আটক তিন মহিলা। ছবি: সংগৃহীত
সুন্দরী নারীসঙ্গের টোপ দিয়ে মোটা টাকা মুক্তিপণ আদায়ের (হানিট্র্যাপ) বড়সড় চক্রের পর্দাফাঁস করল মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। ইন্দওরে এই চক্র কাজ চালাত বলে পুলিশ অভিযোগ পেলেও তিন মহিলা এবং এক ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার ভোপাল থেকে আটক করে ইনদওর পুলিশ। এক মহিলার মোবাইলে মিলেছে আপত্তিকর কিছু ছবি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মূলত রাজনৈতিক নেতা ও সরকারি অফিসাররাই ছিল এই চক্রের টার্গেট। চার জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস)-এর গোয়েন্দারা।
হানিট্র্যাপ যে বেশ কিছুদিন ধরেই ইনদওরে সক্রিয়, বিভিন্ন সূত্রে এমন খবর পুলিশের কাছেও ছিল। তার মধ্যেই সম্প্রতি পদস্থ এক সরকারি কর্তা এই চক্রের শিকার হন। তাঁর কাছ থেকে দু’কোটি টাকা মুক্তিপণ নেওয়ার চেষ্টা করে ওই চক্রের মাথা এক মহিলা। এর পরই নড়েচড়ে বসেন তদন্তকারীরা। এর পর বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে অভিযান চালায় ইনদওর ও ভোপাল পুলিশ এবং ভোপাল এটিএস-এর একটি দল। সেই অভিযানেই চার জন ধরা পড়েন।
তদন্তকারী দলের সঙ্গে যুক্ত মধ্যপ্রদেশ পুলিশের এক পদস্থ কর্তার সূত্রে খবর, চক্রের মূল পান্ডাকে এ দিন ভোপালের রিভেরা টাউন এলাকা থেকে আটক করা হয়। তিনি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চালান বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। কিন্তু সেই এনজিও-র আড়ালেই এই হানিট্র্যাপের কাজকর্ম চালাতেন বলে অভিযোগ। তাঁর মোবাইলে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে মহিলাদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি মিলেছে বলেও ওই সূত্রটি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজীবকে পেতে মরিয়ে সিবিআই, আইপিএস মেস ঘুরে শহরের নামী হোটেলের রান্নাঘরেও ঢুকলেন গোয়েন্দারা
আরও পড়ুন: রাজীব প্রশ্নে উষ্মা, অমিতের সঙ্গে প্রথম বৈঠকের পর মমতা বললেন, কথা হয়েছে এনআরসি নিয়ে
কী ভাবে চলত এই চক্র? পুলিশ সূত্রে খবর, মূলত প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ এবং পদস্থ আমলাদের টার্গেট করত চক্রের মহিলারা। তাদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া ও ফোনে আলাপ জমিয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে লিপ্ত করা হত। তার পর সেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তুলে ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মোটা টাকা মুক্তিপণ দাবি করত চক্রের সদস্যরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy