কুর্গের ছোট্ট শহর সুন্তিকোপ্পা। কেরলের মতো কর্নাটকের কোডাগু জেলার এই এলাকাও এখন বন্যার জলে ভাসছে। আশেপাশের গ্রামের মানুষকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছেন শহরের লোকেরা। আর সেখানেই ‘ম্যাজিক’।
সুন্তিকোপ্পায় তেমন বড় বাড়ি নেই। তাই ছোট্ট শহরের গির্জা, শিবমন্দির ও মাদ্রাসায় দুর্গতদের জন্য ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। রান্না হচ্ছে মাদ্রাসার বাড়িতে। খাওয়া-দাওয়া চলছে গির্জার ঘরে। শিবমন্দিরের চত্বরে সবাই বিশ্রাম নিচ্ছেন। বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরাও কাজে নেমেছেন। তাঁরা জল, ওষুধ বিলি করছেন।
সুন্তিকোপ্পার খবর এসে পৌঁছেছে রাজধানী দিল্লিতে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী আজ সুন্তিকোপ্পার উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, ‘‘শিব, রাম, যিশু, আল্লা, বুদ্ধ— সবাই একসঙ্গে বিপদে পড়া মানুষের সাহায্যে কাজ করছেন। এটাই হল ভারত।’’ রাহুলের মতে, নিরাশার মধ্যে সুন্তিকোপ্পা আশার মরূদ্যান।
কংগ্রেসের নেতারা বলছেন, কেরলের বন্যাত্রাণ নিয়েও বিজেপি যে ভাবে বিদ্বেষের রাজনীতি করছে, ঘুরিয়ে তারই জবাব দিয়েছেন রাহুল। সুরেশ কোচাট্টিল নামে এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন— কেরলের বন্যায় আক্রান্তেরা উচ্চ-মধ্যবিত্ত বা যথেষ্ট ধনী। তাঁদের জন্য কোনও অর্থসাহায্যের প্রয়োজন নেই। ফেসবুকে নিজেকে বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি সেল-এর সদস্য বলে পরিচয় দিয়েছেন তিনি। কংগ্রেসের অভিযোগ, কেরলে নরেন্দ্র মোদীর প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন এই সুরেশ। এখন ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন। সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাটের মতে, ‘‘কেরলের অর্থসাহায্যের প্রয়োজন নেই বলে দাবি একেবারেই মিথ্যে।’’
আরও পড়ুন: ত্রাণে নামলেন প্রাক্তন কুস্তিগির
সুন্তিকোপ্পার মানুষ অবশ্য কোনও বাছবিচারের মধ্যে যেতে রাজি নন। পঞ্চায়েতের সভানেত্রী রোজমেরি রডরিগেজ়, শরিয়ত কলেজের সিএম হামিদ, গির্জার ফাদার এডওয়ার্ড উইলিয়াম থেকে সেরা লাচি মঠের গেশে ইয়েশি-রা এক কথায় বলছেন, তাঁরা সবাইকেই বন্যাত্রাণে সাহায্য করছেন। কে কোন ধর্মের, কে বড়লোক, কে গরিব— এ সব নিয়ে তাঁদের মাথাব্যথা নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy