞ নজরুলের বাংলা গানে আরবি সুরের সুষ্ঠু প্রয়োগ’ শিরোনামে সে কাহিনি লিখেছেন তিনি। ১৯৬৫ সালে তুরস্কের আঙ্কারায় আসাদুল একটি তুর্কি গান শোনেন, যার সুরের সঙ্গে ‘শুকনো পাতা’র অদ্ভুত মিল। নজরুল-কথিত আরবি সুর তবে কোথায়? আসাদুল লেগে রইলেন। সরকারি কাজে যখনই লেবানন বা সিরিয়া যান, সুর খুঁজে বেড়ান। এক দিন এক বৃদ্ধ বললেন, এ তো সিরিয়ার হাজার বছরের পুরনো সুর! গানটা হল, ‘বানাত ইস্কান্দারিয়া’!
‘বানাত ইস্কান্দারিয়া’ মানে ‘আলেকজ়ান্দ্রিয়ার মেয়ে’। আরবি ভাষায় আলেকজ়ান্দ্রিয়া শহরকে বলা হয়, ইস্কেন্দেরুন! সে নামের আবার একটা তুর্কি উৎস আছে। তুর্কিরা আলেকজ়ান্ডারকে ‘ইস্কেন্দার’ বলে ডাকেন। পারস্যে যা সিকন্দর, তুরস্কে তা ইস্কেন্দার। তার থেকেই ‘ইস্কেন্দেরুন’! আরব দুনিয়ার প্রসিদ্ধ এই গান মার্কিন অভিবাসী লেবানিজ় গায়ক মহম্মদ আল বক্করের সৌজন্যে পঞ্চাশের দশকে পশ্চিমি দুনিয়ায় পরিচিতি পায়। ‘গাজালি গাজালি’ বলে এই সুরে আর একটি লোকগানও লেভান্ত (লেবানন, সিরিয়া, জর্ডন, ইজ়রায়েল, প্যালেস্তাইন) অঞ্চলে বেশ প্রচলিত। একই সঙ্গে এই সুরে একটি প্রাচীন স্তোত্রও আছে— ‘তালমা আশকু ঘরামি’। ওই বৃদ্ধ যে আসাদুলকে বলেছিলেন, এ হল সিরিয়ার প্রাচীন সুর, তার একটা আভাস যেন ধরা আছে এই স্তোত্রসঙ্গীতে। কেউ কেউ অবশ্য দাবি করেন, তুরস্ক থেকেই নাকি সুরটা ওখানে গিয়েছে।
চলে আসা যাক তবে তুরস্কে। অটোমান সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোত এই সুরের গানটি সেখানে ‘কাতিবিম’ নামে পরিচিত, যার প্রথম কলি হল ‘উস্কুদারা গিদারাইকেন’! টোকিয়ো থেকে টেক্সাস, সর্বত্রগামী এই গান। ওয়র্ল্ড ল্যাংগোয়েজ-এর চ্যানেল থেকে ইউটিউবে ‘নানা ভাষায় উস্কুদারা’ বলে এর অনেকগুলো সংস্করণ এখন এক জায়গায় করা হয়েছে। ‘উস্কুদার’ আসলে তুরস্কের একটি এলাকার নাম। এক অভিজাত মহিলা তাঁর খাস নফরকে নিয়ে উস্কুদার যাচ্ছেন। যাত্রাপথে কী ভাবে তিনি সেই নফরকে ভালবেসে ফেললেন, সেই কাহিনিই গানে বলা হচ্ছে। উনিশ শতকে উস্কুদারের বাসিন্দা আজিজ বে গানটি নির্মাণ করেন।
সুর নিয়ে অবশ্য নানা জনের নানা মত। কেউ বলেন, সুরটা তুরস্কে এনেছিল একটি আর্মেনীয় গানের দল। কেউ বলেন, সুলতানকে খুশি করতে এক স্কটিশ পর্যটক নাকি তুর্কি সুরে গানটা বানিয়েছিল। আর একটি মত হল, সুরটা বহু পুরনো। তাকে নতুন কথায় বেঁধে সামনে এনেছেন আজিজ বে। সম্ভাবনাটা বাস্তবসম্মত বলে মনে হয়, কারণ গ্রিকরা ইতিমধ্যে এই সুরের উপরে তাঁদের দাবি পেশ করে রেখেছেন। কনস্টান্টিনোপলের গ্রিকরা এই সুরকে তাঁদের ট্র্যাডিশনাল সুর বলে জানেন। এই সুরে ‘আপো সেনো তোপো’ বলে একটা গ্রিক গানও তাঁরা গেয়ে থাকেন। ‘ওগো দূরদেশি মেয়ে, তোমার গালের তিলটা আমাকে দাও!’ এ রকম সে গানের ভাব। উস্কুদার অঞ্চলটির সঙ্গেও গ্রিক যোগ। প্রাচীন গ্রিক নথিতে এই জায়গাটা ক্রাইসোপলিস নামে চিহ্নিত ছিল।
গ্রিসের কথা যখন এসে পড়ল, এ বার অ্যাডেলা পিভা-র সঙ্গ নেওয়া যাক। বুলগেরীয় এই চিত্রপরিচালিকা ২০০৩ সালে ‘হুজ় ইজ় দিস সং’ নামে একটা গোটা তথ্যচিত্র বানিয়েছিলেন এই সুরটির উৎস-সন্ধানে। ইস্তানবুলে এক রেস্তরাঁয় এক দিন ‘কাতিবিম’ গানটি হচ্ছিল। নৈশভোজের সেই আসরে অ্যাডেলার সঙ্গে ছিলেন এক ম্যাসিডোনীয়, এক গ্রিক, এক তুর্কি এবং এক জন সার্ব। গানটি শোনামাত্র সকলে বলতে থাকলেন, ‘‘আরে এ তো আমাদের গান!’’ অ্যাডেলা দেখলেন, গোটা বলকান অঞ্চল জুড়েই গানটি ছড়িয়ে আছে এবং সে গানের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে বলকান জাতিগোষ্ঠীগুলোর লড়াই আর হানাহানির রেশ।
অনুসন্ধানটা শুরু হল তুরস্ক থেকেই। ওখানে ‘কাতিবিম’ খুবই প্রচলিত গান, জাতীয় অভিজ্ঞানের অঙ্গ। ১৯৪৯-এ সাফিয়ে আইলা-র গায়ন এখনও অন্যতম ক্লাসিক বলে ধরা হয়। অ্যাডেলা দেখা করে এলেন এক চিত্রপরিচালকের সঙ্গে, ষাটের দশকে তিনি কাতিবিমের কাহিনি নিয়ে একটা ছবি করেছিলেন— ‘কাতিপ’। তুর্কি তারকা জেকি মুরেন তাতে নামভূমিকায় অভিনয় করেন। এ গান যে তাদেরই, সে বিষয়ে তুর্কি জনতার বিন্দুমাত্র সংশয় নেই। অ্যাডেলা সেখান থেকে গেলেন গ্রিসে। গ্লাইকেরিয়া ও-দেশের নামী গায়িকা। তাঁর গলায় ‘আপো সেনো তোপো’ অর্থাৎ কাতিবিমের সুরে গ্রিক সংস্করণটি শোনার সৌভাগ্য হল। সেই সঙ্গে একই সুরে আরও একটি গান শোনালেন লেসবসের এক শিল্পী। সে গান বলছে, ‘আথেন্স থেকে পিরেউজের পথে আমার মোহরের বটুয়া হারিয়ে গেল, ও মেয়ে তুমি কি সেটা পেলে?’
শিল্পী: ইরানি গায়ক, বাজনদার ও নর্তকী। উনিশ শতকের সেরামিক টালিতে আঁকা
গানটা ফের বদলে গেল আলবানিয়ায় গিয়ে। দেখা গেল, ওখানে মানুষ মনে করেন গানটা ওঁদেরই। ‘‘কত পুরনো দেশ আমাদের, এ গান আমাদের নয় তো কার?’’ গেয়ে শোনালেন, ‘ললিতা, তোমার বাগানে একটা পাখি কী সুন্দর গাইছে আর তোমার হাতের ছোঁয়ায় ফুটে উঠছে ফুল!’ সিকন্দরের দেশ ম্যাসিডোনিয়া আবার দাবি করল, এ গান তারা মধ্যযুগীয় ক্রুসেডের সময় থেকে গেয়ে আসছে।
অ্যাডেলা চলে গেলেন সারাজেভো। সে শহরে তখনও যুদ্ধের ক্ষত সর্বত্র। অ্যাডেলা খুবই খাতির পেলেন। বুলগেরিয়াই যে বসনিয়াকে স্বতন্ত্র দেশ হিসেবে প্রথম মেনে নিয়েছিল, সেটা মনে রেখেছেন ওঁরা। গেয়ে শোনালেন, ‘আনাতোলিয়ার কন্যে, মহম্মদের নাম নিয়ে বলছি, এই গান তোমারই জন্যে’! বললেন, ‘‘এ আমাদের গান। আমরা মুসলিম, ক্যাথলিক, অর্থোডক্স সবাই মিলে গানটা বাঁচিয়ে রেখেছি। ফুল, তোমাকে আমি শিশিরে ধুয়ে দেব, ঢেকে রাখব রেশমে— এই লিরিক সার্বরা লিখতে পারে কখনও?” প্রেমের গানে যুদ্ধের স্পর্শ এসে লাগে। একই সুরে এখন একটা ধর্মীয় গানও ওঁদের অনেকে গাইছেন। সেটা সার্বিয়ার বিরুদ্ধে রণসঙ্গীতের মর্যাদা পাচ্ছে।
সার্বিয়াও কিছু বলার আছে বইকি! সার্বরা সুরটা শুনেই বললেন, ‘‘এ গান তো কসতানা গাইত!’’ বিশ শতকের বিশের দশকে জিপসি গায়িকা কসতানা ঢেউ তুলে দিয়েছিলেন স্লাভ-ভূমিতে। সার্বিয়ার গহরজান বলা যায় ওঁকে। পরে সাবেক যুগোস্লাভিয়ায় কসতানাকে নিয়ে নাটক-অপেরা-সিনেমা সবই হয়েছে। সার্বরা খুবই রসিয়ে সে সব গল্প বলছিলেন। অ্যাডেলা বসনিয়ার গানটা একটুখানি শোনাতেই নিমেষে বদলে গেল মেজাজ। ‘বসনিয়ার দালাল’কে তেড়ে মারতে এল সবাই।
এর চেয়েও খারাপ অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছিল ঘরের মাটিতে। উস্কুদারা-র সুরে বুলগেরিয়ারও একটা গান আছে যে! অ্যাডেলার শৈশবস্মৃতিতে ছিল সে গান। কিন্তু হাল আমলের সোফিয়ায় গানটা সে ভাবে মনে করতে পারলেন না কেউ। তবে জানা গেল, বুলগেরিয়ার স্ত্রান্দঝা অঞ্চলে গানটা এখনও গাওয়া হয়! তুরস্ক সীমান্ত লাগোয়া এই এলাকা দীর্ঘ দিন অটোমান সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। ১৯১২-১৩ সালের বলকান যুদ্ধের পর স্ত্রান্দঝা বুলগেরিয়ায় যুক্ত হয়। আজও সেই যুদ্ধ জয়ের উদ্যাপন হয়ে আসছে ওখানে। কামান-টামান দেগে বেশ একটা নকল যুদ্ধের অনুষ্ঠান। ‘বলকান বনের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই!’ ওঁদের গান সেই কথা বলে! ভালই চলছিল সব। কিন্তু অ্যাডেলা আবার ‘ভুল’ করলেন। তিনি ওঁদের বলতে গেলেন, ‘‘তুরস্কের উস্কুদারা গানটা শুনেছেন? একদম এক সুর কিন্তু!’’ রণং দেহি মেজাজ এমনিতেই ছিল মজুত। যুদ্ধটা এ বার অ্যাডেলার দিকেই ঘুরে গেল! ‘‘ওকে ধরে গাছে ঝুলিয়ে দাও!’’ হাঁক দিল জনতা। এক রাশ বিষাদ নিয়ে প্রাণ হাতে করে ফিরলেন অ্যাডেলা। তিনি কি জানেন এই সুরে বাংলা গানও আছে? অ্যাডেলার প্রযোজনা সহায়ক লিখলেন, ২০০৪ সালে অ্যাডেলা ভারতে এসেছিলেন। মুম্বইয়ের উৎসবে ছবিটা দেখার পরে অনেকেই ওঁদের বাংলা গানের কথা জানিয়েছেন!
অ্যাডেলার ছবির পরে কেটে গিয়েছে সতেরো বছর। নেট দুনিয়ায় আজও কিন্তু এই সুর নিয়ে চর্চা-তরজা চলছে পুরোদমে। যেমন ধরা যাক, মালয়েশিয়া। ষাটের দশকে মালয় ভাষার চিত্রপরিচালক পি রামলি তাঁর দুটি ছবিতে (১৯৬১ সালের ‘আলি বাবা বুজাং লাপক’, ১৯৬৮-র ‘আহমদ আলবাব’) এই সুরে গান রেখেছেন। বলিউডি ধাঁচের চিত্রায়ণ। গীতিকার ও সঙ্গীতকার রামলি নিজেই। ইউটিউবে ‘কাতিবিম’ নিয়ে আলোচনার সূত্রে গান দু’টি মনে করিয়েছেন মালয়েশিয়ার এক জন। আর একটি দল আবার দাবি করছেন, তুরস্ক বা লেভান্ত নয়, এ সুর আসলে স্পেনের। ইহুদিদের যে গোষ্ঠীটি ‘সেফার্দি’ নামে পরিচিত, এ তাদের সুর!
সেফার্দি কারা? হিব্রু ভাষায় স্পেনকে বলা হয় সেফারাদ। স্পেন এবং পর্তুগালের ইহুদিরা তাই সেফার্দি। রোম সাম্রাজ্যের শেষ দিক থেকেই তারা ওখানে ছিল। ১৪৯২ সালের পর বিতাড়িত হয়ে তাদের একটা অংশ উত্তর আফ্রিকা এবং অন্য অংশটি অটোমান সাম্রাজ্যে চলে আসে। তাদের সঙ্গে এল সুর? হবেও বা! সে যেন বিশ্বভ্রমণে রেকর্ড গড়বে ঠিক করেছে! একটু খুঁজতেই বেরিয়ে পড়ল একটি ইহুদি ব্লগ। সেখানে বলা হচ্ছে, ইহুদি প্রার্থনাসঙ্গীত ‘ইয়েদুহা রা ইয়োনাই’ এই সুরের আদি আকর। আর গান হিসেবে এর সবচেয়ে জনপ্রিয় রূপটি হল ‘ফেল শারা’। সেফার্দিদের সঙ্গে সুরটা অটোমান মুলুকে আসার পরে গানটি লেখা হয়েছিল ইটালির কোনও বন্দরে, ষোড়শ-সপ্তদশ শতকে। যে কারণে ‘ফেল শারা’র মধ্যে স্পেনীয় শব্দের সঙ্গে আরবি, ইটালীয়, ফরাসি আর ইংরেজি শব্দও মিশে গিয়েছে। গানে বলা হচ্ছে, ‘সুনয়নী, আমি যখন তোমার সঙ্গে কথা বলতে গেলাম, তুমি আমায় অপমান করলে কেন?’ ১৯৫৮ সালে গ্লোরিয়া লেভি-র রেকর্ড গানটাকে আলোচনার কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনে।
তার অনেক আগেই অবশ্য এই সুর আমেরিকায় পৌঁছে গিয়েছে ইহুদিদের সৌজন্যেই। আমেরিকায় ‘ইহুদি সঙ্গীতের রাজা’, ক্ল্যারিওনেট শিল্পী নাফটুলে ব্র্যান্ডওয়েইন ১৯২৪ সালে রেকর্ড করেন এই সুর। তার পর পঞ্চাশের দশকে ‘উস্কুদারা’ গেয়ে মাত করলেন কৃষ্ণাঙ্গী আর্থা কিট। সত্তরের দশকে ‘বনি এম’-এর ‘রাসপুটিন’-এর সঙ্গেও এ সুরের অনেক মিল। যদিও বনি এম দাবি করে, ‘রাসপুটিন’-এর সঙ্গে ‘উস্কুদারা’-র কোনও যোগসূত্র নেই!
তবে কোন যোগে কোন সূত্র রচিত হয়, তা কে-ই বা জানে নিশ্চিত! ১৯২৬ সালে কলকাতার অ্যালফ্রেড থিয়েটারে অনুষ্ঠান করে গিয়েছিলেন মিশরের নৃত্যশিল্পী ফরিদা। নজরুল বেশ আপ্লুত ছিলেন তাই নিয়ে। মিশরীয় সুরে ‘মোমের পুতুল মমির দেশের মেয়ে’ গানটির পিছনে ফরিদার আদল থাকা যেমন অস্বাভাবিক নয়, তেমনই কে বলতে পারে, ফরিদার গলাতেই হয়তো ‘আলেকজ়ান্দ্রিয়ার মেয়ে’র সঙ্গে প্রথম আলাপ কলকাতার! কে জানে!
তথ্য সহায়তা: সুতীর্থ রায়, অভীক চট্টোপাধ্যায়
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy