নেহরু গাঁধী পরিবারকে রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণ শানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে পাল্টা আঘাত করতে জওহরলাল নেহরুর ঐতিহ্যকে সামনে নিয়ে এল কংগ্রেস। তাঁর জন্মদিবসের মঞ্চকে ঘিরে ভারতের গণতন্ত্রে নেহরুর অবদানকে স্মরণ করা হল। এটাও বলা হল যে, নেহরুর ঐতিহ্যের কারণেই আজ মোদী প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছেন।
কংগ্রেস সূত্রের মতে, গত কাল শশী তারুরের নেহরু সংক্রান্ত বইটির পুনঃপ্রকাশ অনুষ্ঠানটির আয়োজনই করা হয়েছিল মোদী-বিরোধী আক্রমণ শানানোর জন্য। যাতে শামিল হয়েছিলেন খোদ সনিয়া গাঁধীও। নেহরুর প্রতি বর্তমান শাসকের অবজ্ঞার অভিযোগে সরব হন সনিয়া। পাশাপাশি তারুরও দাবি করেন, নেহরুর উদার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের জন্যই ভারতে এক জন চা-বিক্রেতাও প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। সমাজের পিছিয়ে থাকা শ্রেণির মানুষও প্রধানমন্ত্রিত্বের স্বপ্ন দেখতে পারেন।
আজ গোটা দিন ছত্তীসগঢ়ে প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন রাহুল গাঁধী। তবে সকালেই টুইটারে বলেছেন, ‘‘পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর সেরা উপায় হল ফের গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, স্বাধীনতা ও সমাজতন্ত্রের পথে নিজেদের উৎসর্গ করা। এই মৌলিক মূল্যবোধগুলিতে তিনি বিশ্বাস করতেন। এর জন্য লড়াই করেছেন। দেশকে একজোট করে রেখেছে এই মূল্যবোধগুলিই।’’ সম্প্রতি ‘আই অ্যাম দ্য চেঞ্জ’ বলে যে কর্মসূচি শুরু করেছে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন তার সঙ্গে ‘চাচা’ নেহরুর আদর্শকে একসূত্রে গেঁথেছেন রাহুল। সমস্ত কংগ্রেস কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘‘সবাই এগিয়ে আসুন। পথশিশুদের স্কুলে নিয়ে যান।’’
আরও পড়ুন: দলিত ধর্মগুরু কংগ্রেসে, বড় চিন্তা রমনের
আরও পড়ুন: ভোটে পাইলট-গহলৌত, রাজস্থানে কৌশলী রাহুল
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও অবশ্য সকালে একটি বাক্যে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন। আজ সিঙ্গাপুর থেকে টুইট করে তিনি বলেছেন, ‘‘স্বাধীনতা সংগ্রামে এবং তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ে নেহরুর অবদানকে আমরা স্মরণ করি।’ কংগ্রেস সূত্রের মতে, এই মোদীই তাঁর শাসনকালের গোড়ার দিকে নেহরুর জন্মদিন যথেষ্ট ঘটা করে পালন করতেন। তাঁর জন্মদিনে বাচ্চাদের সঙ্গে কথোপকথনের অনুষ্ঠানও করা হত। কিন্তু পরে নেহরুর গুরুত্ব কমিয়ে বল্লভভাই পটেল ও সুভাষচন্দ্র বসুর মতো নেতাদের নিয়ে প্রচারের কৌশল নেন মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy