আমেরিকার এফ-১৬ বনাম সুইডেনের গ্রিপেন ই— ভারতের আকাশ দখলে নেমে পড়ল দু’দেশের দুই যুদ্ধবিমান সংস্থা।
জরাগ্রস্ত মিগ বিমানের বদলে নতুন যুদ্ধবিমান কিনতে চাইছে ভারতীয় বায়ুসেনা। রবিবারই দিল্লিতে পৌঁছচ্ছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জেমস ম্যাটিস। সোম ও মঙ্গলবার তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ম্যাটিস এই সফরেই এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের বরাত পাওয়ার মৌখিক প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিতে চাইবেন বলে খবর।
গত অক্টোবরেই বায়ুসেনার জন্য এক-ইঞ্জিনের যুদ্ধবিমান কিনতে আমেরিকা, সুইডেন, রাশিয়ার থেকে তথ্য চেয়েছিল ভারত। মোদী সরকার দেশের বেসরকারি সংস্থাগুলিকে বিদেশি প্রতিরক্ষা সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের ছাড়পত্র দিয়েছে। কেন্দ্রের পরিকল্পনা হল, বিদেশে তৈরি যুদ্ধবিমান আমদানির বদলে এ দেশেই দেশি-বিদেশি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে তা তৈরি হোক। এই বরাত পেতে এক দিকে মার্কিন লকহিড মার্টিন এ দেশের টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস লিমিটেডের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে। অন্য দিকে সুইডেনের সাব সংস্থা হাত মিলিয়েছে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে। লড়াইটা এখন মার্কিন এফ-১৬ বনাম সুইডেনের গ্রিপেন-ই’র। কারও কারও মতে, টাটা বনাম আদানিরও।
আরও পড়ুন:এবিভিপি ধাক্কা খেল দক্ষিণেও
বায়ুসেনা কর্তারা বলছেন, গ্রিপেন ই সবে জুন মাসেই প্রথম আকাশে ডানা মেলেছে। উল্টো দিকে মার্কিন বায়ুসেনা নিজেই এখন এফ-১৬ কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। তাই এর উৎপাদনও কমছে। লকহিড অবশ্য বায়ুসেনাকে জানিয়েছে, তারা একেবারে অত্যাধুনিক এফ-১৬ ব্লক ৭০ ভারতে তৈরি করবে। টেক্সাসে এফ-১৬ তৈরি বন্ধ করে দেওয়া হবে। এফ-১৬’এর কার্যকারিতা যে ভাবে প্রমাণিত, সদ্য আকাশে ওড়া গ্রিপেন-ই এখনও পরীক্ষিত নয়। পেন্টাগন জানিয়েছে, আফগানিস্তানের গণতান্ত্রিক স্থায়িত্ব, উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকৃতি দেবেন ম্যাটিস। সাউথ ব্লকও বলছে, ম্যাটিসের সঙ্গে মোদী, নির্মলার বৈঠকে মার্কিন আফগান-নীতি নিয়ে আলোচনা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy