শনিবার মোদী ২.০-র প্রথম বর্ষপূর্তিতে ডঙ্কা বাজিয়ে প্রচারে নামছে বিজেপি। ছবি: পিটিআই।
দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ফিরে নরেন্দ্র মোদী ২০১৯-এর ৩০ মে ফের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। সে দিনই খবর এসেছিল, আর্থিক বৃদ্ধির হার পাঁচ বছরের রেকর্ড ভেঙে তলানিতে নেমেছে। দ্বিতীয় মোদী সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে খবর মিলল, আর্থিক বৃদ্ধির হার ১১ বছরের রেকর্ড ভেঙে আরও তলানিতে পৌঁছেছে। রেকর্ড ভেঙেছে বেকারিও। তবে এ সবে ভ্রুক্ষেপ নেই বিজেপির। শনিবার মোদী ২.০-র প্রথম বর্ষপূর্তিতে ডঙ্কা বাজিয়ে প্রচারে নামছে তারা।
বিজেপি-র পরিকল্পনা, ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর লেখা একটি চিঠি বিজেপি-র তরফে শনিবার দেশের ১০ কোটি পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। মোদীর সেই চিঠি বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়ে শুক্রবারই প্রকাশিত হয়েছে। দীর্ঘ ওই চিঠিতে মোদীর দাবি, ‘‘গত বছর এই দিনটিতে একটি সুবর্ণ অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল।’’ দলের ভোটব্যাঙ্ক এবং সঙ্ঘের কর্মসূচি রূপায়ণের লক্ষ্যে গত এক বছরে তাঁর সরকারের করা বিভিন্ন পদক্ষেপ, যেমন রামমন্দির, ৩৭০ রদ, তিন তালাক নিষিদ্ধ করা, সিএএ-এনআরসি-র উল্লেখ ওই চিঠিতে করেছেন তিনি। করোনা পরিস্থিতিতে সঙ্কটের উল্লেখ করে তাঁর বহুল প্রচারিত ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এবং ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজের উল্লেখও করেছেন তিনি। ওই চিঠিতেই বাংলা এবং ওড়িশায় আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় এবং বিপুল ক্ষয়ক্ষতির উল্লেখও করেছেন তিনি।
কংগ্রেস নেতারা বলছেন, মোদী সরকারের একের পর এক সিদ্ধান্তে দেশের আর্থিক এবং সামাজিক ভিত্তি দুর্বল হয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাজীব গৌড়া বলেন, “আমরা স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি, দুই ক্ষেত্রেই জরুরি অবস্থার মুখোমুখি। মোদী সরকার বিভাজনের কর্মসূচি ছেড়ে সকলের জন্য আর্থিক উন্নয়নে নজর দিলে মঙ্গল।” মোদী চিঠিতে যে সব কাজের উল্লেখ করে কৃতিত্ব দাবি করেছেন, তাকে বিরোধীরা বলছেন সঙ্ঘের কর্মসূচি রূপায়ণ। তাঁদের দাবি, অর্থনীতি, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, করোনা নিয়ন্ত্রণ— সব ক্ষেত্রেই চূড়ান্ত ব্যর্থ মোদী সরকার।
আরও পড়ুন: বাংলায় খুলছে অফিস-ধর্মস্থান, কী পরিকল্পনা অন্য রাজ্যগুলোর
আরও পড়ুন: পৌনে পাঁচ কোটি ভারতীয়ের ফোন নম্বর কি ফাঁস হয়ে গেল ‘ট্রুকলার’-এ মাধ্যমে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy