গ্রেটার নয়ডায় নরেন্দ্র মোদী। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
নির্বাচনী প্রচারে সেনাবাহিনীকে ব্যবহারের অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। তার মধ্যেই ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাতে টেনে আনলেন তাঁর পূর্বসূরি কংগ্রেস সরকারকেও। মোদীর দাবি, ২৬/১১ মুম্বই হামলার সময়েও বায়ুসেনা প্রত্যাঘাত করতে প্রস্তুত ছিল। তবে সেই সময় ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ-২ সরকার। তারা সেনাবাহিনীকে পদক্ষেপ করতে দেয়নি।
শনিবার গ্রেটার নয়ডার জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন মোদী। সেখানে ২৬/১১ মুম্বই হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘মুম্বই হামলার সময়েও আমাদের সেনাবাহিনী প্রত্যাঘাতের জন্য প্রস্তুত ছিল বলে রিপোর্ট পেয়েছি। কিন্তু এ ব্যাপারে নির্বিকার ছিল সরকার।’’ সেনাবাহিনীকে কোনও পদক্ষেপ করতে দেওয়া হয়নি। মনমোহন সিংহ ও তাঁর সরকারকে খোঁচা দিয়ে মোদী বলেন, ‘‘এ রকম ঠুঁটো জগন্নাথ সরকার, নিদ্রামগ্ন চৌকিদার দিয়ে কি কাজ চলে?’’
২০১৬ সালে কাশ্মীরের উরিতে সেনা শিবিরে ঢুকে হামলা চালায় একদল ফিদায়েঁ জঙ্গি। তার জবাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারতীয় বাহিনী। সম্প্রতি পুলওয়ামা হামলার পর পাক অধিকৃত কাশ্মীর, বালাকোট এবং চাকোটিতে অসামরিক অভিযান চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ‘‘হামলার পর আগের সরকারের মতো হাত গুটিয়ে বসে থাকেনি তাঁর সরকার। বরং নয়া রীতি-নীতি মেনে কাজ করে চলেছে। তাই জঙ্গিরা যে ভাষা বোঝে, সেই ভাষাতেই তাদের জবাব দেওয়া গিয়েছে। উরিতে হামলার পর সমস্ত তথ্য প্রমাণ জড়ো করি আমরা। তার পর পদক্ষেপ করে সেনাবাহিনী, যা আগে কখনও হয়নি। ঘরে ঢুকে জঙ্গিদের নিকেশ করা হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী এমন কিছু করতে পারে বলে জঙ্গিরা তো বটেই, তাদের যারা চালনা করে, তারাও ভাবতে পারেনি। তাই ভয় পেয়ে গিয়েছিল। ভেবেছিল দ্বিতীয়বার যদি ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারত! তাই সীমান্তে লোক বসিয়ে রেখেছিল। কিন্তু এ বার আকাশপথে গিয়ে ওদের ডেরা গুঁড়িয়ে দিয়ে এসেছি আমরা।’’
सितंबर 2016 में सर्जिकल स्ट्राइक और इस साल फरवरी में एयर स्ट्राइक के बाद आतंक के आकाओं को समझ आ गया है कि ये पुराना वाला भारत नहीं है।
— BJP (@BJP4India) March 9, 2019
भारत की कार्रवाई के बाद अब वो बुरी तरह बौखलाए हुए हैं: प्रधानमंत्री श्री @narendramodi pic.twitter.com/tAC00myERf
মোদীর ভাষণ।
আরও পড়ুন: মোহনবাগান তাঁবুতে অবহেলায় ধ্বংস গোষ্ঠ পালের ট্রফি-মেডেল, কাঁদতে কাঁদতে থানায় গেলেন ছেলে
আরও পড়ুন: মাসুদকে কারা ছেড়েছিল? সাহস থাকলে মুখ খুলুন: মোদীকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ রাহুলের
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার জবাবে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীর, বালাকোট এবং চাকোটিতে বোমা ফেলে ভারতীয় বায়ুসেনা। একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় বলে বাহিনীর দাবি। তবে ভারত সরকার বা সেনাবাহিনী সেই নিয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়ার আগেই, ভোর পাঁচটা নাগাদ ভারতীয় বায়ুসেনা তাদের এলাকায় ঢুকেছে বলে ঘোষণা করে পাকিস্তান। তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘‘জঙ্গিদের বাড়িতে বোমা ফেলি আমরা। পুলওয়ামার জবাবে এমন কিছু ঘটতে পারে বলে ভাবতেও পারেনি ওরা। ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ নাগাদ বোমা ফেলি আমরা। তাতেই ঘুম ছুটে যায় পাকিস্তানের। তাই আমরা যখন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছিলাম, সেই সময় ভোর ৫টা থেকে মোদী আমাদের মেরেছে বলে কাঁদতে শুরু করে পাকিস্তান।’’
দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বিরুদ্ধে নাশকতায় মদত জুগিয়ে আসছে পাকিস্তান। তার জন্যও কংগ্রেসকে দায়ী করেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর অভিযোগ, ‘‘২০১৪-র আগে ভারতে রিমোট কন্ট্রোলে নিয়ন্ত্রিত সরকার ছিল। ভারত কখনও পাল্টা আঘাত করতে পারে তা ভাবতেও পারেনি শত্রুপক্ষ। তাই ভারতের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিল তারা।’’
বায়ুসেনার অভিযানে ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে ইতিমধ্যেই দাবি করেছে পাকিস্তান। তা নিয়ে দেশের অন্দরেও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বোমাবর্ষণে আদৌ কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। তবে মোদীর যুক্তি, মোদী বিরোধিতা নিয়েও এখন প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁর মতে, ভোট পেতে এত মরিয়া হয়েছে উঠেছে বিরোধীরা যে, দেশের বিরোধিতা করতে শুরু করে দিয়েছেন।
(কী বললেন প্রধানমন্ত্রী, কী বলছে সংসদ- দেশের রাজধানীর খবর, রাজনীতির খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy