নীরব মোদী। ফাইল চিত্র।
এ যেন ভেল্কি।
পাসপোর্ট বাতিল হয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসে। তারপরেও সেই পাসপোর্ট নিয়ে একাধিকবার ব্রিটেন থেকে আসা-যাওয়া করেছেন নীরব মোদী। সাত দিন আগে সেই পাসপোর্ট নিয়েই তিনি আবার ব্রাসেলসে পালিয়েছেন।
প্রশ্ন উঠেছে, ব্রিটেন থেকে ব্রাসেলসে পালানোর পরের দিন কেন সিবিআই ইন্টারপোলকে নীরবের নামে ‘রেড কর্নার নোটিস’ জারির অনুরোধ জানাল? চাপের মুখে আজ সিবিআই গোটা দায়টাই ইন্টারপোলের উপর চাপিয়েছে। সিবিআইয়ের যুক্তি, এ থেকেই স্পষ্ট ইন্টারপোলের ব্যবস্থায় ফাঁকফোকর রয়েছে। এবং নীরব তা কাজে লাগিয়েছেন।
কিন্তু সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়েও আজ ফের প্রশ্ন উঠেছে। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের প্রতারণার তদন্তপ্রাপ্ত অফিসার রাজীব সিংহকে তদন্তের মাঝখানেই তাঁর নিজের রাজ্য ত্রিপুরায় বদলি করা হয়। এ বার জানা গিয়েছে, রাজীবের ই-মেল হ্যাক হয়েছিল। সেখান থেকে ৩০ হাজার স্প্যাম-মেল পাঠানো হয়। যার মোকাবিলায় সার্ট (কম্পিউটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম)-কে ডাকতে হয়। ই-মেল ব্লক করে দিয়ে রাজীবের ব্যবহৃত ডেস্কটপ আটক করা হয়েছে। এই কারণেই রাজীবকে বদলি করা হয়েছিল কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ককে প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত নীরবের পাসপোর্ট বাতিল হয় ফেব্রুয়ারিতে। সিবিআইয়ের দাবি, তার পরেই তা ইন্টারপোলকে জানানো হয়। যে দেশগুলিতে নীরব থাকতে পারেন বলে সন্দেহ, সেই আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, বেলজিয়াম ও সিঙ্গাপুরকে ১৫ ফেব্রুয়ারির পর থেকে পাঁচ বার নীরবের পাসপোর্ট বাতিলের কথা জানানো হয়েছে। তার পরেও ইন্টারপোলের তরফ থেকে লন্ডন থেকে ব্রাসেলসে যাওয়ার তথ্য জানানো হল না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই। শুধু তা-ই নয়। বাতিল পাসপোর্ট নিয়েই নীরব লন্ডন থেকে হংকং, আমেরিকা থেকে লন্ডন, ফের লন্ডন থেকে প্যারিস গিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy