মিজোরাম নির্বাচনে কংগ্রেস কি আসন ধরে রাখতে পারবে?
উত্তর-পূর্বের একমাত্র কংগ্রেস শাসিত রাজ্য মিজোরামে ভোট আগামিকাল। ৪০ আসনের বিধানসভায় গত বার ৩৪টি আসন পেয়ে সরকার গড়লেও এ বার কংগ্রেসের সামনে কঠিন লড়াই। নিজেরা ১৭-১৮টি আসন পেলে জেডপিএমের সমর্থন নিয়ে পাঁচ বারের মুখ্যমন্ত্রী লাল থানহাওলা ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন।
কিন্তু দেখা গিয়েছে, প্রতি দশকে মিজোরামে সরকার বদলায়। তাই এমএনএফের আশা কংগ্রেসের ১০ বছরের শাসন এ বার শেষ হবে।
বিরোধীদের মতে, রাজ্যবাসীর তেমন উন্নতি না হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে কংগ্রেস বিরোধী হাওয়া রয়েছে। এমএনএফ নেডা জোটের শরিক। তাই এমএনএফ বেশি আসন পেলে বিজেপিও সর্বশক্তিতে তাদের জন্য জাদুসংখ্যার ব্যবস্থা করতে মাঠে নামবে। সফল হলে পূর্ণ হবে অমিত শাহ তথা নেডার কংগ্রেস-মুক্ত উত্তর-পূর্ব গড়ার স্বপ্ন। আগামিকালের ভোটে তাই ছোট দলগুলির ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: গোত্র জানালেন রাহুল, বিপাকে বিজেপি-ই
রাজ্যে মোট আসন ৪০টি। কংগ্রেস এবং এমএনএফ সব আসনে প্রার্থী দিয়েছে। বিজেপি ৩৯টিতে। এ বারের ভোটে ধর্মীয় নেতাদের গড়া দল ‘জোরাম থার’, দুর্নীতি দমনে তৈরি ‘প্রিজম’, তৃতীয় ফ্রন্ট ‘জেডপিএম’-ও অনেক আসনে প্রার্থী দিয়েছে। মহিলা প্রার্থী ১৮ জন। ভোটার মোট ৭,৭০,৩৯৫ জন।
আরও পড়ুন: শিবরাজের তরী বাঁচবে তো? চিন্তায় অমিত
২২ বছর পর রিয়াং শরণার্থীরা মিজোরামে এসে ভোট দেবেন কাল। শরণার্থীদের অনেকে চেয়েছিলেন ত্রিপুরাতেই তাঁদের জন্য বুথ হোক। শেষ পর্যন্ত ত্রিপুরার সীমানা লাগোয়া কানমুনে তাঁদের জন্য ১৫টি ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে। ত্রিপুরার ৬টি শরণার্থী শিবির থেকে মোট ১২ হাজার ১৪ জন রিয়াংকে মিজোরামের ভোটকেন্দ্রে নিতে পাঁচশোর বেশি ছোট-বড় গাড়ির ব্যবস্থা করেছে ত্রিপুরা প্রশাসন। খাবারের জন্য প্রত্যেক ভোটারকে দেওয়া হবে ২০০ টাকা। ৭৫ কিমি পথে থাকবে নিরাপত্তার আয়োজন এবং ‘হেল্প ডেস্ক’ও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy