কলকাতায় উইং কমান্ডার অভিনন্দনের মুক্তির দাবিতে মিছিল। ছবি: রয়টার্স।
পাক ভূমিতে ভেঙে পড়া মিগ ২১ বাইসন যুদ্ধবিমানের চালক অভিনন্দন বর্তমানকে নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা দেশ। বায়ুসেনা অফিসার অভিনন্দনের জন্য দেশবাসীর একটাই প্রার্থনা, সুস্থ শরীরে দেশে ফিরুন তিনি।
বর্তমানে পাক হেফাজতে থাকা অভিনন্দনের ‘দ্রুত ও নিরাপদ মুক্তি’র জন্য ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে সাউথ ব্লক। একইসঙ্গে জেনেভা চুক্তির কথা স্মরণ করিয়ে অভিনন্দনের প্রতি ব্যবহার করা নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে পাক সেনাকে।
মিগ ২১-এর পাইলট অভিনন্দনের কথা জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রকও। রক্তাক্ত অভিনন্দনের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিয়ো সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করে পাক সেনা।
আমদাবাদে অভিনন্দনের মুক্তির দাবিতে পড়ুয়াদের মিছিল। ছবি: রয়টার্স।
পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে তলব করে তার কড়া নিন্দা করেছে সাউথ ব্লক। মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও জেনেভা চুক্তির।
আরও পড়ুন: শত্রু ট্যাঙ্ককে এক নিমেষে গুঁড়িয়ে দিতে পারে, ভারতের এই ‘নাগ’
বুধবার সকালে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে পাক বিমানকে চিহ্নিত করে ভারতীয় রাডার। হামলার আশঙ্কায় প্রস্তুত ছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। জবাব দিতে মুহূর্তে আকাশে ওড়ে ভারতের যুদ্ধবিমান। শুরু হয় লড়াই।
আরও পড়ুন: সুখোই থেকে মিগ, সব বিমান ওড়ানোয় দক্ষ অভিনন্দনের স্ত্রীও বিমানবাহিনীর প্রাক্তন স্কোয়াড্রন লিডার
নয়াদিল্লির দাবি, পাকিস্তানের একটি বিমানকে (এফ-১৬)গুলি করে নামিয়েছে ভারতের মিগ-২১ (বাইসন)। পাক বিমানের চালককেও প্যারাশুটে করে নামতে দেখা গিয়েছে বলে দাবি সাউথ ব্লকের।
আরও পড়ুন: ভারতের মিরাজ ২০০০ বনাম পাকিস্তানের এফ ১৬, এগিয়ে কোন যুদ্ধবিমান?
পাকিস্তান প্রথমে জানিয়েছিল, ভারতের দু’টি বিমান গুলি করে নামিয়েছে তারা এবং দুই চালক তাদের হাতে ধরা পড়েছেন। তাঁদের এক জন হাসপাতালে ভর্তি। অন্য জন সুস্থ রয়েছেন। পরে বিবৃতি পাল্টে এক জনকে গ্রেফতার করার কথা জানানো হয়। সেই পাইলট উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের তিনটি ভিডিয়ো সামনে আনে পাক সেনা।
আরও পড়ুন: ডেয়ারি-পোলট্রির ব্যবসা ছিল জইশ প্রধান আজহারের, বাবা ছিলেন হেডমাস্টার
ভিডিয়োতে চোখ বাঁধা রক্তাক্ত অভিনন্দনকে দেখার পরেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে প্রতিবাদের ঝড়, প্রত্যেকেই প্রার্থনা করছেন তাঁর জন্য। দ্রুত ওই অফিসারকে ভারতে ফেরানোর দাবিতে সরব হয়েছেন নেটিজেনরা।
আরও পড়ুন: দেহ ফিরেছিল আনন্দ, সৌরভের, ফিরেছিলেন নচিকেতা, দেশের প্রার্থনা, অভিনন্দন ফিরুন অক্ষত অবস্থায়
অভিনন্দনের বাবা বায়ুসেনার প্রাক্তন এয়ার মার্শাল এস বর্তমান ছেলের রক্তাক্ত চেহারা টেলিভিশনে না-দেখানোর আবেদন করেন। সূত্রের খবর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিনন্দনকে দ্রুত ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সব ধরনের চেষ্টার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেনার পাশে দাঁড়িয়েই দেশের শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব রাহুলেরা
ভিডিয়োর প্রথমটিতে জঙ্গলে ঘেরা একটি নালার মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা যায় ওই অফিসারকে। তাঁকে স্থানীয়দের হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান পাক সেনারা। দ্বিতীয় ভিডিয়োটিতে চোখ বাঁধা অবস্থায় রক্তাক্ত অভিনন্দনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে অভিনন্দন নিজের নাম ও সার্ভিস নম্বর জানান। পাশাপাশি জানতে চান, তিনি কি পাক সেনার হেফাজতে রয়েছেন? যদিও সেই উত্তর মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy