রাহুল গান্ধী।
পৈতেধারী রাহুল গাঁধীর গোত্র কী, মধ্যপ্রদেশের ভোট প্রচারে প্রশ্ন ছুড়েছিল বিজেপি। ভোটের ঠিক আগে তাদের বেকায়দায় ফেলে রাহুল নিজের গোত্র জানাতেই ব্যাকফুটে বিজেপি।
গত কালই রাহুল রাজস্থানের প্রচারে অজমেঢ়ে খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির দরগায় যান। আবার তারপরেই পুষ্করে ব্রহ্মার মন্দিরে পুজো দেন। আর সেখানেই খোলসা করেন, তিনি দত্তাত্রেয় গোত্রের কাশ্মীরি ব্রাহ্মণ। রাহুল নিজে কিছু প্রকাশ্যে বলেননি। কিন্তু মন্দিরের পুরোহিত জনে জনে রেকর্ড দেখিয়ে জানান, এর আগে মোতিলাল নেহরু, জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গাঁধী, সঞ্জয় গাঁধী, মেনকা গাঁধী, সনিয়া গাঁধীও এসে পুজো দিয়ে গিয়েছেন। রাহুলও পুজো দেওয়ার সময়ে নিজের গোত্র জানিয়েছেন।
ভোটে কোনও নেতার গোত্র নিয়ে হইচই হওয়ারই বা কী আছে? কিন্তু বিজেপি বুঝতে পারেনি, রাহুল নিজের গোত্র এ ভাবে বলে তাদের পালের হাওয়া কেড়ে নিতে চাইবেন। মধ্যপ্রদেশে ভোটে ৯১ শতাংশ হিন্দুকে একজোট করে জিততে চাইছে বিজেপি। যাঁদের মধ্যে ১৫ শতাংশ তফসিলি জাতি ও ২১ শতাংশ তফসিলি জনজাতি। সংখ্যালঘুদের তোষণ করার বার্তা দিয়ে কমল নাথের তথাকথিত কিছু ভিডিয়ো প্রচার করে বিজেপি ফায়দাও তুলতে চাইছিল। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও প্রচারে সেই ভিডিয়োর কথা স্মরণ করাচ্ছিলেন জনতাকে। যোগী আদিত্যনাথ ‘আলি’ ও ‘বজরংবলী’র তুলনা টানছিলেন।
এরই মধ্যে রাহুলের ‘দত্তাত্রেয়’ গোত্রের কাশ্মীরি ব্রাহ্মণ পরিচয় বিজেপিকে বিপাকে ফেলেছে। সে কারণে দলের মুখপাত্রেরা এখন অন্য ভাবে মেরুকরণের তাস খেলতে চাইছেন।
বিজেপি মুখপাত্র নরসিংহ রাও বলেন, ‘‘এত দিন তো রাহুল গাঁধী শুধু সংখ্যালঘুদের কথাই বলে আসছিলেন। হঠাৎ হঠাৎ করে তিনি হিন্দু হয়ে ওঠেন।’’ কংগ্রেসের সঞ্জয় ঝা-এর বক্তব্য, ‘‘এটাই তো বিজেপির ভুল। বিজেপি মনে করে, ওরাই হিন্দুদের একমাত্র স্বার্থরক্ষক।’’ রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে আজ মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহও টুইট করেন: ‘‘আর কত প্রমাণ চাইবে বিজেপি?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy