অ্যাসিড হামলায় চোখ হারালেও মনের জোরে আজ ব্যাঙ্কে কর্মরত ইন্দরজিত্। অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।
অ্যাসিড মুখমণ্ডলের সৌন্দর্যের পাশাপাশি নষ্ট করে দিয়েছে তাঁর চোখ। কিন্তু মনের জোরকে দমানোর ক্ষমতা যে অ্যাসিডের নেই তা প্রমাণ করেছেন পঞ্জাবের যুবতী ইন্দরজিত্ কৌর। সাত বছর আগে অ্যাসিড হামলায় তাঁর চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সমস্ত বাধাকে দূরে ঠেলে বর্তমানে তিনি দিল্লির কানাড়া ব্যাঙ্কে কর্মরত।
২০১১ সালে প্রতিবেশী গ্রাম জিকারপুরের যুবক মনজিত্ সিংহের বিয়ের প্রস্তাবে সাড়া দেননি ইন্দরজিত্। রাগে তাঁর মুখে অ্যাসিড ছুড়ে মারেন মনজিত্। এর পর কিছুটা হলেও ভেঙে পড়েছিলেন ইন্দরজিত্। নিজেকে সব সময় বন্দি রাখতেন মারৌলি কালানের গ্রামের বাড়িতে।
কিন্তু কান্নার ক্লান্তি তাঁকে বুঝিয়েছিল বাঁচতে হলে সমস্ত প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়াই করেই বাঁচতে হবে। তার পর শুরু হয় তাঁর জীবন যুদ্ধ। অ্যাসিড আক্রান্তদের নিয়ে লড়াই করার জন্য পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন তিনি। ইন্দরজিত্ জানিয়েছেন, অ্যাসিড হামলাকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি তাঁর মা ছাড়া আর কাউকে পাশে পাননি। এমনকি, তাঁর ভাই ও আত্মীয়স্বজনরাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: কুম্ভ মেলায় নতুন আর্কষণ ‘ফরাসী বাবা’
কিন্তু সেই অবহেলা দমাতে পারেনি তাঁকে। তাই দেহরাদূনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ভিস্যুয়াল হ্যান্ডিক্যাপড প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে পড়াশোনার মাধ্যমে নতুন জীবনের পথে এগিয়ে চলেন তিনি।
এ বছর জুন মাসে ব্যাঙ্কিং সার্ভিস পরীক্ষায় বসেন তিনি। তৃতীয় বারের এই চেষ্টায় সফলও হন ইন্দরজিত্। সফল হওয়ার পর তিনি বলেছেন, ‘‘চোখ হারিয়েছি কিন্তু জীবনের লড়াইয়ে হারতে চাইনি আমি।’’
আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনার পোশাক পরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা পাক সেনার! নওগামে গুলিতে হত দুই
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy