‘পুষ্পা... ’-য় মাত্র মিনিট পনেরো পর্দায় ছিলেন ফহাদ। তাতেই নজর কেড়ে নিয়েছেন। তবে এই প্রথম নন। এর আগেও তারকার পাশে হামেশাই ‘নগণ্য’ চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে কখন যেন তাঁর দিকে নজর ঘুরে গিয়েছে। তার পর তারকাকে ছাপিয়ে সেই ‘নগণ্য’ চরিত্রই দর্শকদের বেঁধে রেখেছে। সত্তর-আশির দশকের ভরত গোপী বা নেদুমুদি বেণুর মতো মালয়ালম ছবির দুই নামজাদার সঙ্গে তুলনা শুরু হয়ে গিয়েছে ফহাদের।
তবে ২০০২ সালে ফহাদের সম্পর্কে সে কথা বলা যায়নি। সে বছর আব্দুল হামিদ মহম্মদ ফওয়াদ ফাসিলের প্রথম ফিল্ম ‘কাইয়েতুম দোরথ’ চূড়ান্ত হতাশা জাগিয়েছিল। ফহাদের বাবা ফাজিলের পরিচালনার তুমুল সমালোচনাও হয়েছিল। তবে ব্যর্থতার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে ফহাদ স্বীকার করেছিলেন, ‘‘কোনও রকমের প্রস্তুতি না নিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো উচিত হয়নি।’’
আমেরিকায় থাকাকালীন ওই পাক নাগরিকের দোকানে হিন্দি ছবির ডিভিডি কিনতেন ফহাদ। সে সময়ই ইরফান খানের একটি ছবি দেখেছিলেন তিনি। নারিরুদ্দিন শাহের পরিচালনায় ‘ইউঁ হোতা তো ক্যায়া হোতা’। তাতে ইরফানকে দেখে হতবাক হয়ে যান ফহাদ। অতি-অভিনয় নয়, স্বল্প ভাবভঙ্গিতেই চরিত্রকে স্পষ্ট করে দিচ্ছেন ইরফান। সেই থেকে ইরফানের সিনেমা দেখা শুরু। নতুন করে অভিনয়ে ঝোঁকাও শুরু।
কেরিয়ারের দ্বিতীয় পর্বে একের পর এক চরিত্রে নিজেকে হাজির করেছেন ফহাদ। ‘আন্নায়ুম রসুলম’-এ যখন মৃত প্রেমিকার সামনে প্রেম নিবেদন করছেন, দর্শকেরা টের পেয়েছেন তাঁর অনুভূতি। আবার ‘আর্টিস্ট’-এ এক স্বার্থপর দৃষ্টিহীন যখন স্ত্রীর সম্মানহানি করছেন, তখন রাগে ফেটে পড়েছেন অনেকে। ‘নর্থ ২৪ কথম’, ‘রেড ওয়াইন’ অথবা ‘অরু ইন্ডিয়ান প্রণয়কথা’— একের পর এক ছবিতে নিজের সীমারেখা ছাপিয়ে গিয়েছেন ফহাদ।
‘পুষ্পা... ’-য় আইপিএস আধিকারিক ভৈরোঁ সিংহ শেখাওয়াতের চরিত্রে ফহাদকে দেখে মুগ্ধ ওই ছবির নায়ক অল্লু অর্জুনও। বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে দেশের সেরা অভিনেতাদের অন্যতম ফহাদ। ওঁর অভিনয়ের স্টাইলে আমি মুগ্ধ। কোনও প্রম্পটার ছাড়াই অভিনয় করেন। তেলুগু ভাষা জানেন না। ফলে নিজের সংলাপ লিখে নিয়ে বার বার তা পড়তে থাকেন। তার পর পর্দায় এমন ভাবে সংলাপ বলেন, যেন তেলুগু তাঁর মাতৃভাষা!’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy