প্রতীকী ছবি।
২০১৭ সালে ডোকলাম পর্বে বিরোধীরা সরকারের বিবৃতি দাবি করেছিল। না দেওয়ায় সংসদে তুমুল হট্টগোল হয়েছিল। পূর্ব লাদাখে এ বারের ভারত-চিন সঙ্ঘাত নিয়ে অবশ্য সে পথে না হেঁটে বিবৃতি দিতে পারে নরেন্দ্র মোদী সরকার। আগামিকাল থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগে আজ বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী।
রবিবার সংসদের কার্যবিবরণী নির্ধারণ করতে এবং সম্ভাব্য আলোচনার বিষয়বস্তু এবং কোন বিষয়ে কতক্ষণ আলোচনা হবে, সে সব বিষয় নির্ধারণ করতে এ দিন বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠক করেছেন স্পিকার ওম বিড়লা। ওই বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সংসদ সূত্রে খবর। বৈঠকের পর এ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার দলের সংসদীয় কমিটির বৈঠক হবে। পরিস্থিতির (চিন-ভারত সঙ্ঘাত) স্পর্শকাতরতা এবং কৌশলগত অবস্থানের কথা মাথায় রেখে সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এবং সাংসদদের বিষয়টি জানানো হবে।’’ প্রহ্লাদ যোশী আরও বলেন, ‘‘যে কোনও বিষয় নিয়েই আলোচনায় রাজি সরকার।’’
গত ৪ মে থেকে প্যাংগং লেক সহ পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রায় সর্বত্র বিপুল সেনা মোতায়েন করেছিল চিন। তার জেরে ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়। তার পর সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে একাধিক বৈঠকে সেনা সরানো নিয়ে দু’পক্ষ রাজি হলেও এখনও ৪ মে-র আগের স্থিতাবস্থা ফেরেনি পরিস্থিতি। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে সরকারকে লাগাতার আক্রমণ করে চলেছে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা।
তবে গত দু’সপ্তাহে অন্তত চার বার চিনের আগ্রাসন রুখে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। কোনও হাতাহাতি বা সংঘর্ষ হয়নি। এমন কিছু কৌশলগত পয়েন্টে ভারতীয় বাহিনী রয়েছে, যাতে চাপে পড়েছে বেজিং। ফলে এ বার বিবৃতি দিলেও সরকারকে তেমন অস্বস্তিতে পড়তে হবে না এবং সেই কারণেই মোদী সরকার বিবৃতিত দিতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
আরও পড়ুন: প্রথায় ব্যতিক্রম, হচ্ছে না সর্বদল বৈঠক, সোমবার শুরু বাদল অধিবেশন
আরও পড়ুন: চিনের রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট কক্ষপথেই পৌঁছল না, শুরু তদন্ত
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy