শিল্পী: কেতকী দত্ত। শিল্পের উৎকর্ষের প্রসঙ্গে চিরকাল ছিলেন আপসহীন। —ফাইল চিত্র।
শতরূপা সান্যালের ‘বারবধূ’ টেলিছবিতে অভিনয়ের ডাক পান কেতকী দত্ত, ২০১৩ সালে। সুবোধ ঘোষের ছোটগল্প অবলম্বনে ১৯৭১ সালে ‘চতুর্মুখ’ নাট্যগোষ্ঠীর নাটক ‘বারবধূ’-তে লতার চরিত্রে অভিনয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সবচেয়ে নিন্দিত, সেই গল্প অবলম্বনে টেলিছবিতে এ বার তিনি ‘মাসিমা’র ভূমিকায়। শুটিং চলাকালীন এক বার বলেছিলেন, “দেহপট সনে নট সকলি হারায়, কিন্তু আমি জ্বলজ্বলে পটেশ্বরী থাকাকালীনই সব হারিয়েছিলাম ‘বারবধূ’ নাটকে অভিনয় করার জন্য। পরে যখন সেই গল্প অবলম্বনে চলচ্চিত্র তৈরি হয় বা এখন যখন টেলিছবি হয়, তখন কেউ কিছু বলেন না কেন?” এ প্রশ্নের উত্তর তিনি জীবনকালে পাননি। অথচ এ নাটকে অভিনয়ের জন্য তিনি প্রায় দশ বছর কোনও কাজ পাননি। তাঁর গায়ে ‘ভালবাসার ব্লো হট-নাটক’-এর নায়িকার তকমা পড়ে গেছে।
তাঁর মা, অভিনেত্রী প্রভাদেবীর সূত্রেই অভিনয়ে আসা কেতকী দত্তের। তখন তাঁদের বাস শ্রীরঙ্গম থিয়েটারে (পরে বিশ্বরূপা)। সকাল-বিকেল উইং-এর ধারে বসে মহড়া দেখতে দেখতে পুরো নাটকটাই মুখস্থ বলতে পারত ‘ছোট’। দুপুরবেলা ফাঁকা মঞ্চে একা দাঁড়িয়ে সব চরিত্র অভিনয় করত। এক দিন পরিচালক নাট্যাচার্য শিশিরকুমার হঠাৎই ছোটর অভিনয় দেখে মুগ্ধ। প্রভাদেবীকে ডেকে বলেন নিয়মিত মেয়েকে তালিম দিতে। সেই থেকে কেতকীর প্রথাগত অভিনয় শিক্ষা শুরু, মা ও জেঠামশাই শিশির ভাদুড়ীর কাছে। সঙ্গে নাচ-গানের তালিম। মাত্র সাত বছর বয়সে ‘প্রোপাগান্ডা’ ছবিতে প্রথম অভিনয়। এর পর ১৯৪১-এ ‘গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরি’র রিক্রিয়েশন ক্লাবের ‘শাজাহান’ নাটকে প্রথম মঞ্চাভিনয়। শ্রীরঙ্গমে উল্লেখযোগ্য ‘চন্দ্রগুপ্ত’ নাটকে ‘আত্রেয়ী’ চরিত্রে কৃষ্ণচন্দ্র দে’র সঙ্গে তাঁর অভিনয়। নাটকে তাঁর প্রধান কাজ ছিল অন্ধ ভিক্ষুকরূপী কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে মঞ্চে প্রবেশ, ‘ঘনতমসাবৃত অম্বর ধরণী’ গানটি শেষে তাঁকে নিয়েই মঞ্চ থেকে প্রস্থান। ছোট বুঝতে পারেনি যে ‘কৃষ্ণদাদু’ সত্যই অন্ধ। এক দিন মঞ্চে ঢোকার সময় অন্যমনস্ক হয়ে হাত ছেড়ে দিলে কৃষ্ণচন্দ্র প্রচণ্ড হোঁচট খান, পরমুহূর্তেই সামলে নেন। সবাই যখন ছোটকে বকছে, তখন কৃষ্ণদাদু তাঁকে কাছে টেনে বলেন, ‘আমি যে সত্যিই চোখে দেখতে পাইনে ভাই, কোনও দিন আমাকে ও ভাবে ছাড়িসনি।’ আর কোনও দিন ভুল হয়নি।
১৯৪৭ সাল, মুরারি ভাদুড়ির পরিচালনায় নাটক ‘সিরাজদ্দৌলা’। সমস্যা হল লুৎফা চরিত্র নিয়ে, কোনও অভিনেত্রীকেই পছন্দ হচ্ছে না। শিশিরকুমার পরামর্শ দিলেন, লুৎফা চরিত্রে অভিনয় করবে ছোট। প্রভাদেবী নারাজ, তেরো বছরের মেয়ে কী করে লুৎফা হবে? শিশিরকুমারের তত্ত্বাবধানে শেষ পর্যন্ত বালিকা কেতকীকে চার-পাঁচটা জামা ও উঁচু হিলের জুতো পরে দীর্ঘকায় মুরারির বিপরীতে লুৎফা সাজতে হল। অসাধারণ গান ও অভিনয়ে নিজেকে ‘লুৎফা’ হিসাবে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলেন কেতকী।
ফড়িয়াপুকুরের বিখ্যাত দত্তবাড়ির ছেলে মদন দত্ত শ্রীরঙ্গমে আসতেন থিয়েটার দেখতে। সেখানেই কেতকীর সঙ্গে পরিচয়, বিয়ের সিদ্ধান্ত। কিন্তু ‘নাটকের বাড়ি’র মেয়ের সঙ্গে ছেলের বিয়ে দিতে কিছুতেই রাজি নন মদনবাবুর পিতা। শেষে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে মদন দত্তের সঙ্গে কেতকীর বিয়ে ১৯৪৯-এর মার্চে। মদন ত্যাজ্যপুত্র, পারিবারিক ব্যবসা থেকেও বঞ্চিত। আমৃত্যু দত্তবাড়িতে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল কেতকীর।
১৯৫২-র ৮ নভেম্বর মৃত্যু হয় প্রভাদেবীর। কেতকীরও জীবনসংগ্রাম শুরু। বাড়িতে প্রায়-পঙ্গু পিতা, ছোট ভাইবোন আর বেকার স্বামী-সহ ছ’জনের সংসার। অসহায় কেতকীর উপার্জনই ভরসা। অভিনয়ই ছিল তাঁর কাছে অর্থ উপার্জনের একমাত্র পথ। নাটকের পাশাপাশি নিয়মিত চলচ্চিত্রেও অভিনয় শুরু, ১৯৪৭ থেকে। সে অর্থে তাঁর চলচ্চিত্রে হাতেখড়ি প্রেমেন্দ্র মিত্রের ‘নতুন খবর’ ছবিতে। এর পর জ্যোতিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বঞ্চিতা’ ও নীতিন বসুর ‘দৃষ্টিদান’ ছবিতে অভিনয় করেন। ‘দৃষ্টিদান’ ছবিতে নায়িকা সুনন্দা দেবীর ছোটবেলার চরিত্রে ছিলেন কেতকী, নায়ক অসিতবরণের ছোটবেলার চরিত্রে উত্তমকুমার (তখন অরুণকুমার)। কেতকী তাই মজা করে বলতেন, তিনিই উত্তমের প্রথম নায়িকা। ১৯৪৭-এ ‘নতুন খবর’ থেকে শুরু করে ২০০৩-এ ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’ পর্যন্ত প্রায় ৮০-৯০টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। বিশেষ উল্লেখ্য ঋত্বিক ঘটকের ‘নাগরিক’ ও ‘কোমলগান্ধার’, অপর্ণা সেনের ‘সতী’। ছোটপর্দায় উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রাজা সেনের ‘মুখগুলি’, তপন সিংহের ‘হুতোমের নকশা’, ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘নতুন বাড়ি’-সহ বহু টেলিছবি ও সিরিয়াল।
শ্রীরঙ্গম থেকে মিনার্ভায় যোগ দেন ১৯৪৯-এ। সেখানে তখন দীর্ঘ পঁচিশ বছর পর আবার ‘আত্মদর্শন’ নাটক নতুন করে অভিনীত হয়। প্রথম বার ‘সুখ’ করেছিলেন রেণুবালা, এ বার সেই চরিত্রে কেতকী। এর পর ১৯৫৬-তে স্টার থিয়েটারে যোগ দেন। সেখানে ‘টিপু সুলতান’ থেকে শুরু করে অনেক নাটকে অভিনয় করেন, মাঝে ‘ঝিন্দের বন্দী’-তে অভিনয়ের জন্য ফের মিনার্ভায় যোগ দেন ১৯৫৫ সালে। ১৯৫৬-তে রংমহলে যোগ দেন, ১৯৬৩ পর্যন্ত টানা সাত বছর অভিনয়।
রংমহলে ‘মায়ামৃগ’ নাটক চলাকালীন হলে গোলযোগ, শুরু হয় কর্মী আন্দোলন। আন্দোলনে যোগ দেন কেতকী, বহু দিন রাত কাটিয়েছেন হলের সামনে। ‘মায়ামৃগ’ নাটকে অভিনয়সূত্রে তখন তিনি খ্যাতির চূড়ায়। রংমহল থেকে ১৯৬৬-তে যোগ দেন কাশী বিশ্বনাথ মঞ্চে। সেখানে প্রথমে ‘দয়াল অপেরা’ ও পরে ‘অ্যান্টনি কবিয়াল’ নাটকে অভিনয় করেন। বিধায়ক ভট্টাচার্য রচিত ‘অ্যান্টনি কবিয়াল’ নাটকের প্রযোজনাও করেন তিনি। তিনিই এ দেশের প্রথম মহিলা নাট্য প্রযোজক। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীও এ নাটকের অভিনয় দেখে ও গান শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন।
কিছু দিন যাত্রায় অভিনয় করেন, তাঁর অভিনীত ‘নটী বিনোদিনী’ পালা বিপুল জনপ্রিয় হয়। অসীম চক্রবর্তীর ‘চতুর্মুখ’-এর সদস্য হন; প্রথমে ‘জনৈকের মৃত্যু’ ও পরে ‘বারবধূ’ নাটকে অভিনয় করেন। ‘বারবধূ’ নাটক একটানা প্রায় তেরোশো রজনী অভিনয় হয়। ১৯৭৪-এর ১২ জুন অ্যাকাডেমি মঞ্চে ‘বারবধূ’ নাটকের অভিনয় ছিল, কিন্তু কর্তৃপক্ষ ‘চতুর্মুখ’ নাট্যগোষ্ঠীকে অনুমতি দেননি, টিকিট কাউন্টারও বন্ধ করে দেওয়া হয়। দর্শকদের বিপুল চাহিদার কাছে পরে যদিও হার স্বীকার করতে হয়, সে দিন ও পরে আরও বেশ ক’বার ওই মঞ্চেই ‘বারবধূ’ অভিনীত হয়। এর পর ১৯৭৪-৭৫ সাল থেকে ‘অধোগতি’র সূচনা। মাঝে একটি যাত্রা দল গড়েন, প্রযোজনা করেন ‘মীরাবাঈ’ যাত্রাপালা। বাঁকুড়ার গ্রামে যাত্রা করতে গিয়ে দেখেছিলেন পোস্টারে লেখা, আজকের পালার মূল আকর্ষণ ‘বারবধূ’ খ্যাত ‘মীরাবাঈ’।
মাঝের কয়েকটি কর্মহীন বছরে কিছুটা শ্বাস নিয়েছিলেন ‘উষ্ণীক’-এর প্রযোজনায় ঈশিতা মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘কমল কামিনী’ নাটকে একক অভিনয়ে। ‘কারুকৃতি’র প্রযোজনায় ‘বারোমাস্যা’ ও ‘মননিকেতন’ নাটকে অভিনয়, মায়ের স্মৃতিতে তৈরি নাট্যগোষ্ঠী ‘মঞ্চপ্রভা’র প্রযোজনায় সঞ্জীব রায়ের পরিচালনায় অভিনয় ‘নিজভূমে’ নাটকে। এ নাটকে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেন ছোট ভাই চপল ভাদুড়ি। ১৯৯৯ সালে তাঁর মুক্তি, ঊষা গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘মুক্তি’ নাটকে। এক অনুষ্ঠানে কেতকী দত্তকে ঊষা বলেন মহাশ্বেতা দেবীর ছোটগল্প অবলম্বনে একটা বাংলা নাটক ভাবছেন তিনি, ‘রঙ্গকর্মী’র প্রথম বাংলা নাটক। কেতকী আনন্দ পেয়েছিলেন, ভয়ও। বহুকাল মঞ্চাভিনয়ের সঙ্গে যোগাযোগ নেই, নাট্যাভিনয়ের আঙ্গিকও যে অনেকটাই বদলে গেছে!
ঠিক এই সময়, ১৯৯৯-এ কেতকীদির সঙ্গে আমার পরিচয়। ওঁর ঠিকানা তখন বেলগাছিয়া ভিলার সরকারি আবাসন। কাছের এক পাড়ায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমার গান গাওয়ার আমন্ত্রণ আসে, তখন বাংলা নাটকের গান সম্পর্কে কিছুই জানি না, আধুনিক গান গাই। উদ্যোক্তারা অনুষ্ঠানে কেতকী দত্তকে সংবর্ধনা দেন। আমি গান গেয়ে মঞ্চ থেকে নামছি, মঞ্চের পিছনে এসে তিনি সরাসরি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, “অ্যাই ছেলে, আমার সঙ্গে নাটকের গান করবি?” আমি তো হতভম্ব, ভয়ও পেয়েছি। তবু কী জানি কেন ‘হ্যাঁ’ বলে দিলাম। তিনি বললেন, “রবিবার সকালে চলে আয়, তোকে নাটকের গান শেখানো শুরু করব।” গিয়ে দেখি উনি হারমোনিয়াম নিয়ে বসে। প্রথম দিকে নাটকের গান তুলতে খুবই বেগ পেতে হয়েছিল, প্রায়ই বকুনি খেতে হত। ওঁর কাছেই শুনেছিলাম আগে কয়েক জন ছেলেমেয়ে তাঁর কাছে এসেছে নাটকের গান শিখতে, বা তিনিই ডেকেছেন, কিন্তু তাঁরা বেশি দিন থাকেনি। বলতেন, “সকলেই আমায় ছেড়ে চলে গেছে, তুই যাস না।”
প্রথম প্রথম অসুবিধে হত। ঠিক সুরেই গান গাইতাম, কিন্তু দিদির তা পছন্দ নয়। বলতেন, “অভিনয় চাই, গানে অভিনয় না থাকলে তুমি ফেল।” সাধারণ গান আর নাটকের গানের মধ্যে প্রধান তফাত, প্রথম ধরনের গানে সুর প্রধান আর দ্বিতীয়তে অভিনয় প্রধান। যাঁর সুর অভিনয় দুটো গুণই আছে তাঁর ক্ষেত্রে ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় অসাধারণ। কেতকী দত্তের এই দুটো গুণই ছিল। নাটকের গান শেখানোর সময় প্রথমেই নাটকটি পুরোটা বলতেন, যে চরিত্রের গান সেটি বিশ্লেষণ করতেন, তার পর নাটকে গানটি গাওয়ার আগের মুহূর্তের অভিনয় করে দেখাতেন।
অনেক সময়েই আমাদের অনুষ্ঠান করতে যেতে হত অনেক দূরে। গাড়িতে অত দূর গিয়ে আমরা সকলেই খুব ক্লান্ত হয়ে পড়তাম, কিন্তু কেতকীদি কখনও নয়। এক বার কলকাতায় অনুষ্ঠান সেরে সে দিনই গিয়েছি হাড়োয়া, পৌঁছে সবাই ক্লান্তিতে ভেঙে পড়েছি। হঠাৎ নজরে পড়ল কেতকীদি নেই। দেখি, পাশের ফাঁকা মাঠে তিনি একটি বাচ্চা মেয়েকে নাচ শেখাচ্ছেন, অক্লান্ত।
এক-এক দিন ‘মুক্তি’র মহড়ায় অবাক হয়ে দেখেছি তিনি কেমন ঊষা গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে মহড়া দিচ্ছেন। ‘মুক্তি’-র প্রথম অভিনয় ১৯৯৯-এর ডিসেম্বরে। ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কল্যাণী ঋত্বিক সদনে ‘মুক্তি’র অভিনয় চলাকালীন মঞ্চ থেকে পড়ে গিয়ে বাঁ পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়। অসম্ভব মনের জোরে কয়েক মাসের মধ্যেই সুস্থ হয়ে ওঠেন। ২০০০-২০০৩ সালে গানের অনুষ্ঠানই করেছেন দু’শোর উপর। সেরা সম্মান ‘সঙ্গীত নাটক অকাদেমি’ পুরস্কারও পান।
ক্যানসার যে তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছে, তা কেউই বুঝতে পারিনি। মাঝেমধ্যেই অল্প অসুস্থ হয়ে পড়তেন, কাজের ঝোঁকে গুরুত্ব দেননি। ২০০৩-এর ১৫ ফেব্রুয়ারি রানাঘাটে নাটকের গানের অনুষ্ঠান, সকাল থেকেই খুব অসুস্থ তিনি। অনুষ্ঠান বাতিল করতে কিছুতেই রাজি হননি, যন্ত্রণা সয়ে যথাসম্ভব গান করেন। ফেরার পথে প্রচণ্ড অসুস্থতা, পরদিন হাসপাতালে ভর্তি। পরীক্ষায় জানা যায় ক্যানসার সারা শরীরে ছড়িয়ে গেছে। শেষ কয়েক মাস খুব কষ্ট পেয়েছিলেন। ২০০৩ সালের ৮ জুলাই তাঁর প্রয়াণ।
দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের ‘নাটকের মতো’ ছবিটি দেখতে দেখতে মনে হয়, জলে ডুবে অভিনেত্রী কেয়া চক্রবর্তীর মৃত্যু একটা ঘটনামাত্র, ওঁর মৃত্যু হয়েছে বার বার গোটা জীবন জুড়ে, তার আপনজনের অনাদর অবহেলা অপ্রেমে। মনে হয়, আর একটা ‘নাটকের মতো’ বানানো যায় না, যেখানে বেরিয়ে আসবে আমাদের আর এক প্রিয় অভিনেত্রী কেতকীদির যন্ত্রণা, অসম্মান, অবহেলার ইতিহাস? আমরা আরও এক বার মাথা হেঁট করে দাঁড়াব সত্যের মুখোমুখি!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy