তখনও জ্বলছে আগুন। দিল্লির অর্পিত প্যালেস। ছবি: পিটিআই।
বিধ্বংসী আগুনে মৃত্যু হল অন্তত ১৭ জনের। মঙ্গলবার ভোরে দিল্লির করোলবাগের একটি হোটেলে এই ঘটনাটি ঘটেছে। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় দমকলের ২৪টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। উদ্ধার কাজ এখনও চলছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। গুরুতর জখম অন্তত ৩৫ জন। দগ্ধ এবং আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ভোর তখন ৪টে। দিল্লির অর্পিত প্যালেস হোটেলে আবাসিকরা সকলেই ঘুমে আচ্ছন্ন। আগুন যে লেগেছে অনেকেই প্রথমে টের পাননি। যখন বুঝতে পারলেন, ততক্ষণে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে আগুন। ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে হোটেলের বেশিরভাগ ঘর। কিন্তু বাঁচার জন্য ঘর থেকে করিডরে বেরিয়ে আসতে গিয়ে আরও বিপত্তি। কাঠের প্যানেল দিয়ে তৈরি করিডর তখন দাউ দাউ করে জ্বলছে। ফলে বেশিরভাগ আবাসিকই বেরতে পারেননি। দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা এবং এক শিশুও রয়েছে। জানা গিয়েছে, মহিলা এবং শিশু জানলা দিয়ে ঝাঁপ দিয়েছিলেন।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর তোলা ভিডিয়োতে ধরা পড়েছে এরকম মর্মান্তিক ছবি। ছাদে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে আর ছাদের রেলিং ধরে ঝুলে রয়েছেন এক ব্যক্তি। কিছুক্ষণ পরে তাঁর হাত রেলিংছাড়া হয়ে যায়। ওই ব্যক্তি কেমন রয়েছেন তা অবশ্য জানা যায়নি।
15 dead in Death #karolbagh Fire. The fire broke out at Arpit Palace Hotel located on Gurudwara Road in Delhi. A call about the fire was received at 4.35 am and total 28 fire tenders went to the spot. pic.twitter.com/zjR9MKB4Ue
— Kirandeep (@raydeep) February 12, 2019
আরও পড়ুন: সকলের সামনে দিয়ে খুনি পালাল কী করে, তৃণমূল বিধায়ক খুনে বাড়ছে ধোঁয়াশা
দমকল সূত্রে খবর, দিল্লির পাঁচতলা ওই হোটেলে ঘরের সংখ্যা ৬৫। দুর্ঘটনার সময় ১৫০ জন আবাসিক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে মায়ানমার থেকে আসা বেশ কিছু পর্যটক ছিলেন। একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষে তাঁরা হেটেলের ৩৫টি ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন। আগুন প্রথমে লাগে পাঁচতলাতেই। হোটেল জুড়ে প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় এবং হোটেলের করিডর, ঘরের মধ্যে কাঠের প্যানেল লাগানো থাকায় পাঁচতলা থেকে খুব দ্রুত আগুন অন্যান্য তলাতেও ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে দমকল।
এ ভাবেই পুড়ে গিয়েছে হোটেলের উপরের তলা। ছবি: পিটিআই।
আরও পড়ুন: স্বামী ‘খুন’, চার বছর ধরে পালিয়ে বাঁচার লড়াই চালাচ্ছেন ইনি
দিল্লির দমকল কর্তা বিপিন কেনতাল জানিয়েছেন, ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ আগুন লাগার খবর আসে। দমকল পৌঁছনোর আগে অনেকটাই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। পাঁচতলা থেকে আগুন ক্রমশ দোতলায় চলে আসে। ফলে ভিতরে ঢুকে উদ্ধার করতে খুব সমস্যায় পড়তে হয় দমকলকর্মীদের। ভিতরে কেউ আটকে রয়েছেন কি না এখন সেটাই ভাল করে খতিয়ে দেখছেন দমকলকর্মীরা।
প্রাথমিকভাবে দমকলের অনুমান, পাঁচতলায় শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল।
দিল্লির পূর্ত মন্ত্রী সতেন্দ্র জৈন বলেন, ‘‘পাঁচতলা পর্যন্ত হোটেলের অনুমোদন ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বেআইনিভাবে ছাদে রান্নাঘর বানিয়েছে। যা চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার প্রমাণ। এই গাফিলতির জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy