উত্তরা বহুগুণা। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া।
একটানা ২৫ বছর প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষকতার পরে সন্তানদের কাছে থাকার জন্য দেহরাদূনে বদলি চেয়ে দরবার করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। কিন্তু বদলির নির্দেশ তো মেলেনি, উল্টে মুখ্যমন্ত্রীর রোষে শাস্তি জুটেছে উত্তরাখণ্ডের শিক্ষিকা উত্তরা বহুগুণার। অথচ খোদ মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র রাওয়তের স্ত্রী টানা ২২ বছর রাজধানী দেহরাদূনের স্কুলে পড়াচ্ছেন!
রাজ্যের রাজধানী বলেই দেহরাদূনে থাকার জন্য চেষ্টা চালান সরকারি কর্মীরা। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী টানা ২২ বছর চাকরি করায় প্রশ্ন উঠেছে, কেন এমন বৈষম্য?
উত্তরা বহুগুণা বদলির আর্জি জানালে রাওয়ত তাঁকে বলেন, ‘বদলি হবেই এমন কথা কখনই দেয়নি সরকার।’ মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিয়ো। এর পরই নজর আসে রাওয়তের স্ত্রী সুনীতার ঘটনা। তথ্যের অধিকার আইনে জানা গিয়েছে, ১৯৯২ সালে পৌড়ি গড়বাল এলাকার একটি স্কুলে শিক্ষকতা শুরু সুনীতার। ১৯৯৬ সালে বদলি হয়ে দেহরাদূনে আসেন তিনি। ২০০৮ সালে পদোন্নতির পরেও এখানেই রয়ে গিয়েছেন। আর টানা ২৫ বছর উত্তরকাশীর প্রত্যন্ত এলাকায় চাকরি করা উত্তরার আর্জির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা সচিব জানান, আপাতত বদলির কোনও আশা নেই উত্তরার।
বদলির আর্জি খারিজের পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাক্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন উত্তরা। মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, ‘‘সারা জীবন জঙ্গলে কাটানোরও কথা ছিল না আমার!’’ এর পরই দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy