প্রতীকী ছবি।
স্বামীর সঙ্গে বচসা। স্বামীকে আট টুকরো করে কাটলেন স্ত্রী। কয়েক দিন পর পুলিশের কাছে মিসিং ডায়েরিও করে এলেন। দিল্লির অমৃত বিহার এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। ১৪ ফেব্রুয়ারির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি।
স্বামীকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার জন্য বেশ কিছু ক্রাইম সিরিজ ও হিন্দি ধারাবাহিকের সাহায্যও নিয়েছিলেন সুনীতা নামের এই মহিলা, জেরায় উঠে এল এই তথ্যও।
কয়েক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ ছিলেন ভাড়াটে। তাঁরই ঘরে এসে মানবদেহের একটা আঙুলের টুকরো দেখে শিউরে ওঠেন বাড়িওয়ালা। ঘরের মেঝেতে কিছু ভাঙা অংশ দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। পুলিশে খবর দেওয়া হয় তখন।
আরও পড়ুন: লাইভ: ‘গুরুত্বপূর্ণ বার্তা’ দিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী
পুলিশ জানিয়েছে, সুনীতা নামের ওই মহিলা খুন করেছেন তাঁর স্বামী রাজেশকে। জেরায় সুনীতা এ কথা স্বীকারও করেছেন। পুলিশ সূ্ত্রে খবর, প্রায়ই নানা বিষয় নিয়ে বচসা হত সুনীতা এবং রাজেশের। সুনীতার বয়স ৩৮, রাজেশের বয়স ৬৩। বয়সের ফারাকের কারণেও তাঁদের মধ্যে কিছু সমস্যা ছিল। সুনীতাকে সন্দেহ করতেন রাজেশ। এক যুবকের সঙ্গে সুনীতার সম্পর্ক রয়েছে এমন অভিযোগ নিয়েও নিয়মিত ঝামেলা চলত দম্পতির।
১৪ ফেব্রুয়ারি রাজেশকে খুন করার পরিকল্পনা করেন সুনীতা। সেই মতোই নিজের ছেলেকে প্রতিবেশীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এর পরই পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খেতে দেন রাজেশকে। স্বামী নিস্তেজ হয়ে পড়লেই তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে ব্যাগে ভরে রাখেন সুনীতা। ঘরের মেঝেতে কিছু অংশ পুঁতে রাখেন, বাকি অংশ বাইরে গিয়ে ফেলে আসেন। পরে পুলিশের কাছে গিয়ে স্বামীর নামে মিসিং ডায়েরিও করে আসেন সুনীতা। পুরো ঘটনাটিই তিনি ঘটিয়েছেন টিভি সিরিয়ালের ক্রাইম শো দেখে, জেরায় ওই মহিলা জানিয়েছেন এমনটাই।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বর্তমানে তিহার জেলে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন সুনীতা। তাঁদের সন্তানকে আবাসিক হোমে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিবিআই রিপোর্টে ‘গুরুতর বিষয়’, চোখ বুজে থাকব না, রাজীব মামলায় মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের
সম্প্রতি একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মাদ্রাজ হাইকোর্ট প্রশ্ন করে, মেগাসিরিয়ালের সঙ্গে কিছু সিনেমাও কি দেশে পরকীয়া সম্পর্ক বেড়ে যাওয়ার কারণগুলোর মধ্যে একটা? এই প্রশ্নের সঙ্গে মাদ্রাজ হাইকোর্ট এ-ও বলে, খুন, অপহরণ ইত্যাদির সঙ্গে পরকীয়ার একটা যোগ দেখা যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy