ইতিহাসে যে সমস্ত মহিলা গুপ্তচরদের কথা শোনা যায়। তাঁদের ঘটনাবহুল জীবন অনেকটা চলচ্চিত্রের মতোই।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৭ ১৯:১২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১০৯
মাতা হারি: আসল নাম মার্গারিটা গ্রিটুইডা জেল্যে। অপূর্ব সুন্দরী নর্তকী ছিলেন তিনি। মাতাহারিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির হয়ে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে ফরাসি ফায়ারিং স্কোয়াডের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছিল।
০২০৯
১৯৮৫তে কুর্টিস হ্যারিংটনের পরিচালনায় মাতা হারির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সিলভিয়া ক্রিস্টেল। গুপ্তচরের ভূমিকায় তাঁর অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছিল।
০৩০৯
ন্যান্সি ওয়েক: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে ব্রিটিশ গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি ফ্রান্স রেজিসটেন্সের গেরিলা বাহিনী ‘মাকিস’-এর একজন এজেন্টও ছিলেন। ১৯৪২ সালের পর গেস্টপো বাহিনীর মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় শীর্ষ ব্যক্তি ছিলেন ন্যান্সি। সেই সময় তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয় ৫০ লক্ষ ফ্রাঙ্ক।
০৪০৯
২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘গেট স্মার্ট’ ছবিতে এজেন্ট নাইন্টি নাইন চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অ্যানা হাথাওয়ে।
০৫০৯
এথেল রোজেনবার্গ: জন্ম নিউইয়র্কে। আমেরিকাতে জন্মেও একটা সময় গুপ্তচরের কাজ শুরু করেন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের হয়ে। ১৯৫৩ সালে তিনি ও তাঁর স্বামী জুলিয়াস পারমাণবিক বোমা সংক্রান্ত গোপন খবর পাচার করেন সোভিয়েত ইউনিয়নে। ১৯৫৩ সালে এথেল ও তাঁর স্বামীকে ফাঁসি দেওয়া হয়।
০৬০৯
১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দ্য অ্যাভেঞ্জার্স’ ছবিতে এমা পিল নামে এক গুপ্তচরের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন নিকোল কিডম্যান।
০৭০৯
আনা চ্যাপম্যান: রুশ সুন্দরী গুপ্তচর আনা। রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আরও দশ সহযোগীসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বন্দি হয়েছিলেন। পরবর্তী কালে বন্দি-গুপ্তচর বিনিময়ের সময়ে রাশিয়ায় ফেরেন আনা।
০৮০৯
২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি ‘ক্যাসিনো রয়্যাল’। এই ছবিতে ফরাসি অভিনেত্রী ইভা গ্রিন ভেসপার লিন্ড নামে একটি মহিলা এজেন্টের চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।
০৯০৯
জোসেফাইন বেকার: আমেরিকায় জন্ম। বেশ জনপ্রিয় গায়িকা ছিলেন। নাচেও ছিলেন পটিয়সী। ১৯৩৭ সালে ফ্রান্সের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। বেশ কিছুদিন তিনি মিত্র শক্তির হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করেন তিনি উচ্চবিত্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করতেন। অদৃশ্য কালি দিয়ে লিখতেন বিভিন্ন তথ্য।