কুমারস্বামীর নিশানায় কংগ্রেস। ছবি: পিটিআই।
তবে কি কর্নাটকে কংগ্রেস ও জেডি(এস)-এর মধ্যে তিক্ততা বাড়ছে? রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর কথায় কিন্তু এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। এক মাসও হয়নি তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি কংগ্রেসের দয়ার উপর নির্ভরশীল।’’ কিন্তু ভোল পাল্টে সেই কুমারস্বামীই জানিয়ে দিলেন, তিনি কারোর দয়ার উপর নির্ভর করেন না। কারোর অনুগ্রহে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতেও বসেননি।
অনেকেই বলছেন, কংগ্রেসের সঙ্গে জেডি(এস)-এর মধুচন্দ্রিমা প্রায় শেষ। এমনিতেই কংগ্রেস নেতা তথা কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে কুমারস্বামীর বিরোধ দীর্ঘ দিনের। তার উপর নতুন সরকারের তরফ থেকে কুমারস্বামী বাজেট পেশের উদ্যোগ নেওয়ায়, কর্নাটকের কংগ্রেস নেতৃত্ব ক্ষুব্ধ।
সম্প্রতি ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের সঙ্গে সিদ্দারামাইয়ার বৈঠকের ছবি ফাঁস হয়ে গিয়েছে। তাতে সিদ্দারামাইয়াকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘চলতি আর্থিক বছরে কর্নাটক বিধানসভায় কংগ্রেস সরকার বাজেট পেশ করেছিল। ভোটের পর কংগ্রেসের সমর্থনেই কুমারস্বামী মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন।’’ এর পরেই সিদ্দারামাইয়ার ইঙ্গিত, নিজেদের জাহির করার জন্যেই কুমারস্বামী নতুন করে বাজেট পেশ করতে চাইছেন। সিদ্দারামাইয়ার বক্তব্যের পরেই তোপ দাগেন কুমারস্বামী। তাঁর দাবি, কারোর দয়ার উপর তিনি নির্ভর করছেন না।
আরও পড়ুন: প্রাণে মারার হুমকি, মোদীর কাছে ঘেঁষতে পারবেন না মন্ত্রীরাও
আরও পড়ুন: প্রণব সঙ্ঘের মঞ্চে যেতেই সদস্যপদের আবেদন বেড়ে পাঁচ গুণ
প্রশ্ন উঠছে, তবে কি কর্নাটকে কংগ্রেস ও জেডি(এস)-এর মধ্যে বাড়তে থাকা দূরত্বকে ব্যবহার করবে বিজেপি? বিজেপি-র দাবি, জেডি(এস) এবং কংগ্রসের কমপক্ষে ২০ জন বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু এখনই তাড়াহুড়োয যেতে রাজি নন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। শনিবার বিষয়টি নিয়ে আমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইয়েদুরাপ্পা। কর্নাটকের পরিস্থিতি নিয়ে অমিত শাহ জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে তাঁরা কর্নাটক সরকার ভাঙানোর চেষ্টা করবেন না। সে ক্ষেত্রে লোকসভা ভোটে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আশা, কর্নাটকে কংগ্রেস ও জেডি(এস)-এর জোট সরকার এমনিতেই ভেঙে যাবে। তা ভাঙার জন্য চেষ্টা করার কোনও দরকার নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy