Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
National news

দিল্লির রাস্তায় মহিলাকে মার, ছেঁড়া হল পোশাক, ছবি তুললেন পথচারীরা

দ্ধা মালকিনকে রক্ষা করার জন্য তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে পড়ে যান হামলার মুখে। তাঁকেও মারধর করা হয়। পালিয়ে ঘর থেকে রাস্তায় নেমে এলেও রেহাই মেলেনি। সেখানেও তাড়া করে চলে প্রহার। সবার সামনে তাঁর পোশোক ছিঁড়ে দেওয়া হয়।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৮ ১২:৫২
Share: Save:

অন্যকে সাহায্য করতে গিয়ে মারধর তো জুটলই। সঙ্গে জামা-কাপ়ড় ছিঁড়ে রাস্তার উপরেই বেআব্রু করার চেষ্টা হল দিল্লির এক মাঝবয়সী মহিলাকে। রাজধানীর বুকে এত বড় কাণ্ড। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের হল, মহিলাকে যখন রাস্তার উপর মারধর করে অপদস্থ করা হচ্ছে, সে সময় সাহায্য করার বদলে নিজেদের মোবাইল ক্যামেরায় ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন পথচারীরা। স্বাভাবিকভাবেই সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতে সময় নেয়নি।

দিল্লির পালাম এলাকার বছর ৪৫-এর ওই মহিলার অভিযোগ, তিনি যে বাড়িতে ভাড়া থাকেন, সেই বাড়ির মালকিনকে তাঁর ছেলে ও বৌমা গত বুধবার দলবল নিয়ে এসে মারধর করছিল। ৬৫ বছরের বৃদ্ধা মালকিনকে রক্ষা করার জন্য তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে পড়ে যান হামলার মুখে। তাঁকেও মারধর করা হয়। পালিয়ে ঘর থেকে রাস্তায় নেমে এলেও রেহাই মেলেনি। সেখানেও তাড়া করে চলে প্রহার। সবার সামনে তাঁর পোশোক ছিঁড়ে দেওয়া হয়।

মহিলার দাবি, তাঁকে যখন নিগ্রহ করা হচ্ছে, সে সময় পথচারীদের এক জনও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। উল্টে সেই ছবি মোবাইল ক্যমেরায় তুলেতে ব্যস্ত ছিলেন অনেকেই। তবে কি দিল্লি দিন কে দিন আরও অমানবিক হয়ে পড়ছে? প্রশ্নটা উস্কে দিল পালাম এলাকার এই ঘটনা।

দেখুন ভিডিয়ো

আরও পড়ুন: স্ত্রী মশগুল চ্যাটে, বিচ্ছেদ চান স্বামী

আরও পড়ুন: মুসলিম শিশুকে দত্তকের ‘শাস্তি’, ১৬ বার ছুরি বাবাকে

কিন্তু কেন নিজেরই ছেলে ও বৌমার হাতে মার খেলেন বাড়ির মালকিন? জানা গিয়েছে, সম্পত্তির অধিকার থেকে তিনি তাঁর ছেলেকে বঞ্চিত করেছিলেন। বদলা নেওয়ার জন্য দলবল নিয়ে এসে ছেলে ও বৌমা চড়াও হয় বৃদ্ধার উপর। গত বুধবার রাতেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ভাড়াটে মহিলা। পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় জড়িতদের পরিচয় জানতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Delhi Palam atrocities against women
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE