মুম্বইয়ের ঘাটকোপার অঞ্চল বাসিন্দা ২৮ বছরের সরিতা ছোটবেলায় রাস্তায় ফুল বিক্রি করতেন। তখন তিনি ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। ক্রেতার হাতে ফুল তুলে দিতে দিতে স্বপ্ন দেখতেন পড়াশুনা করতে বিদেশ যাওয়ার।
০৫১৪
কিন্তু দারিদ্র এবং দলিত হওয়ার যন্ত্রণা তাঁর স্বপ্নকে ক্ষণিকের জন্য ঝাপসা করে দিত। সেই স্বপ্ন ফের স্পষ্ট এবং উজ্জ্বল হত যখন বাবা মাথায় হাত রাখতেন। স্বপ্ন তখন পরিণত হত জেদে।
০৬১৪
নিরক্ষর বাবা শুধু নিজের নাম সই করতে শিখেছিলেন। কিন্তু তিনি চাইতেন তাঁর সন্তানেরা লেখাপড়া শিখুক। তাঁর বিশ্বাস ছিল, অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে তাঁর সন্তানদের সাহায্য করবে শিক্ষা।
০৭১৪
তাই হাজার কষ্টের মধ্যেও সন্তানদের শিক্ষা দিতে তিনি বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি। মাথায় বাবার আশীর্বাদের হাত পেয়ে সরিতাও এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন তাঁর স্বপ্নকে। পথে ফুল বিক্রি করেও চালিয়ে গিয়েছেন পড়াশুনা।
০৮১৪
২০১৪ সালে তিনি হিন্দি সাহিত্য নিয়ে এমএ পড়ার জন্য জেএনইউ-তে ভর্তি হন। কিন্তু তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানতেনই না বিষয়টি কী।
০৯১৪
না বুঝলে কী হবে, তাঁরা সব সময় সরিতার পাশে থেকেছেন। আর তাতেই বেড়েছে সরিতার মনের জোর।
১০১৪
জেএনইউ-এর পাঠ সেরে এ বার বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে পড়াশুনার জন্য।
১১১৪
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করতে যাচ্ছেন তিনি।
১২১৪
মুম্বইয়ের ঘাটকোপার বস্তির বাসিন্দা সরিতার লড়াই শুধু দারিদ্রের বিরুদ্ধে নয়। তাঁর কথায়, ‘‘ছোট থেকে নানা রকম প্রতিকূলতা নিয়ে বড় হয়েছি। কিন্তু আমার লিঙ্গ পরিচয় এবং গায়ের রঙের জন্য আমাকে অনেক বেশি সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে।’’
১৩১৪
সরিতা বলেন, ‘‘আমার কালো রঙের জন্য আমাকে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে পড়তে হয়েছে।’’
১৪১৪
সেই সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন তিনি, সূর্যমুখী হয়ে আলোর দিকে।