ছবি: বৈশালী সরকার।
আজ বিকেলে আবার একটা পার্টি আসবে। রবিবার বিকেলগুলোয় আর ছুটি নেই বিদিশার। এক এক করে পাত্রপক্ষ দেখতে আসছে আর তাকে সেজেগুজে বসতে হচ্ছে। বিদিশা বাড়িতে বলে দিয়েছে, এ ভাবে তার কাউকে পছন্দ হবে না। কিন্তু এটা নেহাতই তার মুখের কথা ভেবে বিদিশার মা-বাবা মহা উৎসাহে পরপর পাত্রপক্ষকে নিমন্ত্রণ করে যাচ্ছেন।
সকালে বারান্দায় দাঁড়াতে বাইরে দুটো শালিক দেখতে পেল বিদিশা। তার মানে বোঝা যাচ্ছে দিনটা আজকে খারাপ যাবে। বিদিশা দেখেছে, শালিক দেখার ভাগ্যটা তার উল্টো। এক শালিক দেখলে দিন ভাল যায়।
ফোনটা বেজে উঠল। ও পারে রাহুল, “আজ আবার এক দল?”
“হ্যাঁ। বলেই তো ছিলাম।”
“কোনও মতে কাটিয়ে দাও।”
“আমি কিন্তু এ ভাবে প্রতি বার কাটাতে পারব না।”
“আর তো বছর দুয়েক, একটু অপেক্ষা করো।”
“আমি বাড়িতে বলে দিচ্ছি তোমার কথা। তোমার অসুবিধে কোথায় সেটাও তো স্পষ্ট করে জানাচ্ছ না। বাড়িতে বার বার জানতে চাইছে আমার কোনও পছন্দ আছে কি না...”
“এখনই কিছু বোলো না।”
“কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না অপেক্ষাটা কেন। দু’বছর দেরি করতে চাইছই বা কেন?”
“এখনই বিয়ে-ফিয়ে করে সংসার শুরু কি না করলেই নয়! একটু স্বাধীনতা উপভোগ করতে দাও, তুমিও করো... কেউ তো পালিয়ে যাচ্ছি না। এত তাড়াতাড়ি সব কিছুতে জড়িয়ে মড়িয়ে থিতু হওয়া, জাস্ট ভাবতে পারছি না! বুঝছ না, এটা জাস্ট এখনকার ট্রেন্ড নয়!”
“তুমি কি এড়িয়ে যেতে চাইছ?”
“আমি কি তা-ই বললাম! সবে চাকরিতে থিতু হয়েছি, একটু চিল করার সময় তো দেবে...”
কথা শেষ করে ফোন রাখে বিদিশা। সে বুঝতে পারে না এই ভাবে আর কত দিন। এ ভাবে প্রতি রবিবার পাত্রপক্ষের সামনে তৈরি হয়ে বসা, ইন্টারভিউ দেওয়া খুবই বিড়ম্বনার। এই সাধারণ কথাটা কেন রাহুল বুঝতে পারছে না?
বিকেল সোয়া চারটেয় পাত্রপক্ষ এসে হাজির। পাত্রের মা, বাবা আর পাত্র নিজে।
বিদিশার মা, বাবা কিছু ক্ষণ কথা চালানোর পরে বিদিশা ঘরে ঢুকল।
বিদিশা বুঝতে পারে, সে ঘরে ঢোকার পরেই ও পারে বসে থাকা মানুষগুলো তাকে এক ঝলকের জন্য স্কেল, কাঁটা, কম্পাস দিয়ে মেপে নিল। এই অস্বস্তির কথা সে রাহুলকে বলেছে। কিন্তু রাহুলের একই কথা, “এই নাটকটা চালিয়ে যাও কয়েক দিন। আমি দেখছি।”
শুরু হল প্রশ্নমালা। সৌজন্যে পাত্রের মা— তোমার কোন অফিসে চাকরি? খুব চাপ অফিসে? বাড়ি ফিরতে ক’টা হয়? আর পড়াশোনা এগোলে না কেন? অন্য শহরে বেটার চান্স পেলে কী করবে? ছেলে যদি বাইরে চলে যায় কাজে, তুমি কলকাতার চাকরি ছাড়বে? রান্নাবান্না পারো? কাজ চালিয়ে নেওয়ার মতো?
এর পর পাত্রের মা ছেলেকে বললেন, “তোরা নিজেরা যদি কিছু কথা বলতে চাস, সেটা বলে নে জয়।”
জয় হয়তো আগ্রহী ছিল। বিদিশা বলল, “না না, ঠিক আছে।”
বিদিশার মা বললেন, “মেয়ে খুব লাজুক। সহজে মিশতে পারে না কারও সঙ্গে।”
পাত্রের মা বললেন, “ভাল তো। আজকাল সহজে মিশতে গিয়েই তো যত গোলমাল।”
ঘরে এল খাবারের প্লেট। রসগোল্লা, তিন রকম মিষ্টি। ফিশ ফ্রাই।
“আরে এত কিছু করেছেন কেন!” পাত্রের বাবা বললেন।
কোনও মিষ্টিই ছুঁয়ে দেখলেন না কেউ। কাঁটাচামচ দিয়ে ফিশফ্রাই ভেঙে অর্ধেকটা খেল তিন জন। পাত্রের মা বললেন, “জয় একদম মিষ্টি খায় না। এত কাজের চাপের মধ্যেও রোজ জিম যাবেই। ক্যালরি মেপে খায়।”
পাত্রপক্ষের কথা শেষ। বিদিশার মনে হল, পাত্রপক্ষের পছন্দ হয়েছে তাকে। বলে গেলেন, “আমরা আপনাকে জানাচ্ছি খুব দ্রুত। আপনারাও আপনাদের মত জানান, ছেলেকে পছন্দ হল কি না।”
দামি গাড়ি হাঁকিয়ে চলে গেল পাত্রপক্ষ। জানা গেল আইটি সেক্টরে কাজ করে পাত্র, লাখ টাকার উপর মাসমাইনে। কলকাতায় আর বেশি দিন নেই। অন্য শহরে বদলি হতে চলেছে। তার আগে মা-বাবা ছেলের বিয়ে দিয়ে দিতে চান।
বিদিশার মা বললেন, “বেশ এস্টাব্লিশড ছেলে। মনে হল তোকে পছন্দ হয়েছে। তোর কী মত?”
বিদিশা হেসে বলল, “যতই এস্টাব্লিশড হোক না কেন, রিজেক্ট, রিজেক্ট, রিজেক্ট।”
মেয়ের কথা শুনে রেগেমেগে মা ঘর থেকে চলে গেলেন।
বিদিশা রাহুলকে ফোন করল, “রাহুল, ছেলেটা কিন্তু ভাল চাকরি করে। ওদের আমাকে পছন্দ হয়েছে বলেই মনে হল। আমার মা-বাবারও ওদের পছন্দ হয়েছে মনে হচ্ছে।”
“তোমাকে যে কোনও লোকেরই পছন্দ হবে। তা বলে কি বিয়ে করে নিতে হবে! কাটিয়ে দাও।”
“কত দিন কাটাব? আমার খুব অস্বস্তি হয়।”
“আরে তুমি এই বিষয়টাকে এত সিরিয়াসলি নিচ্ছ কেন?”
“সিরিয়াসলি নেব না? আমাকে বার বার সেজেগুজে বসতে হচ্ছে। আর তুমি কিছু উদ্যোগ করছ না!”
“একটু অভিনয় না-হয় করলেই।”
ফোন রেখে দেয় বিদিশা।
ফের রবিবার। পাত্রপক্ষ হাজির হল বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ। বেশির ভাগ সময় পাত্রের মায়েরাই প্রশ্ন করে। মায়েদের প্রশ্নগুলোর মধ্যে বেশ পরখ করে নেওয়া ভাব থাকে। তবে অনেক প্রশ্নই কমন পড়ে। এ দিন যেমন ফের কমন পড়ল কিছু প্রশ্ন। আনকমনও পড়ল।
“চাকরির বাইরে কী হবি? অবসর সময়ে কী ভাল লাগে?”
বিদিশা বলল, “অবসর সময়ে মোবাইল ঘাঁটা-ই হবি। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ। মোবাইলে ছোট ছোট রিল দেখতে খুব ভাল লাগে।”
বোধহয় খুব একটা খুশি হলেন না পাত্রের মা। জিজ্ঞেস করলেন, “রান্নাবান্না পারো কিছু?”
বিদিশা ঘাড় নেড়ে বলল, “পারি। তবে রোজকার ভাত-ডাল ভাল পারি না। এক্সপেরিমেন্টাল রান্না ভালবাসি। টিফিনে অফিসের বন্ধুদের জন্য নতুন নতুন আইটেম করে নিয়ে যাই মাঝেমধ্যে। ওরা হামলে পড়ে খায়। বেশ প্রশংসাও করে।”
বিদিশা রান্না করতে পারে জানতে পেরেও বোধহয় অফিসের বন্ধুদের জন্য টিফিন করে নিয়ে যাওয়াটা পছন্দ হল না পাত্রের মায়ের।
“তোমরা একটু আলাদা কথা বলবে নাকি?” পাত্রের মায়ের প্রশ্ন।
মনে হল ছেলে কথা বলতে উৎসাহী। এই ছেলেটিরও বেশ সুঠাম জিম করা চেহারা।
বিদিশা বললো, “এখন থাক না। পরে কথা হবে।”
বিদিশার মা আগের মতোই বললেন, “মেয়ে খুব লাজুক। সহজে মিশতে পারে না।”
মেয়ে লাজুক শুনে মনে হল পাত্রের মায়ের পছন্দ হল।
আরও কিছু প্রশ্নের পরে কাঁটাচামচ দিয়ে দুটো মিষ্টির অর্ধেক খেয়ে আর মোগলাই পরোটা জাস্ট স্পর্শ করেই উঠে পড়ল সবাই।
জানা গেল, এই পাত্র সরকারি চাকরি করে। মাস গেলে ইনকাম প্রায় আশি হাজার। কলকাতা থেকে এখনই অন্য কোনও শহরে যাওয়ার নেই। বিয়ে করলে নতুন ফ্ল্যাট কিনে বৌকে নিয়ে থাকবে।
পাত্রপক্ষের গাড়ি বেরিয়ে যাওয়ার পরে বিদিশা বলল, “মনে হচ্ছে আমাকে পছন্দ হয়নি ছেলের বাড়ির।”
বিদিশার মা বললেন, “আমার কিন্তু খারাপ লাগেনি।”
বিদিশা হেসে বলে, “দূর! রিজেক্ট, রিজেক্ট, রিজেক্ট!”
বিদিশা ফোন করে রাহুলকে, “আবার সামনের রবিবার এক জন আসছে। যদি পছন্দ হয়ে যায়?”
রাহুল হাসতে হাসতে বলে, “বিয়ে করে নাও তাকে। আমি প্রেমিক হয়ে ঘুরে বেড়াব রাস্তায়।”
“তুমি তা-ই চাও তো?”
“তুমি এত সিরিয়াস হচ্ছ কেন? তোমাকে তো এখনই বৌ হিসেবে দেখতে পাচ্ছি না। বরং বান্ধবী হিসেবে দেখতে পাচ্ছি বেশি।”
কথাটা ভাল লাগে না বিদিশার। ফোন কেটে দেয়।
ফের এগিয়ে আসে রবিবার। এই পাত্রপক্ষের সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ আসার কথা। চলে এল পৌনে ছ’টায়।
এ বার প্রশ্ন শুরু করলেন পাত্রের বাবা, “তুমি গান জানো? গান ছেড়ে দিলে কেন? তোমার গলা যেটুকু শুনলাম তাতে তো বেশ মিষ্টি লাগল। গানের রেওয়াজটা তো চালিয়ে যেতে পারো। আমার বাড়িতে বৌ হয়ে এলে ফের গান গাওয়াটা শুরু কোরো। হারমোনিয়ামটা তো পড়েই আছে। কেউ বাজায় না। বাজাবে তো?”
“বাড়িতে পুজোআচ্চা করো? বিপত্তারিণী পুজোর নাম শুনেছ? আমাদের বাড়ির লক্ষ্মীপুজো কিন্তু তোমাকেই সামলাতে হবে। আমাদের বাড়িতে মাঝেমধ্যেই আত্মীয়স্বজন আসে। থেকেও যায়। তখন বাড়িতে অনেক লোক হয়ে যায়। ঘর শেয়ার করে থাকতে হয়। তুমি এগুলো অ্যাডজাস্ট করতে পারবে তো?”
এ বার প্রায় সব আনকমন প্রশ্ন। কিন্তু এগুলো উত্তর দিতে খারাপ লাগছিল না বিদিশার।
রসগোল্লা-সহ দু’রকমের মিষ্টি আর আর চিকেন মোমো এল।
ছেলের বাবা এ বার ছেলের দিকে তাকিয়ে বললেন, “কী রে রাজীব, তুই তো মোমো খেতে ভালবাসিস! লজ্জা পাচ্ছিস কেন?”
রাজীব এ বার মুখ খোলে, “সত্যিই খুব খিদে পেয়েছিল। অফিস থেকে সোজা এলাম তো।”
বিদিশার মা জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার রবিবারও অফিস?”
“হ্যাঁ, একটা ক্লায়েন্ট ভিজ়িট ছিল। তাই যেতে হয়েছিল। এখন আবার এখান থেকে হাসপাতাল যাব। এক কোলিগ ভর্তি আছে। ওর ব্লাড লাগবে। রবিবারও সারা দিন ব্যস্ততার মধ্যেই কাটে।”
কাঁটাচামচ সরিয়ে রেখে ছেলে প্লেট থেকে দুটো রসগোল্লাই তুলে নিল। মুখে পোরার আগে আবার রসগোল্লার রস টিপে রসটা প্লেটে ফেলল। তার পর টপাটপ মুখে দিয়ে দিল রসগোল্লা দুটো।
ছেলেটার রসগোল্লা খাওয়ার দৃশ্যটা বিদিশা অবাক চোখে দেখল। তার পর এই প্রথম ছেলেটার দিকে ভাল করে তাকাল। রোগাটে চেহারা, ফর্সা, গালে হালকা দাড়ি, বেশ বড় বড় সারল্য মাখা চোখ।
এ বার মুখ খুললেন ছেলের মা। বললেন, “ওর তো আবার এই বয়সেই বর্ডারলাইন শুগার ধরা পড়েছে। ও দিকে মিষ্টি খেতে খুব ভালবাসে। যা ভালবাসে তা সহজে ছাড়তে চায় না। রাজীবের মিষ্টি খাওয়াটা একদম ছাড়াতেই পারছি না।”
রাজীব মৃদু হেসে বলল, “আজকাল ক্যালরি মেপে খায় সবাই। অতটা পেরে উঠি না। যোগব্যায়াম করি। নিয়ম করে উচ্ছে, করলা খাই। রোজ সকালে নিমপাতার রস, মেথি ভেজানো জল। মিষ্টির জন্যই নানা কাউন্টারের আয়োজন।”
পাত্রপক্ষ যাওয়ার পরে হাসির রোল উঠল বিদিশার মা-বাবার মধ্যে।
বিদিশার বাবা বললেন, “কোথা থেকে এলেন এরা? প্রোফাইল দেখে তো ভালই লেগেছিল। মা, বাবা, ছেলে মিলে প্লেট পুরো সাফ করে দিয়েছে।”
বিদিশার মা বললেন, “মোমোটা আরও দু’প্লেট আনলে ভাল হত। মোমোর সুপটাও শেষ করে দিয়েছে। ছেলের বাড়ি কি কোনও আদবকায়দা জানে না? ছেলে কেমন রসগোল্লার রস টিপে খাচ্ছিল দেখলে?”
বাবা বলেন, “আর কী সব প্রশ্ন! মেয়ে গান জানে কি না। পুজো করে কি না। এ সব প্রশ্ন আজকাল কেউ করে? গান জেনে কি শাশুড়িকে গান শোনাবে মেয়ে? চাকরি না করে কি মেয়ে বাড়িতে পুজোআচ্চা করবে?”
বিদিশার বাবা বলেন, “ছেলে বোধহয় সে রকম কিছু করে না। দেখছ না রবিবারও অফিসের ক্লায়েন্ট ভিজ়িট করছে। চাকরিতে এখনও সেভাবে সেটল ডাউন করতে পারেনি বলেই মনে হয় রবিবারও কাজ করতে হয়। এই ছেলে এলিজিবল ব্যাচেলর নয়। পরিবারটাও কেমন যেন!”
বিদিশার মা মেয়েকে বললেন, “তোকে আর বলতে হবে না, আমরাই বলছি। এই নিমপাতার রস রিজেক্ট, রিজেক্ট, রিজেক্ট।”
বিদিশা উত্তর না দিয়ে নিজের ঘরে চলে এল। তাকে অন্যমনস্ক দেখাচ্ছে। বার বার মনে পড়ে যাচ্ছিল রসগোল্লার রস টিপে ছেলেটার মিষ্টি খাওয়ার দৃশ্যটা! কোনও ভণিতা তো নেই। বিয়ের সম্বন্ধের সময় সকলে নেগেটিভ কথা লুকিয়ে রাখে, মা কেমন অকপটে বলে দিল ছেলের বর্ডারলাইন শুগার!
ছেলের মায়ের ওই কথাটাও বার বার মনে পড়ে যাচ্ছে, যাকে ভালবাসে তাকে সহজে ছাড়তে পারে না। নিমপাতা বিদিশার দু’চোখের বিষ। খেলে মনে হয় মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত তেতো হয়ে গেল! মিষ্টি ভালবাসে বলে ছেলেটা রোজ নিমপাতার রসও খায়!
ছেলেটার বাবা কেমন বলল, গানটা আবার শুরু করো না কেন! কত সহজ ভাবে কথাগুলো বলছিলেন উনি! যেন অনেক দিনের চেনা কোনও স্নেহশীল গুরুজন!
বিদিশা ফের মা-বাবার ঘরে এল। মাকে বলল, “মা, আমি ছেলেটার সঙ্গে একটু আলাদা করে কথা বলতে চাই। ফোন নম্বরটা দিয়ো তো।”
বিদিশার মা-বাবা অবাক হয়ে পরস্পরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করলেন।
ঘরে ফিরে এসে বিদিশা দেখে, মোবাইল বাজছে। রাহুল। ফোনটা বেজেই চলেছে। ফোনটা না ধরে উল্টে রাখল বিদিশা। চার বছর প্রেমের পর নিজেকে বান্ধবী হিসেবে ভাবতেও ওর ভাল লাগছে না। ফোনটা বেজে বেজে থেমে যেতে বেশ হালকা লাগল তার। মনে হচ্ছে, ভালবাসার সবটাই মিষ্টি নয়, তাতে নিমপাতার রসও কখনও কখনও জরুরি। ছেলেটার সঙ্গে দেখা না হলে এ কথাটা বিদিশা হয়তো কোনও দিন জানতেই পারত না।
বারান্দায় বেরিয়ে দেখে, পাঁচিলে একটা শালিক এসে বসেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy