প্রতীকী ছবি।
প্রসব যন্ত্রণা কমানোর জন্য হাসপাতালে যে ধরনের সিডেটিভ ব্যবহার করা হয়, ধর্ষণের আগে বছর এগারোর মেয়েটিকে দেওয়া হত সেই ওষুধ। শুধু তাই নয়, খাওয়ানো হত মাদক মেশানো পানীয়ও। এ ভাবেই মাসের পর মাস ধরে ধর্ষণ করা হয়েছে চেন্নাইয়ের ওই নাবালিকাকে। ধৃতদের জেরা করে এমনই ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে।
কয়েক দিন আগে চেন্নাইয়ের এক আবাসনে নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ওই আবাসনের লিফ্টম্যান, প্লাম্বার, নিরাপত্তারক্ষী, ইলেকট্রিশিয়ান-সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে। তাদের গ্রেফতারও করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, আবাসনের অভিযুক্ত ওই নিরাপত্তারক্ষী আগে একটি হাসপাতালে ওই দায়িত্বে ছিল। প্রসব যন্ত্রণা কমাতে কী ধরনের সিডেটিভ ব্যবহার করা হয়, ওই হাসপাতালে থাকাকালীনই শিখে নিয়েছিল সে। নাবালিকাকে ধর্ষণের আগে সেই ‘বিদ্যা’কেই প্রয়োগ করত! শুধু তাই নয়, প্রতিবার ধর্ষণের সময় সেই ভিডিয়ো ক্যামেরাবন্দি করে রেখে ব্ল্যাকমেল করত সে। সমান তালে চলত হুমকিও। ওই আবাসন চত্বর থেকে বেশ কিছু সিরিঞ্জও উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ খতিয়ে দেখছে আর কী ধরনের সিডেটিভ দেওয়া হত ওই নাবালিকাকে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে গোপনাঙ্গে বিদ্যুতের শক, এ ভাবে খুন করলেন স্বামী!
পুলিশ আরও জানিয়েছে, নাবালিকাকে প্রথম শিকার বানায় আবাসনের বছর ছেষট্টির লিফ্টম্যান। তার পর একে একে নিরাপত্তারক্ষী, প্লাম্বার, ইলেকট্রিশিয়ান, এমনকি আবাসনের মেরামতের দায়িত্বে থাকা কর্মীরাও নাবালিকাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করতে থাকে। আর এই কাজে ওই লিফ্টম্যানই সহযোগিতা করত বলে অভিযোগ। কখনও জিম ঘরে, কখনও রেস্টরুমে, কখনও বেসমেন্টে— এ ভাবে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে অভিযুক্তরা ধর্ষণ করত। আবাসনে সিসিটিভি থাকলেও বেশির ভাগই কাজ করত না। আর কোনগুলো কাজ করত না, সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিল অভিযুক্তরা। ফলে ধর্ষণের জন্য সেই সব জায়গা বেছে নেওয়া হত। জেরার মুখে ধৃতেরা এ কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের। এ ভাবেই নাবালিকাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করত অভিযুক্তরা।
বাবা-মা ও দিদির সঙ্গে ওই আবাসনে থাকে নাবালিকা। ধর্ষণের বিষয়টি প্রথমে সে দিদিকেই জানিয়েছিল। পুলিশের কাছে নাবালিকার পরিবার এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ১৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত মঙ্গলবার তাঁদের আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের ৩১ জুলাই পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
আরও পড়ুন: নির্যাতিতার আবাসনে পাহারায় মহিলারাই
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy