মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানের দিকে জমায়েত হতে কৃষকদের লম্বা মিছিল । ছবি: পিটিআই।
কর মকুব এবং গোটা রাজ্য জুড়ে চাষের নানান সমস্যার দাবিতে ফের আন্দোলনে নেমে পড়েছেন মহারাষ্ট্রের কৃষকরা। রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে প্রায় সাত হাজারেরও বেশি কৃষক এবং আদিবাসীরা আজ দুপুরে জড়ো হয়েছেন দক্ষিণ মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে। আজই সন্ধ্যের দিকে লোক সংঘর্ষ মোর্চার এই কর্মীরা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের কাছে তাঁদের চাষবাস সংক্রান্ত নানান দাবি জানাতে চলেছেন। জেডিএস, আম আদমি পার্টি, শিবসেনার মতো রাজনৈতিক দলগুলি সমর্থনও জানিয়েছে কৃষকদের এই আন্দোলনকে।
গত মঙ্গলবার ঠাণে থেকে শুরু হয় কৃষকদের মিছিল। আজ দুপুর নাগাদ তাঁরা পৌঁছন মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের দাবি না জানানো অবধি এলাকা থেকে নড়বেন না বলেও জানিয়েছেন লোক সংঘর্ষ মঞ্চের নেতারা।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একগুচ্ছ দাবি জানাতে চলেছেন কৃষকরা। আর তার মধ্যে ঋণ মকুবের দাবি রয়েছে একবারে প্রথমেই। এ ছাড়াও রয়েছে খরা কবলিত অঞ্চলগুলির জন্য ক্ষতিপূরণ, শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি, আদিবাসীদের বনভূমির অধিকার এবং স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশগুলির বাস্তবায়ন।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ‘ধর্মীয় করিডর’ তৈরিতে সায় কেন্দ্রের
চাষ হয়নি এমন খরা কবলিত অঞ্চলগুলির জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০,০০০ টাকা প্রতি একর এবং চাষ হয়েছে এমন জমির জন্য ১ লক্ষ টাকা প্রতি একর ক্ষতিপূরণ চাইতে চলেছেন কৃষকরা। তবে বিনা শর্তে এবং পুরোপুরি ভাবে ঋণ মকুবের দাবি জানাতে চলেছেন লোক সংঘর্ষ মঞ্চের কর্মীরা।
আদিবাসীরা সরকারের কাছে বন অধিকার সংক্রান্ত আইনের কার্যকারিতারও দাবি জানাতে চলেছেন। সঙ্গে বেকার যুবকদের চাকরি দেওয়ার কথাও বলতে চলেছেন লোক সংঘর্ষ মঞ্চের কর্মীরা।
আরও পড়ুন: অযোধ্যায় শিবসেনাকে সভা করার অনুমতি দিল না যোগী সরকার
কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বেশ কিছু সমাজকর্মীরা। স্বরাজ অভিযানের নেতা যোগেন্দ্র যাদব, ম্যাগসেসে পুরস্কার প্রাপ্ত রাজেন্দ্র সিংহ। সম্প্রতি ‘ম্যান মেড’ খরার জন্য সরকারের দিকেই আঙুল তুলেছেন রাজেন্দ্র সিংহ।
(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।)
মুম্বইতে মূলত জেজে ফ্লাইওভার, লালবাগ ফ্লাইওভার, পারেল ফ্লাইওভার— সাধারণ মানুষকে এই জায়গাগুলি বাদ রেখেই আজকে চলাচল করতে নির্দেশ দিয়েছিল মুম্বই পুলিশ। তবে তাঁদের আন্দোলনে জনসাধারণের খুব অল্প সমস্যাই হবে বলে জানিয়েছেন কৃষক নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy