রাহুলের টুইট করা কৈলাসের সেই ছবি।
নীল আকাশে মেঘের আস্তরণের ফাঁক দিয়ে দেখা যাচ্ছে কৈলাস পর্বত। ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে, মোবাইলে তোলা। কৈলাস যাত্রার ছবি এই প্রথম জনসমক্ষে আনলেন রাহুল গাঁধী। সঙ্গে পরোক্ষে নরেন্দ্র মোদীর প্রতি বিদ্রূপও।
আজ সকালেই রাহুল গাঁধী টুইট করেন, ‘‘কৈলাসের ডাক এলেই সেখানে যান কোনও ব্যক্তি। এই সুযোগ পাওয়ায় আমি খুবই খুশি। এই সুন্দর যাত্রায় যা দেখব, আপনাদের জানাব।’’ কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর একটি টুইট, সঙ্গে ছবি। লিখেছেন, ‘‘মানসরোবরের জল এত শান্ত। তারা সব কিছু দেয়, কিছুই হারায় না। এই জল খাওয়াও যায়। ঘৃণা নেই এখানে। তাই এই জল ভারতে পুজো করা হয়।’’ আপাত নিরীহ টুইটের মধ্যে মোদীর প্রতি শ্লেষও যে রয়েছে, বুঝতে অসুবিধা হয়নি বিজেপির। তা আরও গাঢ় হয়, রাতে যখন রাহুল আর একটি টুইট করে ‘রাক্ষস হ্রদ’-এর ছবি দেন। কিন্তু সরাসরি নাম না নেওয়ায় বিজেপি পাল্টা আক্রমণে যেতে পারেনি। শুধু বিজেপির তথ্য-প্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য খুঁত ধরে বলেন, ‘‘রাহুলের টুইটে কৈলাস পর্বতকে খাটো করে দেখানো হয়েছে। মানসরোবর যাত্রার ধার্মিক ও সাংস্কৃতিক অজ্ঞতার কারণে ঔদ্ধত্য ফুটে উঠছে।’’
কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি পাল্টা বলেন, ‘‘রাহুল গাঁধীর কৈলাস যাত্রা নিয়ে বিজেপির এত আতঙ্ক কেন? চার বছরেই তো স্পষ্ট, এক দল, এক ব্যক্তি আর এক সংগঠনের মাধ্যমে তারা দেশ চালাতে চায়। রাহুল গাঁধীর টুইট সত্যি কথা। ঘৃণার কোনও স্থান নেই। শিবও কখনও ঘৃণায় রাগ করতেন না।’’
বিজেপির উদ্বেগ, কৈলাস যাত্রায় রাহুল চাইছেন মোদীর হিন্দুত্বের তাসে ভাগ বসাতে। কৈলাসের ডাক এসেছে বলে তিনি গিয়েছেন, এ কথা বলে মোদীকে কার্যত দুর্গম পাহাড়ি রাস্তায় সফরের চ্যালেঞ্জ ছুড়ছেন। রাহুলের দলের কমলনাথ মধ্যপ্রদেশের সব পঞ্চায়েতে গো-শালা বানানোর পণ করছেন। আর রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলছেন, ব্রাহ্মণ কংগ্রেসের ডিএনএ-তে।
তফসিলি জাতি, জনজাতি ও অনগ্রসর শ্রেণির তাস খেলতে গিয়ে উচ্চবর্ণ গোঁসা করে বসে আছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তার ফায়দা তুলতে কংগ্রেসের এই চালে উদ্বেগ বাড়ছে মোদীর দলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy