Miners discover huge gold chunk from Australian Nickel Mine dgtl
gold mine
কোটি কোটি টাকার সোনার চাঙড় মিলল নিকেলের খনি খুঁড়তে গিয়ে
অস্ট্রেলিয়ার খনি থেকে বেরোল বিপুল পরিমাণ সোনা। সেগুলি পাথরে আটকে ছিল।
সংবাদ সংস্থা
মেলবোর্নশেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৩:১৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১১
সোনার কেল্লা নয়। তবে সোনার খনি। না, সোনার খনি বললেও ভুল হবে। খনিটা আসলে নিকেলের। তবে সেখানে বিশাল আকৃতির পাথরে মিলল সোনার খোঁজ। পাথরে যেন খোদাই করা রয়েছে সোনা দিয়ে।
০২১১
রোজের মতোই চলছিল খনি থেকে ধাতু উত্তোলনের কাজ। টরন্টোর সংস্থা রয়্যাল নিকেল কর্পোরেশন (আরএনসি) রবিবার ঘোষণা করেছে এই সোনা পাওয়ার কথা। অস্ট্রেলিয়ার বিটা হান্ট খনি থেকেই মিলেছে এই ‘গোল্ডেন বোল্ডার’।
০৩১১
এই পাথর খণ্ডদুটিকে স্বর্ণখণ্ড বলে উল্লেখ করা হয়েছে সংবাদ সংস্থার তরফে।বিপুল পরিমাণ সরাসরি সোনামিশ্রিত দুটি বিশাল আকৃতির পাথর খণ্ডের বড়টির ওজন প্রায় ৯৫ কিলোগ্রাম। ছোটটির ওজন প্রায় ৬৩ কিলোগ্রাম।
০৪১১
মজা করে অনেকেই একে গোল্ড রাশ বলছেন। আসলে প্রায় ১১০ কোটি টাকার সোনা রয়েছে এই পাথর খণ্ডগুলিতে। এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে।
০৫১১
বছরের পর বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার বিটা হান্ট ছিল নিকেল ধাতু উত্তোলনের কেন্দ্র। তা থেকেই পাওয়া গেল বিপুল পরিমাণ সোনা। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের মতে এটি, ‘ওয়ান অব দ্য লার্জেস্ট গোল্ড নাগেট’।
০৬১১
এ রকমও হতে পারে, এই পাথরগুলি থেকে সোনা বের না করে সংগ্রহশালায় রেখে দেওয়া হল। কারণ এর আকৃতিও বেশ অন্য রকম, বলছেন ভূবিজ্ঞানীরাও।
০৭১১
রয়্যাল নিকেল কর্পোরেশন নামে টরন্টোর এই সংস্থা ২০১৬ সালে নিকেলের খনিটা কিনেছিল প্রায় ৮৮ কোটি টাকায়। সেখানে খনি থেকে পাওয়া মাত্র দু’টি স্বর্ণখচিত পাথরের দাম খনির দামকে টপকে গিয়েছে।
০৮১১
কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া স্কুল অব মাইনের পরিচালক-অধ্যাপক স্যাম স্প্রিং বলেছেন, ‘‘নিকেল খনি থেকে সোনামিশ্রিত পাথর খণ্ড উদ্ধারের ঘটনা নতুন নয়। তবে তা কয়েক গ্রামেরও কম।’’
০৯১১
অস্ট্রেলিয়ার নিকেল খনিগুলোতে সাধারণত প্রতি টন পাথরের মধ্যে ২ গ্রামের মতো সোনা পাওয়া যায়। আরএনসি জানিয়েছে, এই নিকেলের খনি থেকে তারা প্রতি টন পাথরের মধ্যে থেকে ২২০০ গ্রামের মতো সোনা পেয়েছেন। সংস্থার মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘এত বেশি সোনা পাওয়ার ঘটনা খুবই বিরল।’’
১০১১
অস্ট্রেলিয়ার কাম্বালডার এই খনিতে ৫০০ মিটার গভীরে উত্তোলনের কাজ চলছে। সাধারণত, সোনার উপাদানগুলো এতই ছোট, মানুষের চোখে তা ধরাই পড়ে না। কিন্তু নতুন উদ্যমে কাজ চলছে যদি আবারও সোনা পাওয়া যায়।
১১১১
গত জুন মাসে ভূ-পৃষ্ঠের আরও কাছে সোনার সন্ধান পেয়েছিল এই সংস্থা। আরএনসির তরফে বলা হয়েছে, সংগ্রাহক বস্তু হিসেবে বড় পাথর খণ্ডটি নিলামেও তোলা হতে পারে।