নূপুরছন্দা ঘোষ
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, অতুলপ্রসাদ সেন এবং রজনীকান্ত সেন— প্রথিতযশা এই তিন গীতিকবির একগুচ্ছ গান সম্প্রতি রবীন্দ্র সদনে পরিবেশন করলেন শিল্পী নূপুরছন্দা ঘোষ এবং তাঁর ছাত্রছাত্রীরা। শিল্পীর জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিল ডায়মেনশন ফোর সংস্থা। প্রারম্ভিক ভাষণের পরে বিশিষ্ট অতিথিদের বরণশেষে প্রকাশ করা হয় ‘আমার দেশ’ নামে একটি গানের অ্যালবাম।
সঙ্গীতানুষ্ঠানে নূপুরছন্দার প্রথম পর্বে ছিল রজনীকান্তের ‘আমি অকৃতী অধম’ গানটি।
এ ছাড়া দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের একটি, অতুলপ্রসাদ সেনের তিনটি এবং দিলীপকুমার রায়ের একটি গান। অনুষ্ঠানের শেষে পরিবেশিত হয় একটি কীর্তন— শ্রোতাদের হৃদয়ে যা বহু কাল সঞ্চিত থাকবে। এ দিনের অনুষ্ঠানে শিল্পীর কণ্ঠ স্ব-বশে না থাকলেও ওঁর প্রতিটি গানেই ছিল নিবিড় আন্তরিকতার ছোঁয়া, যা সৃষ্টিকে যথাযথ ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে। শিল্পীর এ দিনের নিবেদিত গানের মধ্যে ভাল লাগে রজনীকান্তের ‘আমি অকৃতী অধম’, অতুলপ্রসাদের ‘শ্রাবণ ঝুলাতে’ এবং অবশ্যই দ্বিজেন্দ্রলালের ‘পতিতোদ্ধারিণী গঙ্গে’। প্রথম পর্বের শেষে ভিডিয়োর সাহায্যে পরিবেশিত হয় শিল্পীর সিডি অ্যালবামের একটি গান ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’।
দ্বিতীয় পর্বের পরিবেশনা ছিল নূপুরছন্দার পরিচালনায় প্রায় ৫০ জন ছাত্রছাত্রীর সমবেত কণ্ঠে আরও সাতটি গান। রজনীকান্তের ‘তুমি নির্মল কর’ ও ‘কিসের শঙ্কা কিসের ডঙ্কা’, অতুলপ্রসাদের ‘আপন কাজে অচল হলে’, ‘উঠ গো ভারতলক্ষ্মী’ ও ‘হও ধরমেতে ধীর’ এবং দ্বিজেন্দ্রলালের ‘নিখিল জগৎ সুন্দর’ ও ‘বঙ্গ আমার জননী আমার’। অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন সুন্দর পরিবেশনা। প্রত্যেক গানের আগে প্রাসঙ্গিক ভাষ্যপাঠ সেই গান ও তার রচয়িতা সম্পর্কে নানা তথ্য প্রদান করে গানগুলিকে আরও আকর্ষক করে তুলেছিল। ভাষ্যপাঠ ও সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অমিত রায় ও সৌগত চট্টোপাধ্যায়। এ ছা়ড়া যন্ত্রানুষঙ্গে উল্লেখযোগ্য সহযোগিতা করেছেন মানব মুখোপাধ্যায়, উত্তম মুখোপাধ্যায়, দীপঙ্কর আচার্য, ভাস্কর রায়, অমিত রায়চৌধুরী এবং অনুপ চক্রবর্তী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy