রিচা চড্ডা এবং আলিয়া ভাট। ছবি: সংগৃহীত।
আর কয়েকদিনের মধ্যে মা হবেন রিচা চড্ডা। জুলাই মাসেই নতুন অতিথির আগমন হবে রিচা ও আলি ফজলের সংসারে। দুই থেকে তিন হবেন তাঁরা।
সদ্য মুক্তি পাওয়া হীরামন্ডি সিরিজ়ে বারবণিতার চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এই সিরিজ়ের রিচার অভিনীত চরিত্র লাজ্জো পর্দায় বিরাট জায়গা জুড়ে না থাকলেও অল্প সময়ে নিজের অভিনয় ক্ষমতার পরিচয় রেখেছেন রিচা। প্রশংসিত হয়েছে তাঁর নাচ ও অভিনয়। এই মুহূর্তে স্বামী আলি ফজ়লের সঙ্গে ব্যক্তিগত সময় কাটাচ্ছেন তিনি। এর মাঝেই অভিনেত্রী আলিয়া ভট্টের তরফ থেকে হবু মা রিচার জন্য এল উপহার।
আলিয়া তাঁর পোশাক বিপণি ‘এড আ-মাম্মা’ তরফ থেকে বেশ কিছু মাতৃত্বকালীল পোশাক ও মিষ্টির বাক্স পাইয়েছেন রিচাকে। তবে শুধু রিচার নয়, আলিয়া বলিউডের হবু মায়েদের প্রায় সকলকেই এই উপহার পাঠিয়ে থাকেন। সেই ভিডিয়ো শেয়ার করে রিচা লেখেন, ‘‘আলিয়া এক দিকে বিশ্বের মঞ্চে ভারতকে গর্বিত করছেন, আবার এর মধ্যেই আমার জন্য এত কিছু উপহারও পাঠিয়েছেন! আমার মনে হয় মায়েদের মধ্যে এক ঈশ্বরিক শক্তি থাকে। আর অপেক্ষা করতে পারিছ না। জীবনের নতুন অভিজ্ঞতার স্বাদ নিতে চাই।’’
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নয়া দিল্লিতে বিয়ে করেন আলি এবং রিচা। ২০২০ সালেই চার হাত এক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার ধাক্কায় পিছিয়ে যায় বিয়ের অনুষ্ঠান। দু’বছর পর ঘর বাঁধেন তাঁরা। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলেছিল বিয়ের অনুষ্ঠান।
রিচা ও আলির প্রেমকাহিনি ঘিরে তাঁদের অনুরাগীদের মধ্যে যথেষ্ট উদ্দীপনা ছিল। সে কাহিনি ঠিক যেন রূপকথার গল্পের মতো! শোনা যায়, ২০১২ সালে ‘ফুকরে’ সিনেমার সেটে প্রথম বার একে অপরের মুখোমুখি হন রিচা ও আলি। প্রথম দেখাতেই নাকি তাঁরা মন দেওয়া-নেওয়া করে ফেলেছিলেন।
২০১২ সালে প্রথম দেখা হলেও তাঁদের প্রেমের শুরু তারও বেশ কয়েকটি বছর পরে। ২০১৫ সালে ওই তারকা জুটি ‘ডেট’ করা শুরু করেন বলে জানা যায়। কিন্তু রীতিমতো গোপন রাখতেন সম্পর্কের কথা। শোনা যায়, প্রেম নিবেদনের জন্য ‘আই লভ ইউ’ প্রথম বলেন রিচাই। নায়িকার সঙ্গে তাঁর বাড়িতে বসে ‘চ্যাপলিন’ দেখছিলেন আলি। সে সময় আচমকাই আলিকে প্রেম নিবেদন করেন রিচা। প্রথম ‘আই লভ ইউ’ বললেও বিয়ের প্রস্তাব প্রথম দেন আলি।
প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য মলদ্বীপে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন নায়ক। তার পর হাঁটু মুড়ে রিচার হাত ধরে বিয়ের প্রস্তাব দেন আলি। এ বার জীবনের নতুন এক অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy