প্রতীকী চিত্র।
কফ সিরাপ খেয়ে নেশা করার জন্য বকাবকি করায় জুভেনাইল হোমের পরিচালককে গুলি করে খুন করল পাঁচ কিশোর। বিহারের পূর্ণিয়ার সরকারি হোমে বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম বিজেন্দ্র কুমার। এ ছাড়াও গুলিতে সরোজ কুমার নামে আরও এক কিশোরের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে হোমে পৌঁছন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। কী ভাবে জুভেনাইল হোমে আগ্নেয়াস্ত্র পৌঁছল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
পুলিশকে ওই হোমেরই এক কিশোর জানিয়েছে, মঙ্গলবার এক কিশোরকে কফ সিরাপ খাওয়ার সময়ে হাতেনাতে ধরেন বিজেন্দ্র কুমার। বিস্তর বকাঝকা করেন তিনি। তবে মারধর করেননি। তখন ছেলেটি চুপ করে থাকলেও বাকি আবাসিকদের কাছে বিজেন্দ্রকে ‘দেখে নেওয়া’র হুমকি দেয়। গতকাল রাতে সকলে বসে টিভি দেখছিলেন। এমন সময়ে চারটি কমবয়সি ছেলে এসে বিজেন্দ্রকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি লাগে সরোজেরও। গুলি চালিয়েই চম্পট দেয় তারা। তাদের সঙ্গেই যায় সেই আবাসিক ছেলেটিও। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বিজেন্দ্রকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে হাসপাতালে মারা যায় সরোজ। পলাতক দুষ্কৃতীরা।
অনাথ আশ্রমে শিশুদের নির্যাতন সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে আজ এই ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি মদন বি লোকুর ও বিচারপতি দীপক গুপ্তের বেঞ্চের প্রশ্ন, ‘‘হোমের ভিতরে কী ভাবে আগ্নেয়াস্ত্র আসে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy