ধর্মেন্দ্র ও সানি দেওল। ফাইল চিত্র।
বাবা বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ। চলতি বছরে সাংসদ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছেলেও। ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কি খুশি নন ধর্মেন্দ্র? তাঁর কথায়, ‘আগে জানলে সানিকে গুরুদাসপুর থেকে প্রার্থী হতে দিতাম না’। কেন এমন বললেন বর্ষীয়ান অভিনেতা-রাজনীতিবিদ?
ধর্মেন্দ্র বলেন, গুরুদাসপুর থেকে কংগ্রেসের হয়ে সুনীল জাখর ভোটে লড়ছেন জানলে ছেলে সানি দেওলের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যাপারে সম্মতি দিতেন না ধর্মেন্দ্র। কারণ সুনীল তাঁর সন্তানসম। সুনীলের বাবা বলরাম জাখর তাঁর নিজের ভাইয়ের মতো।
সানি দেওলকে গুরুদাসপুর থেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। জাখরপুত্র সুনীল এ কেন্দ্রে প্রার্থী। ধর্মেন্দ্র বলেছেন, ‘‘গুরুদাসপুরে পৌঁছে আমি জানতে পারি যে সানি লড়ছে সুনীলের বিরুদ্ধে। সুনীলের বাবা বলরাম জাখরের সঙ্গে আমার খুব ভাল সম্পর্ক ছিল।’’ তাই বিষয়টা আগে জানলে পারিবারিক সম্পর্কের কথা ভেবেই সানিকে বাধা দিতেন তিনি।
আরও পড়ুন: এত হিংসা কেন? ‘শান্তিপূর্ণ’ ভোটে কাঠগড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনী
ধর্মেন্দ্রর কথায়, তিনি বলরাম জাখরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অস্বীকার করেছিলেন সুসম্পর্কের কারণেই। প্রাক্তন লোকসভা অধ্যক্ষ বলরাম জাখর ২০০৪ লোকসভা ভোটে রাজস্থানের চুরু কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ধর্মেন্দ্র বিকানের থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং জয়ীও হয়েছিলেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ধর্মেন্দ্র বলেন, সুনীল এক জন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। তাঁর বাবাও রাজনীতিতে অভিজ্ঞ মানুষ। তাই সানির লড়াই করা ঠিক হয়নি এই আসনে। ধর্মেন্দ্র বলেন, ‘‘বলরাম জাখর আমাকে রাজনীতির প্রথম পাঠ শিখিয়েছিলেন। ধর্মেন্দ্র বলেন বলরামের হয়ে রাজস্থানে প্রচারে সাহায্য করেছিলেন তিনি।’’
আরও পড়ুন: ষষ্ঠ দফার ভোটে হরিয়ানায় বুথ ক্যাপচার, ভিডিয়ো ভাইরাল
ধর্মেন্দ্র বলেন, ‘‘আমরা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে এসেছি। আমরা এখানে মানুষের সমস্যার কথা শুনতে এসেছি।’’
সানির কথায়, কারও ভাবমূর্তি ভাঙিয়ে নয়, নিজের দেশসেবার মনোভাবকেই ভোটারদের সামনে তুলে ধরতে চান তিনি। তবে মোদীর জন্যই তাঁর বিজেপিতে যোগদান বলে জানিয়েছেন এই বলিউড অভিনেতা। অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে তাঁর বাবা ধর্মেন্দ্রও বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে প্রচারের সময় সানির বয়ানে।
সদ্য বিজেপিতে আসা সানি দেওল গুরুদাসপুরে প্রচার শুরু করেছেন প্রয়াত বিনোদ খন্নার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। তাঁর অসমাপ্ত কাজগুলি পূর্ণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিনোদের স্ত্রী কবিতা স্বামীর আসনে সানিকে দাঁড় করানো নিয়ে অসন্তোষও প্রকাশ করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy