Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
National News

ন্যাশনাল হেরাল্ড: আয়কর দফতরের সেই নির্দেশিকা জমা দিতে বলল সুপ্রিম কোর্ট

বুধবারের শুনানিতে চিদম্বরম দাবি করেন, ৩১ তারিখ জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, কোনও সংস্থার প্রথম বা নয়া শেয়ার বিলি করযোগ্য নয়।

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আয়কর দফতরের সেই নির্দেশিকা চাইল সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আয়কর দফতরের সেই নির্দেশিকা চাইল সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:২৫
Share: Save:

নির্দেশিকা জারি করেও তুলে নেওয়া হয়েছিল চার দিন পরন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার শুনানিতে আয়কর দফতরের জারি করা সেই ‘সার্কুলার’ জমা দিতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। ওই নির্দেশিকার বিষয়ে সনিয়া গাঁধীরাহুল গাঁধীকেও চার সপ্তাহের মধ্যে আলাদা করে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তার এক সপ্তাহ পর হলফনামার আকারেই জবাব দিতে হবে আয়কর দফতরকে, নির্দেশ শীর্ষ আদালতের।

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার শুনানি চলছে বিচারপতি এ কে সিক্রি, বিচারপতি এস আবদুল নাজির এবং বিচারপতি এম আর শাহের বেঞ্চে। সনিয়া-রাহুলের পক্ষে সওয়াল করছেন পি চিদম্বরম, কপিল সিব্বল, অরবিন্দ দত্তার, কবিতা ঝাঁ-এর মতো আইনজীবীরা। বুধবারের শুনানিতে চিদম্বরম দাবি করেন, ৩১ তারিখ জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, কোনও সংস্থার প্রথম বা নয়া শেয়ার বিলি করযোগ্য নয়। পাল্টা আয়কর দফতরের আইনজীবী তুষার মেটা বলেন, ওই সার্কুলারের সঙ্গে এই ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার কোনও সম্পর্ক নেই। তবে আইন মেনেই এই বিষয়ে তাঁরাও সনিয়া-রাহুলের হলফনামার জবাব দেবেন।

এর পর শীর্ষ আদালত ওই নির্দেশিকার বিষয়বস্তু জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি এ নিয়ে সনিয়া-রাহুলের আইনজীবীদের হলফনামার আকারে জমা দিতে বলেন। তার জবাব দিতে বলা হয়েছে আয়কর দফতরকেও।

অ্যাসোসিয়েটেড জার্নাল (এজেএল) প্রকাশ করত কংগ্রেসের মুখপত্র ন্যাশনাল হেরাল্ড। কংগ্রেসের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে চলছিল এজেএল। এই পরিস্থিতিতে ২০১০ সালে এজেএল-এর মালিকানা নিয়ে নেয় সনিয়া-রাহুলের ব্যক্তিগত সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ান। সেই সময় কংগ্রেসের কাছে যে পরিমাণ টাকা ঋণ ছিল ন্যাশনাল হেরাল্ডের, সেই টাকা বদলে ফেলা হয় শেয়ারে। সেই কারণেই অভিযোগ ওঠে, কংগ্রেস দলের টাকা ইয়ং ইন্ডিয়ান অর্থাৎ সনিয়া-রাহুলের ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে রূপান্তর করা হয়েছে। ওঠে কর ফাঁকির অভিযোগও।

আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খান, রাজ্যে চাঙ্গা গেরুয়া শিবির

আরও পডু়ন: জেলাশাসকের মারের পর এ বার পুলিশের চাপ? ‘নিখোঁজ’ বিনোদের সন্ধান মিলল রাতে

এই সব অভিযোগেই সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় মামলা। মামলায় জামিনে রয়েছেন সনিয়া গাঁধী। তার মধ্যেই গত ৩১ ডিসেম্বর সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্স (সিবিডিটি) একটি নির্দেশিকা জারি করে। ওই নির্দেশিকায় কার্যত সনিয়া-রাহুলকে ‘ক্লিনচিট’ দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তার চার দিন পরে ৪ জানুয়ারি রাতে সেই নির্দেশিকা তুলে নেওয়া হয়। এ নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। কংগ্রেসের দাবি, ওই নির্দেশিকায় কংগ্রেসের সুবিধা হচ্ছে বলেই ওই নির্দেশিকা তুলে নেওয়া হয়েছে। যদিও আয়কর দফতরের যুক্তি ছিল, বিচারাধীন বিষয় বলে নির্দেশিকা তুলে নেওয়া হয়েছে।

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE