জম্মু-কাশ্মীরে হালে নিরাপত্তাবাহিনী ও পর্যটকদের ওপর যাঁরা পাথর ছুড়েছিলেন, সেই বিক্ষোভকারীদের খবর পেতে কি গোপনে ‘পেটিএম’কে ব্যবহার করেছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও)?
নিউজ পোর্টাল ‘কোবরাপোস্ট’-এর একটি স্টিং অপারেশনে লুকোনো ভিডিও ক্যামেরার সামনে এমনটাই বলেছেন পেটিএম-এর প্রতিষ্ঠাতা বিজয় শেখর শর্মার ভাই, সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অজয় শেখর শর্মা। গোপন ক্যামেরার সামনে অজয়কে বলতে শোনা গিয়েছে, যাঁরা পাথর ছুড়ছেন, তাঁদের শনাক্ত করতে পেটিএম-এর সাহায্য চেয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বলা হয়েছিল, পেটিএম-এর ব্যবহারকারীদের যাবতীয় তথ্য যেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাতে পাথর ছুড়ে যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন উপত্যকায়, তাঁদের হালহদিশ জানা সহজ হবে।
তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সেই ‘অনুরোধ’ পেটিএম শেষ পর্যন্ত রেখেছিল কি না, স্টিং অপারেশনের সেই ভিডিও থেকে তা জানা যায়নি।
ওই স্টিং অপারশনের খবর প্রকাশিত হতেই পেটিএম-এর তরফে অবশ্য টুইট করে তার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
There is absolutely NO TRUTH in the sensational headlines of a video doing rounds on social media. Our users' data is 100% secure and has never been shared with anyone except law enforcement agencies on request. Thank you for your continued support.
— Paytm (@Paytm) May 25, 2018
আরও পড়ুন- নোট-কয়েনের প্রণামী চলবে না এ মন্দিরে
আরও পড়ুন- স্যামসাং-এর ফোন কিনলেই ফেরত পাবেন টাকা, কী ভাবে?
বলা হয়েছে, ‘‘ওই ভিডিও সর্বৈব মিথ্যা। আমাদের (পেটিএম) ব্যবহারকারীদের গোপনীয় ব্যক্তিগত তথ্যাদি ১০০ শতাংশ সুরক্ষিত। নিরাপদ। সেই তথ্য আইনরক্ষক সংস্থাগুলি ছাড়া আর কাউকেই দেওয়া হয় না। দেওয়া হয়নি।’’
স্টিং অপারেশনের মাধ্যমে নাগরিকদের গোপনীয় তথ্যাদি সরকারের কাছে পাচার হয়ে যাওয়ার ঘটনা সামনে আসায় সমালোচনায় সরব হয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। টুইট করে বলেছেন, ‘‘প্রমাণ হল, বিমুদ্রাকরণের সময় আমরা ঠিক কথাটাই বলেছিলাম।’’
Here is proof that we were absolutely correct about demonetisation.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) May 25, 2018
PayTM= PayToPM pic.twitter.com/i6jk8m1SGc
স্টিং অপারেশন চালাতে কোবরাপোস্টের এক সাংবাদিক পুষ্প শর্মা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের অনুমোদিত একটি এনজিও-র কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে দেখা করেছিলেন পেটিএম-এর এক ভাইস প্রেসিডেন্ট সুধাংশু গুপ্তার সঙ্গে। পুষ্প ওই সময় নিজের নাম দিয়েছিলেন, ‘আচার্য ছত্রপাল অটল’। পুষ্প ওই সময় সুধাংশুকে বলেন, তাঁরা পেটিএম-এর মাধ্যমে ‘ভাগবত গীতা’ ও ‘রামায়ণ’-এর বিপণন করতে চাইছেন। বিতর্ক এড়াতে এ ব্যাপারে তাঁরা কোনও রাজনৈতিক সংগঠনকে ব্যবহার করতে চান না বলেই পেটিএম-এর কাছে এসেছেন।
তখন পেটিএম-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট পুষ্পকে বলেন, তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বই ‘একজ্যাম ওয়ারিয়র্স’-ও প্রোমোট করেছিলেন।
এর পর পুষ্প আলাদা ভাবে এক দিন কথা বলতে চান পেটিএম-এর ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। সেই মতো তাঁরা দেখা করেন একটি রেস্তোরাঁয়। সেখানে পেটিএম-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অজয় শেখর শর্মাও ছিলেন।
সেখানেই স্টিং অপারেশনে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন অজয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy