হলফনামায় রাজীব কুমাররা জানিয়েছেন, ‘অনিচ্ছাকৃত আদালত অবমাননা’ হয়ে থাকলে তার জন্য তাঁরা ‘নিঃশর্ত ও দ্বর্থ্যহীন ভাষা’-য় ক্ষমা চাইছেন। —ফাইল চিত্র।
স্বস্তির খবর রাজ্যের জন্য। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে ব্যক্তিগত হাজিরা দিতে হচ্ছে না রাজ্যের মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র এবং রাজীব কুমারকে।
আজ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘আমরা আজ কোনও নির্দেশ জারি করছি না। বুধবারই এই বিষয়টি শোনা হবে।’’
সারদা-রোজ ভ্যালি-সহ বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির কেলেঙ্কারির তদন্তে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের এই তিন কর্তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছিল সিবিআই। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ তাঁদের জবাবদিহি চেয়েছিল। সোমবার তিন জনের হলফনামা জমা পড়ে। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন, হলফনামা খতিয়ে দেখে মঙ্গলবার তিনি জানাবেন, বুধবার তিন জনকে ব্যক্তিগত ভাবে আদালতে হাজির থাকতে হবে কি না। নবান্নেও এ নিয়ে উৎকণ্ঠা ছিল তুঙ্গে। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আইনজীবী সুহান মুখোপাধ্যায়, কেন্দ্রের আইনজীবী তুষার মেহতাও হাজির ছিলেন। কিন্তু প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, বুধবারই ফয়সালা হবে।
হলফনামায় রাজীব কুমাররা জানিয়েছেন, ‘অনিচ্ছাকৃত আদালত অবমাননা’ হয়ে থাকলে তার জন্য তাঁরা ‘নিঃশর্ত ও দ্বর্থ্যহীন ভাষা’-য় ক্ষমা চাইছেন। কিন্তু সিবিআইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁরা। রাজীব তাঁর হলফনামায় জানিয়েছেন, যে সময় সিবিআই অফিসারেরা তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন, সে সময় তিনি লালবাজারে ছিলেন। শিলংয়ে সিবিআই জেরায় কী ভাবে তিনি সহযোগিতা করেছেন, তারও বিশদ বর্ণনা রয়েছে। সারদা-রোজ ভ্যালির তদন্তে গঠিত এসআইটি-র প্রধান হিসেবে রাজীবের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ তুলেছিল সিবিআই। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে রাজীব জানান, তিনি এসআইটি-র কাজকর্ম দেখাশোনা করতেন। কিন্তু ওই সব সাক্ষ্যপ্রমাণ তদন্তকারী অফিসারদের কাছেই থাকত।
রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নামঞ্চে যোগ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল সিবিআই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও এ জন্য আইপিএস অফিসারদের শাস্তি হিসেবে রাজ্যের কাছে পদক কেড়ে নেওয়ার সুপারিশ করে। কিন্তু আইএএস, আইপিএস-রা জানান, ওই মঞ্চেই অস্থায়ী সচিবালয় তৈরি হয়েছিল। তাঁরা সেখানেই গিয়েছিলেন। ধর্নায় তাঁরা কেউই যোগ দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy