সম্প্রতি রবীন্দ্রসদনে অনুষ্ঠিত হল কোরক-এর ৩৮তম বার্ষিক অনুষ্ঠান। সংস্থার শিল্পীদের পরিবেশনায় সুগীত ‘হৃদিমন্দির দ্বারে’ এবং ‘সফল করো হে প্রভু’ এই গান দুটির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এর পরে সংস্থার পক্ষ থেকে প্রথিতযশা রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুমিত্রা সেন ও মঞ্চে উপবিষ্ট তাঁর সহযোগী শিল্পীদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন সুমিত্রা চট্টোপাধ্যায়। মোট দুই পর্বে বিভক্ত এই অনুষ্ঠানের প্রথমার্ধে সঙ্গীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী শ্রাবণী সেন। পরিশীলিত কণ্ঠ এবং পরিণত গায়কিতে শিল্পী প্রথমে পরিবেশন করেন ‘চণ্ডালিকা’ ও ‘চিত্রাঙ্গদা’ এই দুই রবীন্দ্র-নৃত্যনাট্য থেকে দুটি করে গান এবং শেষে শোনান ‘শাপমোচন’ নৃত্যনাট্য থেকে চারটি গান। ‘এসো এসো আমার ঘরে এসো’, ‘সখী, ওই বুঝি বাঁশি বাজে’—গান দুটির মধ্য দিয়ে কমলিকা চরিত্রের মিলনের আকুতি এবং ‘জাগরণে যায় বিভাবরী’ ও ‘তুমি কি কেবলই ছবি’ গান দুটির মধ্য দিয়ে অরুণেশ্বর চরিত্রের মনের ভাব যথার্থ রূপে প্রকাশ পেয়েছে। এর পর পরিবেশিত হয় ‘চণ্ডালিকা’ নৃত্যনাট্যের ‘ফুল বলে ধন্য আমি’, ‘চক্ষে আমার তৃষ্ণা’ এবং ‘চিত্রাঙ্গদা’র ‘কেটেছে একেলা’ গানগুলি। প্রতিটি গানেই ছিল উপযুক্ত নাটকীয়তা। শিল্পীর শেষ নিবেদন ‘চিত্রাঙ্গদা’র কুরূপা চরিত্রের ‘আমি চিত্রাঙ্গদা’। তবে সুগীত এই গানটি কিন্তু আরও বলিষ্ঠতার দাবি রাখে। দ্বিতীয় পর্বে সংস্থার শিল্পীদের দ্বারা পরিবেশিত হয় রবীন্দ্রনাথের গান অবলম্বনে একটি নৃত্যগীতি-আলেখ্য ‘একদিন প্রতিদিন’। এ দিনের নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন পলি গুহ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও পাঠে কৌশিক সেন। যন্ত্রসঙ্গীতে বিপ্লব মণ্ডল, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কুমারেশচন্দ্র চন্দ এবং অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। এই সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সুমিত্রা চট্টোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy