অশান্ত মণিপুরে চলছে সেনাটহল। — ফাইল চিত্র।
গত ২৪ ঘণ্টায় মণিপুরে দু’টি নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর মোট সাত জন সদস্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। সোমবার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে ছ’জন দু’টি সশস্ত্র নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর সদস্য। সপ্তম জন মেইতেই সশস্ত্র গোষ্ঠী আরামবাই টেঙ্গোলের সদস্য।
থৌবাল এবং বিষ্ণুপুর জেলা থেকে দু’টি পৃথক অভিযানে ওই সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অপহরণ, তোলাবাজি-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পাশাপাশি, সোমবার মণিপুরের বিভিন্ন জেলা থেকে একাধিক স্নাইপার রাইফেল, দু’টি বোল্ট অ্যাকশন রাইফেল, একটি ৯ এমএম পিস্তল, বেশ কয়েকটি গ্রেনেড-সহ বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
ইম্ফল পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, থৌবালের চারংপাট মায়াই লেইকাই থেকে কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি (পিপল্স ওয়ার গ্রুপ)-র পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি তাঁদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল ফোন, ১৩টি সিমকার্ড এবং একটি চার চাকার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। একই দিনে বিষ্ণুপুর জেলার কুম্বি থেকে পিআরইপিএকে নামে আর একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের আরও এক জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মণিপুরে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকেই দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর গোলাবারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ও আধা সেনার যৌথ দল। এর মাঝে গত মাসের শুরুতেই মণিপুরে আরও ছ’মাসের জন্য বর্ধিত হয়েছে ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’ (‘আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট’ বা আফস্পা)-এর মেয়াদ। ইম্ফল, বিষ্ণুপুর, জিরিবাম এবং লামফেল-সহ ১৯টি থানা এলাকা ছাড়া গোটা রাজ্যেই এই আইনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে মণিপুরের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে এখনও রাজনৈতিক চাপানউতর চলছেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy