‘রাফাল’ শব্দ উচ্চারণ না করেও কংগ্রেসকে তোপ মোদীর। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
রাফাল নিয়ে একের পর এক বোমা ফেলছেন রাহুল গাঁধী। কিন্তু তার জবাব দিয়ে দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুললেনই না। উল্টে কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন বাছা বাছা কিছু বিশেষণে। অথচ, এক বারের জন্য বলতে পারলেন না ফ্রান্স থেকে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনায় দুর্নীতি হয়নি।
শুরু করেছিলেন সংসদের বাদল অধিবেশনে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী সংসদের ভিতরেই দাবি করেছিলেন, ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশন-এর কাছ থেকে যুদ্ধবিমান কেনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। তার পর থেকে যমুনার জল যত গড়িয়েছে রাফাল দুর্নীতি নিয়ে সুর উচ্চগ্রামে তুলেছে কংগ্রেস। বারুদে অগ্নি সংযোগ করেছেন প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ। রাফাল চুক্তি যখন হয়, তখন তিনি-ই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আর তাতে অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপির।
এত দিন এ নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার জবাবের মঞ্চ হিসেবে বেছে নেন মধ্যপ্রদেশের ভোপালে দলীয় একটি অনুষ্ঠানকে। একবারও ‘রাফাল’ শব্দ উচ্চারণ না করেও তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস নেতারা অভিধান থেকে বেছে বেছে শব্দ নিয়ে বিজেপিকে গালি দিচ্ছেন। অখচ নিজেরা এক বারও ভেবে দেখছেন না, কেন শতাব্দীপ্রাচীন দলের আসন সংখ্যা নামতে নামতে ৪৪-এ এসে ঠেকেছে। ক্ষমতা হারিয়ে ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলেছেন দলের নেতারা।’’ নাম না করেও সুকৌশলে রাফাল নিয়ে ওলাঁদের মন্তব্য টেনে বলেন, ‘‘দেশে জোট কাজে আসছে না, তাই বিদেশে জোট করতে চাইছে কংগ্রেস।’’ প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘‘বিদেশিরা যদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ঠিক করেন, তা হলে কে বসবেন সেই চেয়ারে?’’ খোঁচার নিশানায় অবশ্যই রাহুল গাঁধী।
#WATCH PM Narendra Modi addresses party workers in Bhopal. #MadhyaPradesh https://t.co/CMrVosQmHZ
— ANI (@ANI) September 25, 2018
আরও পড়ুন: নেই তাই খাচ্ছ, থাকলে কোথায় পেতে..., পার্থর মন্তব্যে হতভম্ব শিক্ষামহল
কিন্তু প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এক বারও বললেন না, রাফাল কেনায় কোনও দুর্নীতি হয়নি। তিনি বা সরকারের কেউ অনিল অম্বানীর সংস্থাকে বরাতের জন্য ফরাসি সরকারকে সুপারিশ করেননি, এমন কোনও দাবিও করলেন না।
আরও পড়ুন: চার্জশিট প্রাপ্ত নেতাদের ভোটে দাঁড়ানোর প্রশ্নে হস্তক্ষেপে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট
অথচ আক্রমণের ধার বাড়িয়েই চলেছেন কংগ্রেস নেতারা। এ দিনও রাহুল গাঁধী বলেছেন, ‘‘সংসদে প্রশ্ন করেছিলাম, কেন রাতারাতি বরাত বদলে গেল। ৪৫ হাজার কোটি টাকা দেনার বোঝা ঘাড়ে থাকা অনিল অম্বানীর সংস্থাকে কেন বরাত দেওয়া হল। মোদী চোখে চোখ রেখে উত্তর দিতে পারেননি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy