৫ জানুয়ারি সাইনার একটি টুইটের পর তাঁকে নিশানা করেছিলেন সিদ্ধার্থ। ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার। সে দিন পঞ্জাবের ফিরোজপুরে একটি জনসভায় যাওয়ার পথে ভাটিন্ডা বিমানবন্দর থেকে নেমে সড়কপথে এগোচ্ছিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। তবে যাত্রাপথে একটি উড়ালপুলে ১৫-২০ মিনিট সে কনভয় আটকে যায়। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গাফিলতির অভিযোগে পঞ্জাব সরকারকে কাঠগড়ায় তোলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নীর পদত্যাগও দাবি করেন মোদীর মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। যদিও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেন চন্নী। এই মুহূর্তে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের তদন্তাধীন। ওই ঘটনার নিন্দা করে সাইনার টুইট ছিল, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যাহত হলে কোনও দেশই নিজেকে সুরক্ষিত বলতে পারে না। নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা যে ভাবে প্রধানমন্ত্রীর উপর কাপুরুষোচিত আক্রমণ করেছেন, তার তীব্র নিন্দা করি।’
সাইনার টুইটের পরের দিন ৬ জানুয়ারি তাঁকে আক্রমণ করেন সিদ্ধার্থ। সাইনার নাম না করে তাঁকে নিশানা করেন তিনি। অলিম্পিক্সে পদকজয়ী ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়ের উদ্দেশে তাঁর টুইট, ‘বিশ্বের সাট্ল কক চ্যাম্পিয়ন... ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে ভারতের রক্ষাকর্তা রয়েছেন।’ সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন, ‘#রিহানা তোমার লজ্জা হওয়া উচিত।’ প্রসঙ্গত, গত বছর মোদী সরকারের তিন বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন আমেরিকার পপ তারকা রিহানা। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর টুইট-বার্তার জন্য গেরুয়া শিবিরের তরফে সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন তিনি।
যদিও এই প্রথম নয়। এর আগে খোদ মোদীর দিকেই তির ছুড়েছিলেন সিদ্ধার্থ। করোনাকালে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে প়ড়েছে বলে দাবি করেন তিনি। কোভিড রোগীদের জন্য অক্সিজেনের বন্দোবস্ত করতে ব্যর্থ বলেও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন সিদ্ধার্থ। টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, ‘অক্সিজেনের অভাবে দেশে লোকজন মরছে। আর সংবাদমাধ্যম একে শীর্ষনেতার বিরুদ্ধে প্রচার বলে উড়িয়ে দিচ্ছে, জঘন্য!’ সিদ্ধার্থের টুইটের পর তাঁকে পাল্টা আক্রমণ করেন মোদী-ভক্তরা। তাঁদের কটাক্ষ, ‘এত কথা না বলে অভিনেতা সোনু সুদের মতো ময়দানে নেমে কাজ করুন না!’
মোদীর বিরুদ্ধে এর পরেও আক্রমণ চালিয়ে যান সিদ্ধার্থ। এ বার আরও তীব্র ভাবে হামলা করেন তিনি। সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প নিয়ে মোদীর বিরুদ্ধে তাঁর সরাসরি আক্রমণ, ‘২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে শুধুমাত্র তর্কাতীত ভাবে অপ্রয়োজনীয় # সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে। এই টাকা নিজের দাড়ির পরিচর্যা করারই শামিল। তার বদলে তা করোনার টিকা ও জনস্বাস্থ্য খাতে খরচ করা উচিত।’ এ নিয়েও কম ট্রোলড হননি সিদ্ধার্থও।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও দক্ষিণের বিজেপি নেতারাও তাঁর নিশানায় উঠে এসেছেন। বেঙ্গালুরু দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্যকে আক্রমণ করেন সিদ্ধার্থ। একটি হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিয়োয় তেজস্বীর দাবি ছিল, বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা (বিবিএমপি)-র দক্ষিণ জোনে কোভিড রোগীদের শয্যা অপ্রতুল হওয়ায় পিছনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা দায়ী। এর পর তাঁকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বসেন সিদ্ধার্থ। তিনি লিখেছিলেন, ‘তেজস্বী সূর্য ২৬/১১-র হামলায় ধৃত আজমল কসভের থেকেও বেশি ক্ষতিকারক, তাঁর থেকে এক দশকের বড়ও বটে।’ এই টুইট নিয়েও বিতর্কে জড়াতে দেরি হয়নি সিদ্ধার্থের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy