Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
National News

যৌন মিলনের চাপ, না শোনায় সাঁড়াশি দিয়ে কিশোরের যৌনাঙ্গ পোড়ালেন মহিলা

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৫ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে বিবাহিত ওই মহিলা প্রতিবেশী এক কিশোরকে ডেকে নিয়ে যান নিজের বাড়িতে। সেই সময় বাড়িতে মহিলার স্বামী বা অন্য কেউ ছিলেন না। অভিযোগ, ওই কিশোরকে ঘরে আটকে যৌন মিলনের জন্য জোর-জবরদস্তি করেন।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

সংবাদ সংস্থা
নয়ডা শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৮ ১১:২৫
Share: Save:

বছর কুড়ির বিবাহিত মহিলা। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে বছর তেরোর কিশোরকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন যৌন মিলনের প্রত্যাশায়। কিন্তু কিশোর রাজি না হওয়ায় জুটল ভয়ঙ্কর ‘শাস্তি’। গরম সাঁড়াশি দিয়ে ওই কিশোরের যৌনাঙ্গ পুড়িয়ে দিল ওই মহিলা।

এই অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় গ্রেটার নয়ডার চাপরৌলা গ্রাম। ঘটনার পর থেকেই ফেরার অভিযুক্ত মহিলা। কিশোরের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নয়ডা পুলিশ। ওই মহিলার খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৫ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে বিবাহিত ওই মহিলা প্রতিবেশী এক কিশোরকে ডেকে নিয়ে যান নিজের বাড়িতে। সেই সময় বাড়িতে মহিলার স্বামী বা অন্য কেউ ছিলেন না। অভিযোগ, ওই কিশোরকে ঘরে আটকে যৌন মিলনের জন্য জোর-জবরদস্তি করেন। কিন্তু কিশোর রাজি না হওয়ায় তাঁকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখেন। বারংবার একই চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত কিশোরকে ভয়ঙ্কর শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অভিযোগ, উত্তপ্ত একটি সাঁড়াশি দিয়ে কিশোরের যৌনাঙ্গ পুড়িয়ে দেন ওই মহিলা।

আরও পডু়ন: ভিড় মেট্রোয় যুবতীকে ঘিরে ধরে হেনস্থা-কটূক্তি, টালিগঞ্জে ধৃত ১০ যুবক

এই ঘটনার পরই মহিলা পালিয়ে যান। দীর্ঘক্ষণ পর কিশোরের বাড়ির লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। পরে মঙ্গলবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরের অভিভাবকরা।

কিশোরের মায়ের অভিযোগ, শুধু ওই দিনই নয়, এর আগেও একাধিক বার তাঁর ছেলের সঙ্গে যৌন মিলনের চেষ্টা করেছেন। ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত এই ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটিয়েছেন।

আরও পড়ুন: স্কুলে শিশুনিগ্রহ, ভাঙচুর-বিক্ষোভে রণক্ষেত্র ঢাকুরিয়া

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে মারাত্মক অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা, বেআইনি ভাবে আটকে রাখা, অপহরণ এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ বা উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE