কাজের ফাঁকে ফাঁকে কফির কাপে চুমুক দেন। কাজের একঘেয়েমি যেমন কাটে, তেমনই কাপে চুমুক দেওয়ামাত্রই মেজাজটাও কেমন চনমনে হয়ে ওঠে। কফি খেতে খেতে সহকর্মীদের সঙ্গে খানিক গল্পগাছাও হয়।
তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ক্যাফিনের পরিমাণের উপর লাগাম রাখতে না পারলে উপকারের বদলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যে কোনও ধরনের কফিতে এমন সম্ভাবনা রয়েছে, তা নয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অতিরিক্ত ‘আনফিল্টার্ড’ কফি খেলে রক্তে ‘এলডিএল’ বা ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
তবে সুইডেনের একদল গবেষক আবার এই ধরনের সমস্যার জন্য কফির সঙ্গে তার মেশিনটিকেও দায়ী করেছেন। অফিসগুলিতে সাধারণত যে ধরনের কফি তৈরির মেশিন থাকে, তাতে আলাদা করে কফি ফিল্টার করার উপায় থাকে না। গবেষকেরা বলছেন, মেশিন থেকে নিঃসৃত কফির মধ্যে ‘ক্যাফেস্টল’ এবং ‘কাহ্ভিয়ল’ নামক দু’টি উপাদান থাকে, যেগুলি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। কফি বীজের তেলের মধ্যেও এই দু’টি উপাদানের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
কফি মেশিনে থাকা ধাতব ছাঁকনি কিন্তু ক্ষতিকর এই উপাদানগুলি ছাঁকতে পারে না। কিন্তু ফিল্টার পেপারের সাহায্যে পানীয়টি ছেঁকে নিলে শরীরে এই ধরনের পদার্থ প্রবেশ করার ভয় থাকে না। গবেষকেরা বলছেন, মেশিনে তৈরি এক লিটার কফির মধ্যে প্রায় ১৭৬ মিলিগ্রাম ক্যাফেস্টল থাকে। ওই একই পরিমাণ কফি ফিল্টার পেপারে ছেঁকে দেখা গিয়েছে, সেখানে ক্যাফেস্টল রয়েছে প্রায় ১২ মিলিগ্রামের মতো। সুতরাং, যাঁদের দিনে অন্ততপক্ষে ৩ থেকে ৪ কাপ মেশিনে তৈরি কফি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে, তাঁদের কার্ডিয়োভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।