India-Pakistan Conflict: LCA Tejas to introduce in IAF dgtl
hal tejas
বাতিল হচ্ছে মিগ ২১, আকাশযুদ্ধকে অন্য মাত্রা দিতে আসছে তেজস
অভিনন্দনের মতো অন্যতম সেরা পাইলটের হাতে পড়ে এফ১৬ ধ্বংস করে কেরামতি দেখালেও ‘বুড়ো’ মিগকে বাহিনী থেকে সরিয়ে ফেলার কাজটা শুরু হয়েছিল আগেই। মিগের জায়গায় আসতে চলেছে তেজস বিমান।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৯ ১১:২৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
অভিনন্দনের মতো অন্যতম সেরা পাইলটের হাতে পড়ে এফ১৬ ধ্বংস করে কেরামতি দেখালেও ‘বুড়ো’ মিগকে বাহিনী থেকে সরিয়ে ফেলার কাজটা শুরু হয়েছিল আগেই। মিগের জায়গায় আসতে চলেছে তেজস বিমান। লাইট কমবাট এয়ারক্রাফ্ট তেজস হল ভারতে তৈরি চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। তৈরি করেছে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)। মিগ-২১ এর পরিবর্ত হিসাবে বায়ুসেনায় জায়গা নেবে তেজস।
০২১৬
শব্দের থেকে দ্রুতগামী এবং নিজস্ব মানের যুদ্ধবিমানগুলির মধ্যে পৃথিবীর সব থেকে হালকা যুদ্ধবিমান তেজস। এটি ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে বানানো দ্বিতীয় যুদ্ধবিমান।
০৩১৬
এটি মাল্টি-রোল, সুপারসনিক এক-ইঞ্জিন বিশিষ্ট ফাইটার জেট। এই বিমানের ডিজাইন, গবেষণা এবং নির্মাণ পুরোটাই ভারতে হয়েছে।
০৪১৬
ছোট এবং হাল্কা হওয়ার ফলে একদিকে যেমন একে শত্রুরা সহজে টার্গেট করতে পারবে না, অন্যদিকে, আকাশে একে ধাওয়া করাও বেশ কঠিন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
০৫১৬
খুব হালকা ওজনের হলেও তেজস যুদ্ধবিমান অত্যন্ত শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র বয়ে নিয়ে যেতে পারে। শত্রুপক্ষের নজরের বাইরে থাকা অবস্থাতেও নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে তেজস।
০৬১৬
রাজস্থানের পোখরানে পাক সীমান্তে আকাশে উড়ন্ত অবস্থাতেই মাটিতে থাকা লক্ষ্যবস্তুর দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তেজস। একই সঙ্গে আকাশে উড়তেই উড়তেই জ্বালানি ভরা হয়েছে যুদ্ধবিমানের ট্যাঙ্কে।
০৭১৬
এই ক্ষমতার জন্য তেল শেষ হয়ে গেলেও আকাশেই তেল ভরে নিয়ে ফের আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে পারে তেজস। তেজস-এর দায়িত্ব পেয়েছে বায়ুসেনার ৪৫ নম্বর স্কোয়াড্রন। যার অন্য নাম ফ্লাইং ড্যাগার্স। এই স্কোয়াড্রন এতদিন মিগ-২১ বাইসন বিমান উড়িয়েছে।
০৮১৬
বেঙ্গালুরুতে ভারতীয় বায়ুসেনার আকাশযুদ্ধের মহড়া ‘এরো ইন্ডিয়া’তে অংশ নিয়েছিল তেজস। ভারতের বায়ুসেনার হাতে সদ্য তুলে দেওয়া হয়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে বানানো তেজস যুদ্ধবিমান। বেঙ্গালুরুতেই ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত অবস্থায় তুলে দেওয়া হয়েছে তেজস।
০৯১৬
তিরুঅনন্তপুরমে অবস্থিত ভারতীয় বায়ুসেনার সাদার্ন এয়ার কমান্ডের হাতে এই প্রথম কোনও ফাইটার স্কোয়াড্রন এল।
১০১৬
রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড (হ্যাল)কে আরও ৮৪টি যুদ্ধবিমান তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। চালকদের হাতে তেজস তুলে দেওয়ার ঘটনা ভারতীয় বায়ুসেনার ইতিহাসে অন্যতম সেরা মাইলফলক।
১১১৬
তেজস হল প্রথম ভারতে নির্মিত যুদ্ধবিমান যাতে ফ্লাই-বাই-ওয়্যার প্রযুক্তি রয়েছে। অর্থাৎ, এই যুদ্ধবিমানে প্রথাগত ম্যানুয়াল ইন্টারফেস-এর বদলে বসানো হয়েছে ইলেকট্রনিক ইন্টারফেস, যা আধুনিক বিমানেই থাকে।
১২১৬
এই যুদ্ধবিমানে রয়েছে গ্লাস ককপিট, যা অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানে থাকে। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক উপগ্রহ-নির্ভর নির্ভুল নেভিগেশন সিস্টেম।
১৩১৬
চালকের সাহায্যের জন্য রয়েছে হেলমেট-মাউন্টেড ডিসপ্লে, ৩৬০ ডিগ্রির এই ডিসপ্লে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানেই থাকে।
১৪১৬
এতে রয়েছে ডিজিটাল কম্পিউটার এবং অটোপাইলট। এই বিমান এয়ার-টু-এয়ার, বোমা এবং লেজার গাইডেড মিসাইল নিক্ষেপ করতে সক্ষম।
১৫১৬
খুব তাড়াতাড়িই এর মধ্যে বিয়ন্ড ভিসুয়াল রেঞ্জ (বিভিআর) মিসাইন বা দৃষ্টির সীমার বাইরে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
১৬১৬
ভারতের হাতে থাকা শ’খানেক মিগ ২১-কে চলতি বছরের শেষ দিকে তেজস দিয়ে পাল্টে ফেলা হবে বলেও জানিয়েছে বায়ুসেনা।