অমিত শাহ।
গত ক’দিন আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল কাশ্মীর। আর আজ ইদের ছুটি হওয়া সত্ত্বেও মন্ত্রকে উপস্থিত হয়ে মাওবাদী সমস্যা নিয়ে স্বরাষ্ট্র কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রের মতে, বৈঠকে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গিদের গুলিতে মহিলার মৃত্যু নিয়েও আলোচনা হয়।
কেন্দ্র মনে করে, কাশ্মীর ছাড়া এই মুহূর্তে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার সবচেয়ে বড় বিপদ হল নকশাল সমস্যা। আগের চেয়ে মাওবাদীদের গতিবিধি কমে এলেও, ছত্তীসগঢ়ের মতো রাজ্যে যে মাওবাদীরা এখনও শক্তিশালী। তা চলতি নির্বাচনের সময়ে একাধিক বার হামলা চালিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে তারা। সেই কারণে কাশ্মীর পর্ব শেষ হতেই নকশাল সমস্যার প্রকৃত চিত্রটি বুঝতে আজ বৈঠকে বসেন অমিত শাহ।
সূত্রের খবর, বৈঠকে স্বরাষ্ট্র কর্তারা জানান, বিহার বা ঝাড়খণ্ডে মাওবাদীদের উপদ্রব আগের চেয়ে অনেক কম। পশ্চিমবঙ্গেও গত পাঁচ বছরে কোনও হামলা হয়নি। শান্ত অন্ধ্রপ্রদেশ। বর্তমানে ছত্তীসগঢ় ছাড়া মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলির কিছু অংশে সশস্ত্র মাওবাদীদের প্রভাব রয়ে গিয়েছে। স্বরাষ্ট্র কর্তাদের মতে, এই মুহূর্তে গোয়েন্দাদের কাছে সবথেকে দুশ্চিন্তার কারণ হল ছত্তীসগঢ়। ওই রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও মাওবাদীদের কব্জায়। উপরন্তু রাজ্যে কংগ্রেসের সরকার। ফলে নকশাল দমন অভিযানে রাজ্য সরকারের নিঃশর্ত সাহায্য পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে স্বরাষ্ট্র কর্তাদের। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে ছত্তীসগঢ় ছাড়াও মাওবাদী প্রভাবিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রয়োজনে অমিত বৈঠক করবেন।
সশস্ত্র মাওবাদীদের মোকাবিলা করার পাশাপাশি যে বুদ্ধিজীবীরা তাদের সমর্থনে সক্রিয় রয়েছেন, তাদের কী ভাবে রোখা সম্ভব হবে তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। স্বরাষ্ট্র কর্তাদের দাবি, গোটা দেশেই বুদ্ধিজীবী সমাজের একটি অংশ মাওবাদীদের প্রচ্ছন্ন ভাবে সমর্থন করে থাকেন। নৈতিক সমর্থনের পাশাপাশি অর্থ, আশ্রয়, যোগাযোগের মাধ্যমেও মাওবাদীরা সাহায্য পেয়ে থাকে এঁদের কাছ থেকে। বৈঠকে তাই গোয়েন্দা নজরদারিতে জোর দেওয়ার জন্য সওয়াল করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy