প্রতীকী ছবি।
আত্মঘাতী হয়েছেন ধর্ষিতা। খবর পেয়ে আত্মহত্যা করলেন ধর্ষকও! উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের ঘটনা।
শুক্রবার ২৮ বছর বয়সী ধর্ষিতা আত্মহত্যা করেন। ঠিক তার পরদিনই ২৪ বছর বয়সী ধর্ষণে অভিযুক্ত অমিতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দু’জনের কাছ থেকেই সুইসাইড নোট মিলেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষিতা তরুণী তাঁর মৃত্যুর জন্য অমিত-সহ তিন জনকে দায়ী করেছেন। অমিতের কাছ থেকে পাওয়া সুইসাইড নোটে এই ঘটনার জন্য অমিত একমাত্র নিজেকেই দায়ী করেছেন। তরুণীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেছেন অমিত। পুলিশ দুটো সুইসাইড নোটই যাচাইয়ের জন্য বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ওই তরুণী পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি পুলিশকে জানান, মাস তিনেক আগে অমিত এবং তাঁর দুই বন্ধু অনিল আর জিতেন্দ্র জোর করে তাঁর ঘরে ঢোকেন। ধর্ষণ করেন তাঁকে। তখন বাড়িতে আর কেউ ছিলেন না। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করায়। যার রিপোর্ট এখনও মেলেনি। গত শনিবার ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তাঁর বয়ান রেকর্ড করার কথা ছিল। তার আগের দিনই ওই তরুণী আত্মহত্যা করেন বলে জানতে পারে পুলিশ। তরুণীর কাছ থেকে মেলা সুইসাইড নোটে অমিতের সঙ্গে তাঁর দুই বন্ধুকেও দায়ী করেছেন তরুণী।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের মামলা তুলে নিতে সন্ন্যাসিনীকে প্রস্তাব দিলেন যাজক!
তরুণীর আত্মহত্যার পরদিন অর্থাৎ শনিবার অমিতেরও ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রবিবার জাসরানা থানায় মূল অভিযুক্ত অমিতের দাদা তারাচাঁদ যান। ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য তরুণীর স্বামী-সহ তাঁর পরিবারের তিন সদস্যের নামে অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, অমিতের সঙ্গে ওই তরুণীর ঘনিষ্ঠতা ছিলেন। তরুণী পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করার আগে ১৬ জুলাই তাঁর স্বামী একটি অভিযোগ করেছিলেন পুলিশের কাছে। স্বামীর অভিযোগ ছিল, অমিত তাঁর দুই বন্ধুর সাহায্যে স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘আচ্ছা, ও তো আর নেই! আমি কেন বেঁচে গেলাম?’
পুলিশ অভিযুক্ত অমিতের দুই বন্ধু অনিল এবং জিতেন্দ্রর খোঁজ করছে। তবে অভিযোগ পাওয়া সত্ত্বেও এতদিনেও ব্যবস্থা না নেওয়ায় গাফিলতির অভিযোগে ফিরোজাবাদের এসপি শচীন্দ্র পটেল জাসরানা থানার প্রধান আধিকারিক মুনীশ চন্দ্র এবং তদন্তকারী অফিসার সোমপাল সিংহকে বরখাস্ত করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy